গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা
১৬ই এপ্রিল বুধবার ২০২৫
ছবি সংগৃহীত
বর্তমান সময়ে প্রায় সব বয়সের মানুষের একটি সাধারণ রোগ দেখা যায় আর তা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক আলসার। এটি মূলত হয়ে থাকে গ্যাসের সমস্যার কারণে এবং অস্বাস্থ্যকর মসলাযুক্ত ঝাল খাবার খাওয়ার কারণে।
সারা বিশ্বে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এই গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগে ভুগে থাকেন। অনিয়মিত এবং অস্বাস্থ্যকর মসলাযুক্ত খাবারের কারণেই যেটি হয়ে থাকে তা নয়, আলসার হয়ে থাকে মূলত লিভারে ঘা হলে। আর গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হয় খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়ার কারণে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে যাদের লিভারের আলসার রয়েছে বা ঘা রয়েছে তাদের গ্যাসের সমস্যা এবং আনসার মিলে সৃষ্টি হয় গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগ। গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা মেনে চলা খুব কঠিন। তবে। তবে এই রোগ থেকে মুক্তির জন্য অবশ্যই গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা মেনে খাবার খাওয়া উচিত।
আজকে আমরা আলোচনা করব গ্যাস্ট্রিক আনসার রোগীর খাদ্য তালিকা কেমন হবে এবং এতে কি ধরনের খাবার থাকা জরুরী তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা -
•যারা আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগেন তাদেরকে সব সময় টাটকা ফলমূল এবং সবুজ শাকসবজি চেষ্টা করবেন।
•দুগ্ধ যাত খাবার দুধ বা দুধ দিয়ে তৈরি করা যে কোন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ঘি, দুধ ও দই খেলে যদি গ্যাস্টিক আলসারের সমস্যা বেড়ে যায় তাহলে এগুলো খাওয়া বাদ দেয়া ভালো।
•তরল খাবার বা পানি জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। যেমন - ডাবের পানি, স্যালাইন, আখের রস, শরবত ইত্যাদি।
•রিচ ফুড বা যাকে আমরা ফাস্টফুড বলে থাকি এ ধরনের সকল খাবার এড়িয়ে চলা উত্তম।
•দুধ চা, কফি, অ্যালকোহল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উত্তম।
•ফলমূল, শাকসবজি, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিৎ।
আলসার হলে কি দুধ খাওয়া যাবে
নানান কারণে অস্বাস্থ্যকর এবং অনিয়মিত খাদ্য অভ্যাস এর কারণে বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ গ্যাস্ট্রিক আলসার আলসারের সমস্যায় ভুগে থাকেন।এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া খুব একটা সহজ নয়। এই আলসার যখন একবার কারো ধরা পড়ে বা হয় তখন তা ভালো হতে লেগে যায়।
কিছু ওষুধ, নিয়মিত খাদ্য অভ্যাস, এবং সঠিক চিকিৎসার পরেও এই আলসার রোগ কি ভালো হতে অনেক সময় লেগে যায়। আমাদের মধ্যে অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকে আনসার হলে কি দুধ খাওয়া যাবে ?
আলসার হলে কি দুধ খাওয়া যাবে এ নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে, তবে আলসার হলে দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার কম পরিমাণে খাওয়াই ভালো। দুধ পেট ঠান্ডা রাখে তবে এটি পেট ফাঁপার কারণও হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে দুধ খেলে পেট ফেপে উঠে তাই যাদের গ্যাস্ট্রিক আলসার এ সমস্যা রয়েছে সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য দুধ খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো।
আলসার হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না
আলসারের সমস্যা একরকম মরণ ব্যাধির মত, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এবং সঠিক খাদ্যা অভ্যাস মেনে চললে খুব সহজেই এই আলসারের সমস্যা ভালো হতে পারে। আবার কিছু সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তাদের আলসারের সমস্যা কোন মতেই ভালো হয় না, যতই ডাক্তার বা যতই ঔষধপত্র খান না কেন এই আনসার থেকে তাদের মরণবাদী ক্যান্সারও হতে পারে।
আলসার হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না তা আমাদের অনেকেরই অজানা । অনেক গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগী রয়েছে যারা নিয়ম না মেনে নিজেদের ইচ্ছা মত যে কোন ফল খেয়ে থাকেন, এতে তাদের রোগ তো সারেই না বরং এটা দিন দিন আরো বেশি কষ্টকর হয়ে পড়ে, অনেকে মনে করে আলসার হলে কি রুটি খাওয়া যাবে বা যাবে না। গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগের খাদ্য তালিকা বা আলফার হলে কি কি ফল খাওয়া যাবেনা তানিয়া আজকে আলোচনা করব।
• মসলাযুক্ত খাবার : যারা আলসারের সমস্যায় ভুগছেন তারা কখনোই মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না এবং কোন ফলে মসলা মাখিয়ে তা মুখরোচক করে কখনো খাওয়া উচিত না।
• এসিডযুক্ত ফল : যে সকল ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড যুক্ত রয়েছে সে সমস্ত সকল ফল এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন :- কমলালেবু, বাতাবি লেবু, আনারস, সবুজ আপেল, আমলকি, হরি ফল, টক আঙ্গুর ইত্যাদি টক জাতীয় ফল।
আলসার কত দিনে ভালো হয়
গ্যাস্ট্রিক আলসার বা আলসার এই রোগটি আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই আলসার সমস্যা ঠিক কতদিনে ভালো হয় তা কখনোই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। গ্যাস্ট্রিক আলসার এমন একটি সমস্যা যা ভালো হতে কয়েক মাস বা বছর সময় লেগে যায়।
আমাদের লিভারে আলসার হওয়ার প্রধান কিছু কারণ রয়েছে তার মধ্যে মসলাযুক্ত খাবার, যুক্ত খাবার খাওয়া, আনহাইজেনিক বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় এমন খাবার খাওয়া, খুব বেশি ঝাল এবং মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে আলফার রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
ডাক্তারগণের মতে, নিয়মিত খাদ্য অভ্যাস এবং পুষ্টিকর শাকসবজি, কম মসলাযুক্ত খাবার, সুষম খাবার, ফলমূল,এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে আমাদের লিভার ভালো থাকে। আনসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায় । সাধারণত সঠিক চিকিৎসা করলে এবং সঠিক খাদ্য তালিকা মেনে চললে ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে আনসারের সমস্যা ভালো হয়ে যায়।
যদি সঠিক সময় মত গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা ধারণা পরে এবং সঠিক চিকিৎসা করা না হয় তবে এ থেকে মরণব্যাধি ক্যান্সার সৃষ্টি হয়ে থাকে। আনসার কতদিনে ভালো হয় এবং এর সঠিক চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা উচিত , ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন তাহলে এ রোগ থেকে সহজে মুক্তি লাভ করা সম্ভব দ্রুত সময়ে।
আলসার থেকে কি ক্যান্সার হয়
অনেকেই মনে করে তাকে যে আলসার একটি সাধারণ অসুখ। আলসার মূলত আমাদের লিভারই হয়ে থাকে সমস্যা থেকে সৃষ্টি হওয়া একটি মরণব্যাধি অসুখের মত যদি এর সঠিক চিকিৎসা করা না হয়।
গ্যাস্ট্রিক আলসার হওয়ার মূলত কিছু কারণ রয়েছে, যারা অতিরিক্ত ঝাল এবং মসলাযুক্ত খাবার খান তারা খুব সহজেই আলসার রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এ থেকে বাঁচার উপায় সুসময় এবং পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। তা না হলে মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে।
আলসার এমন একটি রোগ যা থেকে পরবর্তীতে লিভারে ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমাদের সকলেরই এই বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত।
কি খেলে আলসার ভালো হয়
গ্যাস্ট্রিক আলসার মূলত লিভার জনিত সমস্যা। তাই বর্তমানে যেকোনো বয়সের মানুষের এই অসুখ হয়ে থাকে। আলসার রোগ ভালো করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট এত অভ্যাস এবং সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন। তাহলে দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
আজকে আমরা জানবো, কি খেলে আলসার ভালো হয় এবং তার বিস্তারিত।
•সবুজ শাকসবজি : সবুজ শাকসবজিতে অনেক পরিমাণে ভিটামিন, শর্করা,প্রোটিন এবং খনিজ উপাদান থাকে যা আমাদের লিভার গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত শাকসবজি খেলে আমাদের জন্য অনেক উপকারী।
•দই :টক বা মিষ্টি দই নিয়মিত খেলে পেটের আলসার খুব দ্রুত সারতে সাহায্য করে। দই ঠান্ডা খাবার হওয়ায় এটি পেটকে ঠান্ডা রাখে।
•চর্বিযুক্ত খাবার খাবার না খাওয়া :চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এতে করে আলসার দ্রুত ভালো হবে।
•কম ঝাল যুক্ত খাবার : যে সকল খাবার অতিরিক্ত ঝাল বা বেশি মসলাযুক্ত হয়ে থাকে সে সকল খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে।
•বেশি করে পানি পান করা : যারা আলসারের সমস্যায় ভুগছেন তাদের উচিত প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার পরিষ্কার পানি পান করা। এতে লিভার এবং কিডনি ভালো থাকে, শরীরের পানি শূন্যতা দূর হয়। দ্রুত আলসার ভালো করতে সাহায্য করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url