লেবু–পানি কোন সময় খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে
লেবু–পানি কোন সময় খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে
খাওয়ার আগে লেবু–পানি খেলে যা হয়
খাওয়ার পরে লেবু–পানি খেলে যা হয়
লেবুতে আছে প্রচুর সাইট্রিক অ্যাসিড, যা পাকস্থলীতে গিয়ে হজমে সাহায্য করে। ভারী খাবার খাওয়ার পর লেবু–পানি খেলে হজমের কাজটা সহজ হয়। ভারী খাবার খাওয়ার পর যে অস্বস্তি তৈরি হয়, তা–ও অনেকাংশে কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে লেবু–পানি। বদহজম বা অম্বলের সমস্যাতেও উপকারী হতে পারে লেবু–পানি। এ ছাড়া খাওয়ার পর পাকস্থলীর পিএইচ মান নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে লেবু–পানির তুলনা কমই আছে। শরীরে বেশির ভাগ সমস্যার সূচনা হয় পানিশূন্যতা থেকে। কুসুম গরম লেবু–পানি শরীরের পানিশূন্যতা পূরণে সাহায্য করে।
সকালে খালি পেটে লেবু পানি খেলে কি উপকার পাওয়া যায়?
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে যদি এক গ্লাস পানি খাওয়া হয় তবে তা শরীরে অতিরিক্ত মেদ কমাতে খুব দ্রুত কাজ করে। যারা নিয়মিত ডায়েট করেন তারা বেশিরভাগ সময় সকালটা শুরু করে লেবুর পানি দিয়ে। লেবু ভিটামিন সি এর একটি উৎস যা শরীরের মেদ কমাতে খুব দ্রুত কাজ করে, সকালে খালি পেটে লেবু পানি খেলে তা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এই কারণে যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং অতিরিক্ত মেদ বা স্তুল্লতা নিয়ে সমস্যার ভোগে ডাক্তার তাদেরকে এই পরামর্শটি দিয়ে থাকেন যেন সকালে খালি পেটে তারা লেবু পানি খায় তবে তা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে।
জেনে রাখা ভালো
লেবু–পানি খাওয়ার সঠিক কোনো নিয়মকানুন নেই। চাহিদামতো যেকোনো সময় খেতে পারেন। তাই আপনার জীবনযাপন এবং শরীরের অবস্থার বুঝে লেবু–পানি খাওয়ার সময় ঠিক করে নিন। তবে আর যা–ই করুন, একদম খালি পেটে লেবু–পানি খাবেন না। খালি পেটে লেবু–পানির অম্লতা ভালোর বদলে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এ ছাড়া এটি দাঁতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই লেবু–পানি খাওয়ার পর কুলকুচি করে নেওয়া ভালো। এতে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হবে না। উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত লেবু–পানি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url