OrdinaryITPostAd

মাত্র ১৫দিন চিনি না খেলে যেসব আশ্চর্য উপকার আপনি পাবেন

 

মাত্র ১৫দিন চিনি না খেলে যেসব আশ্চর্য উপকার আপনি পাবেন


২৩সে সেপ্টেম্বর সোমবার ২০২৪



       ছবি সংগৃহীত 




আমাদের রোজকার জীবনের খাদ্যতালিকায় কোনো না কোনোভাবে চিনি থাকেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যালকোহল ও তামাকের মতো চিনিও আসক্তিকর। কারণ, চিনি সরাসরি রক্তে মিশে যায় এবং অতি উচ্চ মাত্রার ফ্রুকটোজ তৈরি করে নেশা সৃষ্টি করে। আর অতিরিক্ত চিনি খেলে মানবদেহে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, এটা তো গবেষণায় প্রমাণিত। তাই চিনির অন্য নাম ‘হোয়াইট পয়জন’ বা সাদা বিষ বলা হয়।

আমরা এটা তো সবাই জানি, যে খাবারই আমরা খাই না কেন, তা চিনিতে পরিণত হয়। ফলে বেশি চিনি বা চিনিযুক্ত খাবার খেলে খুব ক্লান্ত লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে, চিন্তাশক্তি কমে আসতে শুরু করে, শরীরে চর্বি জমতে শুরু করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনি খাওয়া কম করাই ভালো এটাও নেশা যুক্ত খাবার।

তবে চলুন জেনে নেয়া যাক, ১৫ দিন চিনি না খেলে শরীর কি রকম পরিবর্তন দেখা দেয় -



১-৩য় দিন: 

প্রথম তিনটি দিন সবচেয়ে কঠিন। কারণ, প্রথমে আপনার শরীরকে চিনি না খাওয়াতে অভ্যস্ত করাতে হবে। কিন্তু কোনো ‘নেশাদ্রব্য’ হঠাৎ করে বন্ধ করলে শরীরে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ সময় মাথাব্যথা, পেটব্যথা, ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে। চিন্তার কিছুই নেই, এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ সময় চিনির যে ক্ষতিকর উপাদান শরীরে জমা ছিল, শরীর তা নিষ্কাশনের কাজ শুরু করবে। তবে শরীরের অন্য সব প্রক্রিয়া চলতে থাকবে স্বাভাবিক নিয়মেই।

৪-৭ম দিন: 


মনোযোগ ও শক্তি বৃদ্ধি হয় চতুর্থ দিন থেকে। এ সময় আপনি শারীরিক শক্তি ও মনোযোগ ফিরে পেতে শুরু করবেন। সপ্তম দিনে নিজেকে শক্তিশালী ভাবতে থাকবেন। আপনার মনোযোগ আগের চেয়ে বেড়ে যাবে।


৮-১০ম দিন: 


শরীর চিনিমুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার পাচনতন্ত্র দারুণভাবে কাজ করতে শুরু করবে। এটা অষ্টম দিন থেকেই শুরু হবে। এ সময় অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম ভারসাম্য খুঁজে পেতে শুরু করে। পেট ফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্যান্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা কমতে শুরু করে।


১১-১৫তম দিন: 


ক্ষুধা কমে যাবে এবং ঘুম ভালো হবে দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকে। এ সময় আপনার মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছাও কমতে শুরু করবে। চিনি শরীরের ঘুমচক্রে বিঘ্ন ঘটায়, তাই আপনার নিদ্রাহীনতা দূর হয়ে ভালো ঘুম হবে। এ সময় ক্ষুধা কমে গেলে আপনার বারবার খেতে ইচ্ছা করবে না বলে ওজনও কমে যাবে। শরীর মন দুটোই হালকা থাকবে এবং নিজেকে অনেক প্রাণবন্ত মনে হবে । 


চিনিবিহীন থাকার দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা


১৫ দিন চিনিমুক্ত জীবন শুরু করলে আপনি দীর্ঘমেয়াদি কিছু সুবিধাও পাবেন। যেমন হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমবে, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে, রক্তে শর্করার মাত্রা থাকবে স্থিতিশীল। শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা, কিডনির সমস্যা, চোখের সমস্যা দেখা দেয় এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এসব নিয়ন্ত্রণে থাকবে ১৪ দিন চিনি না খেলে। ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো হবে খাদ‌্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দেওয়ার ফলে। ব্রণ ও একজিমা কমতে শুরু করবে।


 অকালবার্ধক্য ঠেকানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। মেজাজ ও স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি খেয়াল করবেন। এ ছাড়া বিষণ্নতা দূর করতেও এটি মোক্ষম দাওয়াই। কাজকর্মে মনোযোগ পাবেন বেশি এবং শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে । তাই যতটা সম্ভব খাদ্য তালিকা থেকে চিনি যুক্ত খাবার বাদ রাখার চেষ্টা করবেন। 




 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪