OrdinaryITPostAd

নীরবেই নারীদের হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে না তো? জেনে নিন ৫টি লক্ষণ

 

নীরবেই নারীদের  হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে না তো?  জেনে নিন ৫টি  লক্ষণ


২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার 



    ছবির সংগৃহীত 



বর্তমান সময়ে আধুনিক জীবনযাপন, বাইরের খাবার খাওয়া ও মানসিক চাপসহ নানা কারণে দিন দিন হৃদরোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হৃদরোগের সমস্যা থাকলে খুবই সচেতন ও সতর্ক থাকতে হয়। এটি এমন একটি রোগ, যা ছোট থেকে বড় কিংবা নারী-পুরুষ সবারই হয়।

অনেকে মনে করেন, পুরুষদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে নারীরা বিপদসীমার বাইরে না। আর নারীদের ক্ষেত্রে যখন হৃদরোগ ধরা পড়ে তখন খুব বেশি সময় থাকে না তাদের। পুরুষদের তুলনায় নারীরা অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা করতে থাকে কিন্তু তারা পারেনা তা প্রকাশ করতে যার ফলে ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকে। 


হৃদরোগের লক্ষণ নারী এবং পুরুষদের ক্ষেত্র বিশেষ কোন পার্থক্য  হয়ে থাকে না । এ জন্য প্রাথমিকভাবে কিংবা শুরুতেই যদি লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা যায়, তাহলে ঝুঁকি থেকে অনেকটা দূরে থাকা যায়। সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ ও স্থূলতা নারী-পুরুষ সবাইকে প্রভাবিত করে। 


তবে চলুন এবার নারীদের হৃদরোগের লক্ষণ সমূহ জেনে নেয়া যাক -


১.মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা : পুরুষদের তুলনায় নারীদের হৃদয়কে বেশি প্রভাবিত করে মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা। স্বাভাবিকভাবেই বিষণ্নতা স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য অবস্থার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে কঠিন করে তোলে।

২.ধূমপান : এমন অনেক নারী রয়েছেন যারা ধূমপানে অভ্যস্ত। এ ধূমপানের কারণেও অনেক নারীর হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে।

৩.মেনোপজ : মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম হলে রক্তনালীতে রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ানোর সম্ভাবনা রাখে।

৪.ডায়াবেটিস : ডায়াবেটিস আক্রান্ত পুরুষদের তুলনায় নারীদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। আবার ডায়াবেটিস আক্রান্ত নরীদের ব্যথা অনুভবের উপায় পরিবর্তন হয়ে থাকে। এ জন্য অনেক সময় লক্ষণ ছাড়াই নীরবে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি থাকে।


৫.গর্ভাবস্থার জটিলতা : গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ হলে তা দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এ লক্ষণ নারীদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।

প্রসঙ্গত, ছোট থেকে বড়―সব বয়সী নারীদের হৃদরোগকে গুরুত্ব সহকারে নেয়া উচিত। ৬৫ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যাদের পারিবারিক ইতিহাসে হৃদরোগ রয়েছে তাদের একটু বেশিই সচেতন থাকা উচিত। আর এ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা অনুভব করলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।



সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হলে আমাদের সকলের উচিত দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা। সঠিক খাদ্যা অভ্যাস এবং হাসিখুশি থাকা। 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪