OrdinaryITPostAd

শসার ডিটক্স ওয়াটার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়

 শসার ডিটক্স ওয়াটার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়

১ লা সেপ্টেম্বর রবিবার ২০২৪ 


 ছবি সংগৃহীত 


ডিটক্স ওয়াটার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। অবসর পালন শেষে আবারো ফিরে আসছে কর্মব্যস্ততা। কঠোরভাবে ডায়েট মেনে চলা মানুষটিও উৎসবের এই সময়টিতে খাবার খাওয়ার বিষয়ে ছাড় দেন। ঈদের খাবার আয়োজন মানেই হলো ভরপেট মজাদার খাবার খাওয়া। দুঃখজনক হলো, প্রায় সকল মজাদার খাবারই হয়ে থাকে উচ্চ ক্যালোরি, উচ্চ ফ্যাটযুক্ত তৈলাক্ত ও লবণযুক্ত।

সাধারণত এই সকল খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ, এই খাবারগুলো দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা তৈরির পাশাপাশি স্বাস্থ্যের উপরেও তার ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। মাখন, ডালডা, চিনি ও লবণযুক্ত খাবারগুলো খাওয়ার পরে পরিপাক হয়ে গেলেও তাদের টক্সিন উপাদানগুলো শরীরে রয়ে যায়।

শরীর থেকে এই নেতিবাচক প্রভাব ও টক্সিন উপাদানগুলো বের করে ফেলতেই প্রয়োজন শসার তৈরি ডিটক্স ওয়াটার পান করা।






কীভাবে এই ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করতে হয়?

ডিটক্স ওয়াটার তৈরিতে প্রয়োজন হবে এক জগ পানি, একটি বড় শসা, ১০-১২টি পুদিনা পাতা কুঁচি ও একটি লেবুর রস। শসা গোল চাকতি করে কেটে কেটে এবং পুদিনা পাতা কুঁচি করে জগের পানিতে মিশিয়ে রেফ্রিজারেটরে সারা রাতের জন্য রেখে দিতে হবে। পরদিন সকাল থেকে সারাদিন ভর এই পানিটি পান করতে হবে। প্রতিবার এক গ্লাস পরিমাণ ডিশসাতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ইলেকট্রলাইট তথা পটাশিয়াম, যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। শসার ডিটক্স ওয়াটার পানে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম পায়, যা শরীরে থাকা বাড়তি সোডিয়ামকে দূর করে।


এটি শরীরে শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখে

নিশ্চয় খেয়াল করেছেন ভরপেট কাচ্চি কিংবা পোলাও খাওয়ার পর ঘনঘন তেষ্টা পায়। তৈলাক্ত, মশলাদার ও লবণযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে এমনটা হয়ে থাকে। টক্সিন উপাদান বের করার জন্য প্রতিদিন যদি ৬-৮ গ্লাস শসার ডিটক্স ওয়াটার পান করা যায় তবে কোনভাবেই পানিস্বল্পতা দেখা দেওয়ার সম্ভবনা থাকে না এবং শরীর তার প্রয়োজনীয় আর্দ্রতায় থাকবে।টক্স ওয়াটার পানের সময় আধা চা চামচ পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। যদি অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে তবে লেবুর রস না মেশালেও হবে।

শসার ডিটক্স ওয়াটারের অন্যান্য উপকারিতা  সম্পর্কে চলুন জেনে নেয়া যাক -


শসার তৈরি চমৎকার এই ডিটক্স ওয়াটারটি শরীর থেকে টক্সিন উপাদান বের করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা এখানে তুলে ধরা হলো।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

শসাতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ইলেকট্রলাইট তথা পটাশিয়াম, যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। শসার ডিটক্স ওয়াটার পানে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম পায়, যা 

শরীরে থাকা বাড়তি সোডিয়ামকে দূর করে।


ভেতর থেকে ত্বককে সুস্থ রাখে


ত্বকের সুস্থতায় পরিচর্যা অপরিহার্য। তবে ত্বকের ভেতর থেকে সুস্থতা প্রদানের জন্য ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা ও শরীর থেকে টক্সিন উপাদান বের করা খুবই জরুরি। শসার ডিটক্স ওয়াটার পানে যা খুব সহজ হয়ে যায়। এছাড়া শসাতে থাকা প্যানটোথেনিক অ্যাসিড তথা ভিটামিন বি-৫ ব্রণের প্রাদুর্ভাব কমাতে কাজ করে। ফলে বলা যায়, ডিটক্স ওয়াটার ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে কার্যকর।



পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ


ফ্রি রেডিক্যালের ফলে আমাদের শরীরে যে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়, সেটা কমাতে ও প্রতিরোধ করতে কাজ করে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শসাতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-সি, বেটা ক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, মলিবডেনাম ও অন্যান্য ফ্ল্যাভনয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে থাকে।

















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪