ওজন ও কোলেস্টেরল কমায় জোয়ান জল! জব্দ করে অ্যাসিডিটি
ওজন ও কোলেস্টেরল কমায় জোয়ান জল! জব্দ করে অ্যাসিডিটি
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই জোয়ানকে মহৌষধি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাই নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খেলে যে একাধিক প্রাণঘাতী রোগের ফাঁদ এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে, তা তো বলাই বাহুল্য! কিন্তু কীভাবে খাবেন?
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে, চিবিয়ে খাওয়ার তুলনায় একগ্লাস পানিতে এক চা চামচ জোয়ান ঘণ্টা খানেক ভিজিয়ে রেখে দিনের যে কোনো সময় খেয়ে নিন। এই কাজটা করতে পারলে বেশি উপকার মিলবে। তাই আর দেরি না করে এর কিছু গুণের কথা জেনে নিই।
কমবে ওজন
শরীরে মেদের আধিক্য থাকলে ডায়াবেটিস, প্রেশার, কোলেস্টেরলসহ একাধিক জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই যেনতেন প্রকারেণ ওজন কমাতে হবে। এ কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে জোয়ান জল।
এই পানীয়তে চুমুক দিলেই বিপাকের হার বৃদ্ধি পায়। যার ফলে দেহে উপস্থিত অতিরিক্ত মেদ গলে যেতে সময় লাগে না। তাই ওবেসিটির সমস্যায় ভুক্তভোগীরা অবশ্যই নিয়ম করে জোয়ান জল খান। এতেই ফল পাবেন হাতেনাতে।
কোলেস্টেরলের বাড়াবাড়ি কমবে
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তনালীর ভেতর জমতে পারে। তার ফলস্বরূপ স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে এবং পিছু নেয় হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো ঘাতক অসুখ। তাই বিশেষজ্ঞরা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে জোয়ান জল। এতে চুমুক দিলে শরীরে প্রবেশ করে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টঅক্সিডেন্ট, যা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই জোয়ান জল খান।
জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র
জোয়ানে রয়েছে থাইমল, কার্ভাক্রলের মতো অত্যন্ত উপকারী দুই উপাদান। এই দুই উপাদান ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের মতো জীবাণুর বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করে। তাই শরীরে কোথাও কেটে গেলে বা চুলকানি হলে জোয়ান জলে চুমুক দিন। এছাড়া প্রয়োজনে সেই ক্ষতস্থানে বা চুলকানির জায়গায় জোয়ান জল লাগাতেও পারেন। এতেও উপকার মিলবে।
সর্দি, কাশি নিপাত যাবে
সিজন চেঞ্জের সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় একদম ধন্বন্তরির মতো কাজ করে জোয়ান জল। এতে রয়েছে কোডেইন নামক একটি উপাদান। এই উপাদান সর্দি, কাশির খেল খতম করার কাজে একাই একশো। এমনকি বন্ধ নাক খুলে দেয়ার কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার।
তাই এবার থেকে হঠাৎ করে ঠান্ডা লাগলে ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে জোয়ান জল খেয়ে দেখুন। আশা করছি, ঠকবেন না।
গ্যাস, অ্যাসিডিটির খেল খতম!
মাঝে মাঝেই গ্যাস, অ্যাসিডিটিতে ভোগেন? তাহলে এবার থেকে নিয়মকরে অ্যান্টাসিড খাওয়ার বদলে সকাল উঠে জোয়ান জলের গ্লাসে চুমুক দিন। এতেই দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে সমস্যার পাখি আপনার শরীর ছেড়ে চিরতরে উড়ে পালাবে।
কোলেস্টেরলের বাড়াবাড়ি কমবে
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তনালীর ভেতর জমতে পারে। তার ফলস্বরূপ স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে এবং পিছু নেয় হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো ঘাতক অসুখ। তাই বিশেষজ্ঞরা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে জোয়ান জল। এতে চুমুক দিলে শরীরে প্রবেশ করে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টঅক্সিডেন্ট, যা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই জোয়ান জল খান।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url