OrdinaryITPostAd

যে তিন সুন্নত পালন করলে মানুষের মাঝে ভালোবাসা বাড়ে

 

যে তিন সুন্নত পালন করলে মানুষের মাঝে  ভালোবাসা বাড়ে 

৩১ শে  আগস্ট   শনিবার  ২০২৪



ছবি সংগৃহীত 


ইসলাম এমন কিছু দিকনির্দেশনা দেয় যা মানুষকে পরস্পর ভালোবাসতে শেখায়। ইসলামি আদব ও শিষ্টাচারগুলো এভাবেই রয়েছে। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবাইকে সব ধরনের শিষ্টাচার শিক্ষা দিতেন।

নবীজি (সা.)-এর সহজ তিনটি সুন্নত আছে যা পালন করলে মানুষের মাঝে পরস্পর ভালোবাসা সৃষ্টি হবে। আর এসব সুন্নত যেকোনো মানুষ পছন্দ করে। তা হলো, মুচকি হেসে কথা বলা, দেখা হলে সালাম দেয়া এবং অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা।

মুচকি হেসে কথা বলা সদকা

 কেউ যদি অন্যের সঙ্গে মুচকি হেসে কথা বলে তাহলে এর বিনিময়ে টাকা-পয়সা দান করার মতো সওয়াব হবে। নবীজি (সা.) বলেছেন,


❝ কোনো ভালো কাজকে তুচ্ছ ভেবো না, যদিও তা তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করার বিষয় হয়। (মুসলিম ২৬২৬)। প্রতিটি ভালো কাজ সদকা স্বরূপ। তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। (তিরমিজি)❞


এ জন্যই রসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের সঙ্গে মুচকি হাসি ছাড়া কখনোই কথা বলতেন না। হজরত জারির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করেছি, তখন থেকে আল্লাহর রসুল (সা.) আমাকে তার কাছে প্রবেশ করতে বাধা দেননি এবং যখনই তিনি আমার চেহারার দিকে তাকাতেন, তখন মুচকি হাসতেন।’ (বুখারি ৩০৩৫)
 

সালাম পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা সৃষ্টি করে

 

দেখা-সাক্ষাতে সালাম বিনিময় করতে মহানবী (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ, সালাম হলো মানুষের জন্য শান্তির প্রত্যাশা করা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া। সালাম ইসলাম ধর্মের শান্তি বার্তার প্রতীক। সালাম মুসলমানদের মাঝে পারস্পরিক ভালোবাসা, হৃদ্যতা ও সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে। 

রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, আর ঈমানদার হতে পারবে না পরস্পরে ভালোবাসা না হলে। তোমাদের কি এমন একটি বিষয়ের কথা বলব, যা করলে তোমাদের পরস্পরে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? তোমরা পরস্পরের মধ্যে ব্যাপকভাবে সালাম বিনিময় কর।’ (মুসলিম ৫৪)।
 
সালামে অহংকার দূর হয় আর অহংকার পতনের মূল। অহংকারী ব্যক্তিকে সবাই ঘৃণা করে। আল্লাহ তাআলাও অহংকারীকে পছন্দ করেন না। যে ব্যক্তি আগে সালাম দেন তিনি অহংকার থেকে মুক্ত হন। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সর্বপ্রথম সালাম প্রদানকারী অহংকার থেকে মুক্ত থাকে। (বায়হাকি ৪৬৬৬)।
 
জান্নাত লাভের মাধ্যম সালাম। সালামের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি, সম্প্রীতির প্রসার ঘটে। সালাম চর্চার মধ্য দিয়ে একজন মানুষ জান্নাতি মানুষ হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
 
“হে লোকসকল, তোমরা সালামের ব্যাপক প্রচলন কর, আহার করাও, আত্মীয়তার সম্পর্ক বহাল রাখো এবং লোকজন যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন রাতের বেলা নামাজ আদায় কর। (এসব আমল করে) শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ কর। (ইবনে মাজাহ ৩২৫১, তিরমিজি ২৪৮৫)।”

অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা

 

মনোযোগ সহকারে কথা শোনা আল্লাহ তাআলাও পছন্দ করেন। যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে না তাদেরকে সতর্ক করে আল্লাহ তাআলা কোরআনে অনেক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি তার ওই সকল বান্দাদেরকে সুসংবাদ দিতে বলেছেন যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে।
 
যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে এবং যা উত্তম তার অনুসরণ করে। ওরাই তারা, যাদেরকে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং ওরাই বুদ্ধিমান। (সুরা যুমার ১৮)
 
মনোযোগ সহকারে কারও কথা শোনা রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্যতম একটি সুন্নত। কেউ কথা বললে তিনি তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে তারপর জবাব দিতেন।
 
উতবা ইবনে রবিয়া তার কথা শেষ হওয়ার কথা জানালে নবীজি (সা.) সুরা হামিম আস-সাজদার প্রথমদিকের আয়াতগুলো পাঠ করে শুনান। তখন উতবা ইবনে রবিয়া আর কোনো কথা না বলে চলে যান।
 
এছাড়া সাহাবিদের সব কথা তিনি মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। সবাইকে কথা বলার সুযোগ দিতেন। যার সাথে কথা বলতেন তার দিকে মুখ ফিরিয়ে কথা বলতেন।







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪