মহান আল্লাহ তায়ালা মুনাফিকদের ঘৃনা করেন কেন?
মহান আল্লাহ তায়ালা মুনাফিকদের ঘৃনা করেন কেন?
পহেলা মে বুধবার ২০২৪
মুমিনরা মহান আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা। তারা মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মশগুল থাকে। আর এমনও ব্যাক্তি আছে যারা মহান আল্লাহ তায়ালার নাফরমানি করে। তাদের মধ্যে একজন হলো মুনাফিক। তারা পদে পদে আল্লাহর নাফরমানিতে ব্যাস্ত থাকে। রাসুল ( স.) মুনাফিকদের আলামত সম্পর্কে বর্ননা করেছেন।রাসূল ( স). বলেছেন এই কয়টা আলামত মানুষের মধ্যে দেখলে তাকে মনে করবে মুনাফিক।
রাসূল ( স.) বলেছেন মুনাফিকদের আলামত ৩ টি যথাঃ-
১. কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলে।
২. ওয়াদা ভঙ্গ করে।
৩. আমানতের খেয়ানত করে।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন মুনাফিকদের জায়গা হবে জাহান্নামের ওতলগহব্বরে। তাদের জাহান্নমের সর্বনিম্ন স্তরে জায়গা হবে।মহান আল্লাহ তায়ালা মুনাফিকদেরকে ঘৃণা করেন। যে স্থানে শাস্তি অনেক ভয়াবহ।
পবিত্র কোরআনে মহাম আল্লাহ তায়ালা বলেছেন নিঃসন্দেহে মুনাফেকরা থাকবে দোযখের সর্বনিম্ন স্তরে। আর তোমরা তাদের জন্য কখনও কোনো সাহায্যকারী পাবে না।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১৪৫)
আল্লাহ তাআলা মুনাফেকদের শাস্তি দেবেন মর্মে ওয়াদাবদ্ধ। তাদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ ও স্থায়ী আজাব সুনির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ-
আল্লাহ ওয়াদা করেছেন, মুনাফেক পুরুষ আর মুনাফেক নারীদের এবং কাফেরদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। সেখানে তারা থাকবে সর্বদা। সেটাই তাদের জন্যে যথেষ্ট। আর আল্লাহ তাদের প্রতি অভিশাপ দিয়েছেন এবং তাদের জন্যে রয়েছে স্থায়ী আজাব।’ (সুরা তাওবা : আয়াত ৬৮)
মুনাফিকরা ঈমান গ্রহণের ব্যাপারেও ছিল মিথ্যাবাদী। আল্লাহ তাআলা সুরা বাকারায় (৮-১২) সে কথা তুলে ধরে বলেন-
০৮. আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।০৯. তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।১০. তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন।
১১. আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্ গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি।১২. মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী,কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।১৩. আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না।
কুরআনের ভাষায় মুনাফিকরা শুধু ইসলাম ও মুসলমানদের সঙ্গেই প্রতারণা করে থেকে থাকেনি বরং তারা আল্লাহর সঙ্গেই প্রতারণা করে। সে কথা তুলে ধরে আল্লাহ বলেন-অবশ্যই মুনাফেকরা প্রতারণা করছে আল্লাহর সাথে, অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করে। বস্তুতঃ তারা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন দাঁড়ায়, একান্ত শিথিল ভাবে লোক দেখানোর জন্য। আর তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে।’ (সুরা নেসা : আয়াত ১৪২)
তাইতো আল্লাহ তাআলা মুনাফিকদের মিথ্যাবাদী সাক্ষ্য দিয়ে বলেনঃ-
‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।’ (সুরা মুনাফিকুন : আয়াত ৬৩)
কোরআনে মুনাফিকদের সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তারা ভেতর এক এবং বাহিরে আরেক রূপ দেখিয়ে ভাবে যে তাদের কপটতা সম্ভবত কেউ বুঝে না, অথচ তারা আত্মপ্রচঞ্চনায় ভোগে। কারণ আল্লাহ তায়ালা সবধরনের ধোঁকাবাজীর ঊর্ধ্বে। মুনাফিকরা তাদের ধোঁকার ক্ষতিকর পরিণতি দুনিয়া ও আখেরাতে পেয়ে থাকে।
পরিশেষে বলা যায় যে, আমারা খারাপ ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকব।আমরা কখোন এ মুনাফিকির ফাদে কখনো পরব না। সবসময় চল্লাহর ইবাদত করব ও আল্লাহর বিধান মেনে চলব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url