চুলের জন্য কেশরার উপকারিতা
চুলের যত্নে কেশরাজ এর উপকারিতা এবং অন্যান্য
৫ ই এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার
একটি প্যানে এক কাপ নারকেল তেল গরম করতে হবে। এবার কিছুটা কাটা ভ্রিংরাজের পাতা নিন এবং যদি পাতা না পান তবে এক চামচ কেশরাজের গুঁড়া ব্যবহার করুন। এরপরে এক চা চামচ মেথি দানা যোগ করুন এবং পাঁচ মিনিটের মতো মিশ্রণটি সিদ্ধ করুন। পাচঁ মিনিট হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিন এবং মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি কাচের বোতলে সংরক্ষণ করুন।
১. ভিটামিন এ : -
দেহ সঠিকভাবে কাজ করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ প্রয়োজন। চুল ভালো রাখতেও জরুরি। ভিটামিন এ’র সাথে ত্বকের গ্রন্থিগুলো সিবাম নামক তেল উৎপাদন করে যা মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ভিটামিন এ ‘ফ্রি রেডিকেল’য়ের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে চুলের চিটচিটেভাব কমে।
গাজর, পেঁপে, লাল মরিচ, মিষ্টি আলু, টমেটো, কলি, পালংশাক ইত্যাদি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার।
২. ভিটামিন বি:-
চুল পড়া কমাতে ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে বায়োটিন। শস্য, পাতাবহুল সবজি, বাদাম ইত্যাদিতে বায়োটিন বা ভিটামিন বি পাওয়া যায়।
বায়োটিন পানিতে দ্রবণীয় এবং প্রাকৃতিকভাবে চুলের ফলিকল মজবুত করে, বৃদ্ধি ঘটায় ও চুলের ক্ষয় পূরণ করে। চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি এর বৃদ্ধি ও উজ্জ্বলতা বাড়ায় বায়োটিন।
৩. ভিটামিন ই:-
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভিটামিন ই চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কমপক্ষে টানা আট মাস ভিটামিন ই খান তাদের চুলের বৃদ্ধি অন্যান্যদের তুলনায় ৩৪.৫ শতাংশ বেশি।
পালংশাক, কাঠবাদাম, ভেষজ তেল যেমন- সূর্যমুখি, ভুট্টা, জলপাইয়ের তেল ইত্যাদির ক্যাপসুল গ্রহণ করেন তাদের চুল মসৃণ ও বৃদ্ধি দ্রুত হয়।
৪. ভিটামিন ডি:-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হাঁড় মজবুত করে এবং ত্বক সুস্থ রাখার পাশাপাশি চুলের ফলিকল গঠনে সহায়তা করে।
সূর্যালোক ভিটামিন ডি’র ভালো উৎস। এটা চুল পড়া কমায় এবং মাথার ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা কমিয়ে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৪. লৌহ:-
লোহিত রক্ত কণিকার মাধ্যমে অক্সিজেন দেহের কোষে বহন করে নিয়ে যায় লৌহ। এটা দেহ কার্যকর রাখার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ হিসেবে কাজ করে।
সবুজ পাতাবহুল সবজি যেমন- কিডনি বিন, পালংশাক, ব্রকলি, মটর, বাদাম ইত্যাদি দেহের লৌহের চাহিদা পূরণ করে চুল পড়া কমায় এবং মসৃণভাব আনে।
৫. ভিটামিন সি:-
ভিটামিন সি ‘ফ্রি রেডিকেল’ থেকে সুরক্ষিত রাখে। ফলে চুল পড়া কমে, এর বৃদ্ধি দ্রুত হয় এবং মলিনভাব হ্রাস পায়।
শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভিটামিন সি চুল শক্ত ও সুস্থ রাখে এবং চকচকেভাব আনে।
পেয়ারা, আমলকি, স্ট্রবেরি, লেবু ও সবজি যেমন- ব্রকলি, আলু, মরিচ ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার।চুল ভালো রাখতে কেউ চাইলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বায়োটিন সম্পূরক হিসেবে খেতে পারে।
৬. জিঙ্ক:-
মাথার ত্বকের সিবাকাস গ্রন্থিতে তেল এবং টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন বাড়ায়। ডার্ক চকলেট, বাদাম, বেইক করা মটর, মটর, সবজি ইত্যাদি জিঙ্কের ঘাটতি কমায়।
পরিশেষে বলা যায় যে, আমরা যদি এগুলো কাজ করি তাহলে আমাদের চুলের স্বাথ্য ভালো থাকবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url