OrdinaryITPostAd

জান্নাত সম্পর্কে কিছু হাদিস

 জান্নাত সম্পর্কে কিছু হাদিস 

২৪শে এপ্রিল বুধবার ২০২৪




    ছবি সংগ্রহীত 





সমস্ত হিসাব নিকাসের পরে মহান আল্লাহ তায়ালা  সকল মানুষদেরকে দুটি শ্রেনিতে বিভক্ত করবেন। একটা হলো জান্নতি আরেকটা  হলো জাহান্নামি। আর জান্নাতিরাই হলো সফলকাম ব্যাক্তি।



কোনো শিল্পী তাঁর রংতুলিতে তা আঁকতে পারবেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! জান্নাতের নির্মাণ কী দিয়ে? তিনি বলেন, এর একটি ইট হলো রুপার, আরেকটি হলো সোনার। এর গাঁথুনি হলো সুগন্ধময় মিশকের। এর নুড়িগুলো হলো মাটির ও ইয়াকুতের।


মাটি হলো জাফরানের। যে ব্যক্তি এতে প্রবেশ করবে সে নিয়ামত ও সুখ ভোগ করবে। কষ্ট পাবে না কখনো। সর্বদা থাকবেমৃত্যু হবে না কখনো। তাদের পরিচ্ছদ কখনো পুরনো হবে না।
আর তাদের যৌবন কখনো শেষ হবে না।

(তিরমিজি, হাদিস : ২৫২৬)




জান্নাতের বাড়ির বৈশিষ্ট্যঃ-

প্রতিযোগিতা করে নেক আমলকারী ব্যক্তির 

জন্যই জান্নাত। যার উপমা পৃথিবীতে কিছুই নেই। 

উসামা ইবনে জায়িদ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) 

একবার তাঁর সাহাবিদের লক্ষ্য করে বলেছেন, 

আছে কি কেউ জান্নাতের জন্য কোমর বেঁধে কর্ম 

সম্পাদনকারী? কেননা জান্নাতের উপমাসদৃশ

 কোনো জিনিস নেই। কাবার রবের শপথ! এ

 জান্নাত তো ঝলমলে আলো, বিচ্ছুরিত সুগন্ধি,

 সুরম্য প্রাসাদ, প্রবহমান স্রোতস্বিনী, সুমিষ্ট অসংখ্য ফলমূল, সুন্দরী সুশ্রী স্ত্রী, বহুঅলংকারে বিমণ্ডিত, স্থায়ী স্থান, সবুজ শ্যামলীমায় পরিপূর্ণ নিয়ামত। আরো আছে গগনচুম্বী নিরাপদ প্রাণস্পর্শী প্রাসাদ, তাঁরা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা এ জান্নাতের জন্য কোমর বাঁধলাম। তিনি বলেন, তোমরা বলো, ইনশাআল্লাহ। এরপর তিনি জিহাদের আলোচনা করেন এবং এর প্রতি উৎসাহ প্রদান করেন। (ইবনে মাজা, হাদিস : ৪৩৩২)



সর্বনিম্ন জান্নাতির মর্যাদাঃ-

জান্নাতে মানুষের বয়স সর্বদা এক থাকবে। মানুষ 

ছোট-বড় যে বয়সেই মারা যাক না কেন, জান্নাতে 

গিয়ে তার বয়স হবে ৩০। আমল অনুযায়ী 

জান্নাতের অপূর্ব নিয়ামতের মালিক হবে। আবু 

সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

রাসুল (সা.) বলেছেন, জান্নাতিদের মধ্যে সর্বনিম্ন 

যে তারও হবে ৮০ হাজার সেবক, বাহাত্তর হাজার 

সঙ্গিনী। মোতি, জবরজত ও ইয়াকুত পাথরে 

নির্মিত জাবিয়া থেকে সানআ পর্যন্ত দূরত্বের মতো 

বিস্তৃত এক বিরাট গম্বুজবিশিষ্ট প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা

 করা হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৫৬২)



হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সা.) বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন, আমি আমার নেককার বান্দাদের জন্য জান্নাতে এমন সব নিয়ামত তৈরি করে রেখেছি যা কোনো চোখ দেখেনি, কোনো কান শুনেনি এবং কোনো অন্তঃকরণও তা সম্পর্কে কোনো ধারণা রাখে না। (বুখারী, মুসলিম)


হযরত জাবির (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, অবশ্যই জান্নাতবাসীরা জান্নাতে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করবে। কিন্তু তাদের থুথু ফেলার, পেশাব-পায়খানা করার কিংবা নাক ঝাড়ার প্রয়োজন হবে না। সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন, তাদের ভক্ষ্যবস্তুর (পেটে) কি দশা হবে? হুজুর (সা.) বললেন, ঢেকুর ও পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে বের হবে। কিন্তু মেশকের সুগন্ধ বের হবে। আর জান্নাতবাসীর অন্তরে আল্লাহর তাসবীহ ও তাহমীদ এমনভাবে বেধে দেয়া হবে যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস। (অর্থাৎ জান্নাতিরা শ্বাস-প্রশ্বাসের ন্যায় সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করতে থাকবে। (মুসলিম)


হযরত জাবির (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, অবশ্যই জান্নাতবাসীরা জান্নাতে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করবে। কিন্তু তাদের থুথু ফেলার, পেশাব-পায়খানা করার কিংবা নাক ঝাড়ার প্রয়োজন হবে না। সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন, তাদের ভক্ষ্যবস্তুর (পেটে) কি দশা হবে? হুজুর (সা.) বললেন, ঢেকুর ও পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে বের হবে। কিন্তু মেশকের সুগন্ধ বের হবে। আর জান্নাতবাসীর অন্তরে আল্লাহর তাসবীহ ও তাহমীদ এমনভাবে বেধে দেয়া হবে যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস। (অর্থাৎ জান্নাতিরা শ্বাস-প্রশ্বাসের ন্যায় সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করতে থাকবে। (মুসলিম)

জান্নাত নিয়ে আরও অসংখ্য হাদীস রয়েছে  যা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি।


জান্নাতের ৮টি স্তরঃ-

১. জান্নাতুল ফিরদাউস, ২. দারুল মাকাম, ৩. জান্নাতুল মাওয়া, ৪. দারুল কারার, ৫. দারুস সালাম, ৬. জান্নাতুল আদনে, ৭. দারুন নায়ীম ও ৮. দারুল খুলদ।


পরিশেষে বলা যায় যে, আমাদের  মহান আল্লাহর  হুকুম মানতে হবে।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪