কাদের ফুচকা বেশি পছন্দ এবং কেন?
মেয়েদের ফুচকা বেশি পছন্দ এবং কেন?
৩০শে এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪
বাংলাদেশের স্ন্যাক্সের যদি তালিকা করা হয়, তাহলে নি:সন্দেহে ফুচকার নাম থাকবে সবার ওপরে। নানা স্বাদের সংমিশ্রণই এর কারণ।
মানুষের পছন্দের এই খাবারটি নিয়ে ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে ফুচকা ফেস্টের।
যেখানে রয়েছে নানা নামের ২০ রকমের ফুচকা। ফুচকায় আনা হয়েছে ফিউশন। আর মেয়েদের বেশি ফুচকা পছন্দ।
গোলাকার মচমচে ফুচকার ভেতরে মসলাদার বুট, আলু, পেয়াজ কুচি, ধনে পাতা আর তার ভেতর তেঁতুলের রস। মুখে দিতেই ফুচকা ভেঙ্গে যেন জিহ্বায় স্বাদের ঝড় তোলে।
আমার ছেলের ভীষণ আগ্রহ, শুক্রবার দেখে চলে এলাম। আসলে ওরা তো সারাদিন এই বার্গার, পিৎজা -- এসব ফাস্টফুড খায়। ফুচকা আমাদের দেশী খাবারের অংশ। তাই এখানে এলাম যেন ওর মধ্যেও এই আগ্রহ জন্মায়।"
ফুচকা কেন পছন্দ? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাদের ব্যাখ্যা দিয়ে দিলেন মিসেস রাকিবার ছেলে আরিব শারাফ।
"আমার ফুচকা অনেক ভাল লাগে। অনেক মজার। এজন্য আমি এখানে খেতে এসেছি। আমার সবচেয়ে প্রিয় দই ফুচকা। এটা একটু মিষ্টি, আবার ক্রাঞ্চি, ওটা আমার সস দিয়ে খেতে খুব ভাল লাগে।"
দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে এই মুখরোচক খাবারটি বিভিন্ন নামে তাদের জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কোথাও এটি গোলগাপ্পা কোথাও বা পানিপুরি আবার কোথাও ওয়াটার বোলস।
চামেলী বেগম জানান, তিনি একজন বৃক্ষ প্রেমী। ফুচকা দোকানের পাশে পদ্মার ধার দিয়ে লাগিয়েছেন অসংখ্য গাছও। পাশাপাশি পানি দেওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় পরিচর্যার কাজও করেছেন নিজ হাতে। ভালো লাগা থেকেই এসব বৃক্ষরোপণ বলেও জানান তিনি।
তার লাগানো কয়েক প্রজাতির লাগানো চারা রূপ নিয়েছে বড় গাছে। সবুজ পাতায় ছেঁয়ে গেছে আশপাশের এলাকা। বিশুদ্ধ অক্সিজেন পেতে অনেকেই ভিড় জমান এসব গাছ তলায়। সূর্যের প্রখর তাপ থেকে রক্ষা পেতে এই গাছের নীচে অনেকেই বসেন আবার বিকেল করে গাছগুলোকে ঘিরে দর্শনার্থীদের আড্ডার আসর জমতে দেখা যায়।
ফুচকা খেতে আসা রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী নাজিফা তাসনিম বলেন,আশেপাশে অনেক দোকান থাকলেও আমি মূলত এই দোকানেই ফুচকা খেতে আসি। কারণ এখানকার ফুচকা চটপটির স্বাদ বেশ ভালো। তাছাড়া খালার ব্যবহারও অনেক ভালো।
পদ্মাপাড়েই ঘুরতে এসেছেন মাহি ও তার দুই বান্ধবী। তাদের কাছে জানতে চাইলে মাহি বলেন, এর আগেও এখানে এসে ফুচকা খেয়েছি।কাজের ফাঁকে কিংবা বিনোদনের জন্য প্রায়শই আসা হয়। এখানে এলেই এখানকার ফুচকা খেয়ে থাকি। একজন নারী একা স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন এবং সংসারের সব খরচ সামাল দিচ্ছেন এটাই অনেক।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url