চুলের যত্ন আওলার ব্যবহার
চুলের যত্নে ৬টি ব্যবহার
২৫শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪
ছেলেদের ও মেয়েদের সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ চুল। ত্বকের যত্নের ব্যাপারে অনীহা থাকলে চুলের যত্নের ব্যাপারে তাঁরা কিন্তু বেশ সচেতন। তবে অনেকেই চুলের যত্ন বলতে কেবল রোজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করা বোঝেন। ঝলমলে সুন্দর স্বাস্থ্যকর চুল পেতে হলে শুধু শ্যাম্পু করলেই চলবে না, বাড়তি যত্নেরও দরকার আছে। এই যত্নের জন্য খুব বেশি সময় ব্যয়ের প্রয়োজন নেই।
চুলের যত্নে ৬ টি ব্যাবহার নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ-
১. চুল ঢেকে রাখুন -গ্রীষ্মকালের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি টিপ।
সরাসরি সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে চুলকে রক্ষা করতে চুলকে স্কার্ফ বা উড়না দিয়ে অবশ্যই ঢেকে রাখুন। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি আপনার চুল খুব বাজে ভাবে ড্যামেজ করতে পারে।
২. অতিরিক্ত চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন- গরমে বেশি বেশি চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন। বেশি চুল ধোয়া হলে স্কাল্পের ন্যাচারাল তেল ধুয়ে যায় , যার ফলে চুল শুষ্ক হয়ে যায়।
৩। স্কাল্প ম্যাসাজ করুন - চুল শ্যাম্পু করার পর মৃদু গরম তেল চুলে , স্কাল্প এ মালিশ করতে পারেন। এখানে আপনি যেকোনো সাধারণ তেল ব্যবহার করতে পারেন। নারিকেল , অলিভ, আলমন্ড তেল সবচেয়ে ভালো হয় ম্যাসাজের জন্য।
৪. চুল ট্রিম করুন - গরম কালে চুলের ড্যামেজ পার্ট কেটে নেয়া খুব ভালো , তাহলে চুল স্বাস্থকর থাকবে। আর যদি চুল ছেঁটে নেয়া যায় তাহলে চুল আরো চুলের ড্যামেজ হওয়ার ভয় আরো কমে যাবে।
৫. মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন - হেয়ার ব্রাশ না ব্যবহার করে মোটা , ফাঁকা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। এটা চুল সহজে আঁচড়াতে , গিট ছাড়াতে সাহায্য করবে।
৬. চুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ময়েশ্চার যোগাতে নিয়মিত চুলে তেল লাগানো খুবই জরুরী। নিয়মিত হেয়ার অয়েলিং চুলকে ড্রাই, ফ্রিজি এবং ড্যামেজ হওয়া থেকে বাঁচায়। আপনি আপনার পছন্দের যে কোনো হেয়ার অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। আবার চাইলে কয়েকটি অয়েল যেমন – কোকোনাট অয়েল, অলিভ অয়েল, জোজোবা অয়েল, অ্যাভোকেডো অয়েল, আমন্ড অয়েল ইত্যাদি মিক্স করেও লাগাতে পারেন।
পরিশেষে বলা যায় যে আমাদের চুলের যত্ন করতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url