আমের আচারের উপকারীতা
আমের আচারের উপকারীতা
২৫ শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার
আমাদের সবার আচার খেতে ভালোলাগে।শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই আচার খেতে পছন্দ করেন। আচারের উৎকৃষ্ট সময় এখনই। টকজাতীয় আচার খেতে পারেন খিচুড়ি কিংবা ভাতের সঙ্গে। এছাড়া মিষ্টি আচার এমনিতেই খেতে পারেন।
জেনে অবাক হবেন অতিরিক্ত গরমলাগা, মাথা ধরা, ঘামাচিসহ ঋতু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে মুক্ত রাখে আমের আচার।
আচারের মধ্যে রয়েছে আমের আচার, বরই এর আচার, জলপাই এর আচার ইত্যাদি। আমরা এখন আমের আচার সম্পর্কে কথা বলব। যখন আমের মৌসুম আসে তখন প্রচন্ড ঋড় হয়।ঋড়গুলোর মধ্যে রয়েছে কালবৈশাখী ঋড়। আম যখন একটু বড় হয় তখন এই ঋড় হতে দেখা যায়।তখন মানুষের আম কুরানোর ধুম পড়ে যায়। আনেকে এগুলো আম দিয়ে আচার করে আবার অনেকে আবার বিক্রিও করে।
আচার শুধু রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে তাই নয়, হজম ক্ষমতা ও খিদে দুই বাড়ায়। আর অনেক সময় বেশ কিছু সব্জি দিয়েও আচার বানানো হয়। ফলে আচারের মধ্যে ভিটামিন, খনিজ থাকে ভরপুর। যে কারণে গর্ভবতী মহিলাদের আচার খাবার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে গর্ভস্থ সন্তানের হাড় ও ডাঁতের গঠন পুষ্টি ভালো হয়।
বিভিন্ন সব্জিকে আগে প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষণ করে সারা বছর ধরে আচার হিসাবে খাওয়া হয়। সংরক্ষণের জন্য তেল, মশলা, নুন নির্দিষ্ট পরিমাণে দেওয়া হয়। আর আচারে ফারমেন্টেশনের ফলে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় যা আমাদের শরীরকে রিবুট করতে সাহায্য করে। তবে আচার তৈরির পদ্ধতিতে অনেক সাবধান হতে হবে। পরিমাণে সব কিছু ঠিক ঠিক মেশাতে হবে। আর আচার সবসময় কাঁডের জারে সংরক্ষণ করবেন। সেই সঙ্গে নিয়মিত রোদ খাওয়াবেন। নানারকম আচার তৈরি হলেও জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে আমের আচার। তাই প্রতিদিন ভাত বা রুটির সঙ্গে খান এক চামচ আচার। এতে শরীর থাকবে সুস্থ, বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
আমের আচারের ৫ টি উপকারিতা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ-
১. ঘামাচি সারাতে অব্যর্থ।
২. রুচি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৩. গরমকালে রোগপ্রতিরোধক।
৪. যকৃৎ ভালো রাখে।
৫. আমের আচারে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url