পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদের জীবনে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদের জীবনে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ
২৪শে এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের জীবনে নপয়ামত হিসেবে প্রেরন করেছেন। এই নামাজ রমজান মাসে আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (স.) মেরাজের রাতে সকল উম্মাহর জন্য উপহার নিয়ে এসেছেন।
রাসূলুল্লাহ সা: যখন মিরাজে গমন করেন, মহান আল্লাহ তায়ালা তখন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করেন রাসূল সা: ও তার উম্মতের ওপর। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা সর্বমোট ৮২ বার নামাজের কথা বলেছেন।
নামাজ একটি ফরজ তথা আবশ্যক ইবাদত, সেই প্রসঙ্গে আল্লাহপাকের বর্ণিত কুরআনের কিছু আয়াত ‘যারা অদৃশ্যের বিষয়গুলোতে ইমান আনে এবং নামাজ কায়েম করে’ (সূরা বাকারা, আয়াত-৩)। ‘আর তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠা করো; জাকাত প্রদান করো এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু করো’ (সূরা বাকারা, আয়াত-৪৩)। ‘হে নবী! আমার বান্দাদের মধ্যে যারা মুমিন তাদের বলুন, নামাজ কায়েম করতে’ (সূরা ইবরাহিম, আয়াত-৩১)। ‘তোমরা লোকদের সাথে উত্তমভাবে কথা বলবে এবং নামাজ আদায় করবে’ (সূরা বাকারা,আয়াত-৮৩)। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তুমি বলে দাও, আমার রব ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। তোমরা প্রত্যেক নামাজের সময় তোমাদের মুখমণ্ডল স্থির রেখো’ (সূরা আরাফ, আয়াত-২৯)। ‘অতএব, আল্লাহকে সিজদা করো এবং তার ইবাদত করো’ (সূরা নাজম, আয়াত-৬২)
হুসায়ন ইবনে হুরায়স রহ. বুরায়দা রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আমাদের এবং কাফিরদের মধ্যে পার্থক্যকারী আমল হলো সালাত। যে সালাত ছেড়ে দিলো সে কুফরি করল।’ (সুনানে নাসায়ি-৪৬৪, সহিহ ইবনে মাজাহ-১০৭৯)
ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, সমাজ জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন, নামাজ সর্বোপরি সব জীবনের জন্যই একটি কল্যাণকর ইবাদত। মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা সব বান্দাকে সঠিকভাবে নামাজ আদায়ে তৌফিক দান করুক, আমিন।
নামাজের ৫টি উপকারিতা নিম্নে বর্ননা করা হলোঃ-
১) তার অভাব দূর হবে।
(২) কবরের আযাব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
(৩) ডান হাতে আমল নামা পাব।
(৪) বিজলীর ন্যায় পুলসিরাত পার হওয়া যাবে ও
(৫) বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করব।
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কারো ঘরের সামনে যদি নহর (প্রবাহিত) থাকে এবং সে যদি তাতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তবে কি তার শরীরে কোনো প্রকার ময়লা থাকতে পারে? সাহাবায়ে কেরাম বলেন, না তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে না। রাসুল (সা.) বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্তও এরূপ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দ্বারা আল্লাহ গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেন। (নাসায়ি, হাদিস : ৪৬২)
কোরআনের সুরা বাকারায় ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৪৩)
একই সুরার অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং তোমরা নামাজ কায়েম করো ও জাকাত আদায় করো এবং (স্মরণ রেখো) তোমরা যেকোনো সৎকর্ম নিজেদের কল্যাণার্থে সম্মুখে প্রেরণ করবে, আল্লাহর কাছে তা পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যেকোনো কাজ করো আল্লাহ তা দেখছেন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১১০)
পরিশেষে বলা যায় যে, আমাদের নামাজ কায়েম করতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url