OrdinaryITPostAd

রমজানের দ্বিতীয় দশ দিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল এবং এর ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন

রমজানের দ্বিতীয় দশ দিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল এবং এর ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন  

৪ মার্চ সোমবার ২০২৪



        ছবি সংগ্রহীত 


ইবাদত বন্দেগের মাস মাহে রমজান মাস। এ মাসের ইবাদত গুলো সারা বছরের থেকেও বেশি উত্তম। এ মাসের প্রথম দশ দিনকে রহমত, দ্বিতীয় দশ দিনকে মাগফিরাত এবং শেষ দশ দিনকে নাজাতের সুযোগ হিসেবে দেখা হয়।

মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) ইরশাদ করেন, “রমজান এমন এক মাস, যার শুরুতে রহমত, মাঝে মাগফিরাত এবং শেষে রয়েছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি।”-(ইবনে খুজাইমা : ১৮৮৭)। 


আর কিছু দিন পরে শুরু হতে চলছে পবিত্র মাহে রমজান মাস। এই মাসের গুরুত্ব এবং ফজিলত অনেক বেশি। 

মাগফেরাতের দশকে বা এই দশ দিন আল্লাহর কাছে প্রত্যেক মুমিনের বেশি বেশি তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। কারণ তওবা সফলতার চাবিকাঠি। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, “হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই তওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।”- (সুরা : আন-নুর, আয়াত : ৩১)


মাগফিরাতের এই সময়টাতে যে মুমিন বান্দাগণ আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি তওবা করে এবং মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহ তায়ালা তাদের দোয়া কবুল করে। রমজান মাস দোয়া কবুলের মাস, এ মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছি। রমজান মাসের প্রত্যেকটি দিনই অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলত ময়। তাই সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উচিত  বেশি বেশি আমল করা  এবং তওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। কেননা তবার মাধ্যমে  আল্লাহতালা তার বান্দাদের সকল জানা-অজানা গুনার সময় মাফ করে দিয়ে থাকেন। 


 তাই, প্রত্যেক মুমিনের উচিত মাগফিরাতের দশকে বেশি বেশি তওবা করা এবং নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে নেওয়া। কারণ, আল্লাহ এই মাসে গুনাহ মাফের ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন রমজান মাসের প্রথম রাতের আগমন ঘটে তখন দুষ্ট জিন ও শয়তানদের বন্দি করা হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও খোলা হয় না এবং জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না। আর একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে— হে কল্যাণের প্রত্যাশী! অগ্রসর হও, হে অকল্যাণের প্রার্থী! থেমে যাও। আর আল্লাহ তাআলা এ মাসের প্রতি রাতে অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দান করেন। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৬৮২)


রমজান মাস যেহেতু সকল মাসের থেকে উত্তম সেজন্য প্রত্যেক মুমিন বান্দাদের উচিত বেশি বেশি এ মাসে আল্লাহ তায়ালার এবাদত বন্দেগী করা এবং তওবা করা। হাজার মাসের থেকে উত্তম রমজানের প্রত্যেকটাই দিন।









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪