OrdinaryITPostAd

রমজানের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত করণীয় আমল সমূহ

 রমজানের প্রথম থেকে শেষ  পর্যন্ত করণীয় আমল সমূহ 

১১ ই মার্চ ২০২৪ সোমবার 



    ছবি সংগ্রহীত 



রমজান মাসকে মহান রব্বুল আলামীন আমাদের জন্য এক বিশেষ নেয়ামত হিসেবে  প্রেরন করেছেন। এ মাসে মহান   আল্লাহ তায়ালা  শয়তানদের আগুনের সিকল দিয়ে আটকিয়ে  থুয়ে  দেওয়া হয়।এ মাসে এক রাকাত নামাজে ৭০ নামাজের  সওয়াব  পাওয়া যায়।



রমজান মাসের ৩১ টি আমল সমূহ নিম্মে উল্লেখ করা হলোঃ-

১. সিয়াম পালন করা।

২.সময়মতো নামাজ আদায় করা।

৩.সহিহভাবে কোরআন শেখা।

৪.অপরকে কোরআন তিলাওয়াত শেখানো।

৫.সেহরি খাওয়া।

৬.সালাতুত তারাবিহতে অংশগ্রহণ করা।

৭.বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা।

৮.বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করা।

৯. কল্যাণকর কাজে বেশি অংশগ্রহণ করা।

১০.নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা।

১১.অধিক পরিমানে দান-সদাকাহ করা।

১২.উত্তম চরিত্র গঠনের অনুশীলন করা।
১৩.ইতিকাফ করা।

১৪.দাওয়াতে দ্বীনের কাজে অংশগ্রহণ করা।

১৫. সাধ্য থাকলে ওমরাহ পালন করা।

১৬.শেষ দশকের বেজোড় রাতে ১৭.লাইলাতুল কদরের সন্ধান করা

১৮.রোজাদারদের ইফতার করানো।

১৯.দাওয়াতে দ্বীনের কাজে অংশগ্রহণ করা।

২০.তওবা ও ইস্তেগফার করা।

২১.তাকওয়া অর্জন করা।

২২. আল কোরআন খতম দেওয়া। 

২৩.বেশি বেশি দুআ করা এবং আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করা।
২৩.মিথ্যা কথা না বলা। 
২৪.মুখ দিয়ে  অশ্লীল  ভাষা না বলা।
২৫.ওজনে কম দেওয়া যাবে না। 



আল-কোরআনে এসেছে, ‘রমজান মাস, যার মধ্যে কোরআন নাজিল করা হয়েছে— লোকদের পথ প্রদর্শক এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট বর্ণনারূপে এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে।’ (সুরা আল-বাকারাহ, আয়াত : ১৮৫)


পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- ‘আমার কাছে দোয়া করো, আমিই তোমাদের দোয়া কবুল করব’ (সূরা মুমিন-৬০)। মাহে রমজানে দোজখের দরজাগুলো বন্ধ এবং বেহেশতের দরজাগুলো খোলা থাকে। শান্তির সুবাতাস বইতে থাকে চারদিকে, যার ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবার হৃদয়-মন হয় বিগলিত ও ইবাদতপ্রবণ। গোনাহ কম হয়, পুণ্যের কাজে অংশগ্রহণ বেড়ে যায়। রমজান মাসে তারাবি, তাহাজ্জুদ, সাহরি ছাড়াও ইফতারে দোয়া কবুল হয়। 


হাদিসে তিন সময় দোয়া কবুল হওয়ার কথা হয়েছে,  তার মধ্যে একটি হলো -ইফতারের আগ মুহূর্তের দোয়া। রমজান মাসে আমাদের  বেশি  বেশি  তওবা  ইস্তগফার পড়তে হবে। 


আমাদের  বিশ্ব  নবী হযরত মুহাম্মদ (স.)  বলেছেন,  যে ব্যাক্তি রমজান মাস পেয়ে  গুনাহ মাফ করতে পেল না তার  মতো  কপালপোরা আর কেও নেই। আমাদেরকে ওপরের আমলগুলো নিজের  জীবনে কাজ লাগাতে  হবে।



 আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘ফরজ সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হলো- রাতের সালাত অর্থাৎ তাহাজ্জুদের সালাত।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৮১২)

হজরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘শাবান মাসের শেষ দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্য এ মর্মে বক্তব্য দেন যেঃ-

‘হে লোক সকল! অবশ্যই তোমাদের সামনে মহান মাস, বরকতময় মাস উপস্থিত। এ মাসে তোমরা ৪টি আমল বেশি বেশি আদায় করবে।

এর মধ্যে দুইটি কাজ আল্লাহর জন্য আর দুইটি কাজ তোমাদের নিজেদের জন্য।’

আল্লাহর জন্য ২ আমল

১. কালেমার সর্বোত্তম তাসবিহ- لَا اِلَهَ اِلَّا الله 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠ করা।

২. আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইসতেগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করা।


পরিশেষে বলা যায়, আমাদের এ মাসে  বেশি  বেশি আমল সমূহ করতে হবে,ও ওপরের কাজগুলোকে যথাক্রমে পালন করতে হবে।এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে  প্রার্থনা করতে হবে। 






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪