ঈদের দিনে চাঁদ রাতের আমলসমূহ
ঈদের দিনে চাঁদ রাতের আমলসমূহ
৩০ শে মার্চ শনিবার ২০২৪
ঈদ হলো সকল উম্মাহর জন্য খুবই বড় নেয়ামত। বছরের দুইবার আমারা এই ঈদ উদযাপন করি। এজটি হলো ঈদুল ফিতর ও আরেকটি হলো ঈদুল আযহা। আমরা সবাই যখন ঈদের চাঁদ উঠতে দেখি তখন আমাদের মন খুশিতে আত্তহারা হয়ে যায়। আমাদের এই চাঁদরাত অনেকগুলো আমল আছে।
এই চাঁদরাতে আমরা দেখি যে, অনেকে পটকা বা বিভিন্ন ধরনের উশৃংখল পন্য ফোটায় বা বাজায়।এটি সব ইসলাম বিরধী বা গর্ধিত একটি কাজ। এটি করা থেকে বিরত থেকে আমাদের গুনাহ থেকে পানাহ চেতে হবে। ঈদের দিনে চাঁদ দেখার পর প্রথম সুন্নাহ হলো ঈদের তাকবির পড়া। ঈদের আগে আমাদের ফিতরার টাকা দিয়ে দিতে হবে।
হাদিসে নতুন চাঁদ দেখার একটি দোয়া বর্ণিত হয়েছে। তা হলোঃ-
اَللهُ أَكْبَرُ اَللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيْمَانِ وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، رَبِّىْ وَرَبُّكَ اللهُ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ : হে আল্লাহ, তুমি ওই চাঁদকে আমাদের ওপর উদিত কর নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে। (হে চাঁদ) আমার ও তোমার প্রতিপালক আল্লাহ।
হাদিস : তালহা বিন উবাইদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন এই দোয়া পড়তেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৫১)
ছোট্ট এই দোয়াটি পড়ে আমরা বুঝতে পারি যে রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এই দোয়াটি পড়ার মাধ্যমে অনেক কিছু প্রার্থনা করেছেন। তাই নবীজির উম্মত হিসেবে আমাদের সকলেরই উচিত নতুন চাঁদ দেখা ও চাঁদ দেখার পর দোয়া পড়া।
রমজান মাসের চাঁদ বিশ্ব মুসলিমের জন্য বয়ে নিয়ে আসুক অনাবিল শান্তি, এবং আল্লাহর হেদায়েত এবং রহমত। মহান রাব্বুল আলামিন বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে নবীজির সুন্নতের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন।
(আমিন )
ঈদের রাতের আমলগুলো হলোঃ-
মাগরিব, এশা ও ফজর নামাজ পুরুষদের মসজিদে জামাতের সঙ্গে পড়ার চেষ্টা করা এবং নারীদের আউয়াল ওয়াক্তে ফরজ নামাজ আদায় করা। রাতের ইবাদতের জন্য বিশেষভাবে পবিত্রতা অর্জন করা; সম্ভব হলে গোসল করা। ইবাদতের উপযোগী ভালো কাপড় পরিধান করা। সুগন্ধি ব্যবহার করা। মাগরিবের পর আউয়াবিন নামাজ পড়া এবং শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া। রাত জেগে নফল ইবাদত করা। নফল নামাজ পড়া। তাহ্যিয়াতুল অজু, দুখুলুল মসজিদ, তাওবার নামাজ, সলাতুল হাজাত, সলাতুত তাসবিহ ইত্যাদি পড়া। কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করা, দরুদ শরিফ পাঠ করা, ইস্তিগফার করা, তাসবিহ তাহলিল, জিকির-আজকার ইত্যাদিতে মশগুল থাকা।
ইসলামে বার্ষিক দুটি ঈদ পর্ব—ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। এ উভয় ঈদের প্রবর্তন ও প্রচলন হয় দ্বিতীয় হিজরি সনে। এ বছরই বদরের বিজয়ের তেরো দিন পরপয়লা শাওয়াল ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ উদ্যাপন করা হয় এবং মদিনার সুদখোর মহাজন ইহুদি বনু কাইনুকা সম্প্রদায়কে নিরস্ত্র করার পর দশ জিলহজ ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। নবীজি (সা.) বলেন: ‘প্রত্যেক জাতির উৎসব আছে, আমাদের উৎসব হলো এই দুই ঈদ।’ (মুসলিম, তিরমিজি)।
পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ ওয়াজিব। ঈদের নামাজের সময় হলো সূর্যোদয়ের পর থেকে মধ্য দিবসের আগ পর্যন্ত। ঈদের নামাজের আগে বা পরে কোনো নফল নামাজ পড়তে হয় না। ঈদের নামাজের জন্য আজান ও ইকামত দিতে হয় না। সাধারণত দিনের প্রথম প্রহরেই ঈদের নামাজ পড়া হয়। রমজানের ঈদ অপেক্ষা কোরবানির ঈদে জামাত একটু আগেই করা হয়; কারণ তারপর কোরবানির পশু জবাইসহ নানা কাজ থাকে। রমজানের ঈদের নামাজের আগে এবং কোরবানির ঈদে ঈদের নামাজের পরে প্রাতরাশ গ্রহণ করা সুন্নত।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url