রোজা ভাঙ্গার কারণ গুলো কী কী?
রোজা ভাঙ্গার কারণ গুলো কী কী ?
৪ই মার্চ ২০২০ সোমবার
সারা বিশ্বে পালিত হতে চলছ পবিত্র মাহে রমজান। ইসলাম ধর্মে রোজা মুসলমানদের জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান বা ইবাদত । বলা হয়েছে, ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে রোজা তৃতীয় স্তম্ভ। সিয়ামের শুদ্ধতা ও যথার্থতার জন্য নির্ধারিত কিছু বিধিবিধান রয়েছে, যার ব্যতিক্রম ঘটলে রোজা ভঙ্গ হয়, অন্যথায় মাকরুহ হয়ে যায়। মহান আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুমিন বান্দাকে রমজান মাসে ফরজ রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা রাখবে না বা ভঙ্গ করবে তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ কঠিন হয়ে পড়বে।
প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ও সবল মুমিন মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই রোজা নয়; বরং রোজা রাখা অবস্থায় মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়মও। রমজান মাসে রয়েছে নানান করনীয় ও বর্জনীয় কাজ শুধু রোজা রাখলেই চলে না ইবাদত পালন করতে হবে।
অনেকগুলো গানের রোজা বা সিয়াম ভেঙে যেতে পারে চলুন সিয়াম বা রোজা ভাঙ্গার কারণগুলো জেনে নিন –
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ :
১. ইচ্ছা করে বমি করা।
২. বমির বেশির ভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলা।
৩. মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসবের পর ঋতুস্রাব।
৪. ইসলাম ত্যাগ করলে।
৫. গ্লুকোজ বা শক্তিবর্ধক ইনজেকশন বা সেলাইন দিলে।
৬.প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করালে।
৭. রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে।
৮. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে।
৯. মুখ ভরে বমি করলে।
১০. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে, রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরও কিছু খেলে।
১১. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেললে।
১২. কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে।১৩. জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে।
১৪. অল্প বমি মুখে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে তা গিলে ফেললে।
১৫. রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেয়ার সময় ভেতরে পানি চলে গেলে। (ফাতাওয়ায়ে শামি ও ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি)।
রোজার প্রথম শর্ত হলো, একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো কিছু পান ও আহার না করা। এ সময় সব ধরনের শারীরিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ। তবে স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হয় না। আমাদের সকলের রোজা ভঙ্গের এ কারণগুলো জানা প্রয়োজন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url