OrdinaryITPostAd

ঈদের সুন্নাহভিত্তিক আমল ও ফজিলত

   ঈদের সুন্নাহভিত্তিক       আমল ও ফজিলত          ৯ ই মার্চ ২০২৪ শনিবার

     ছবি সংগ্রহীত 




পবিত্র  ঈদুল  ফিতর  মুসলমানদের জন্য  একটি  মহা উৎসবের দিন। এই ঈদ আমাদের মহান আল্লাহ  তায়ালা সকল মুসলিম  জাতির  জন্য  উপহার দিয়েছেন। আমরা এই ঈদ পেয়ে গর্বিত। এই ঈদে আমরা সবাই  ধনী  গরিব  নির্বিশেষে  ঈদের জামাতে একত্রিত হয়।


ঈদের ১০ টি সুন্নাহ নিচে দেওয়া হলোঃ-


১. সকালে তাড়াতাড়ি  ঘুম  থেকে  ওঠা।

২. মেসওয়াক করা,সকাল  সকাল ঘুম থেকে ওঠে গোসল করা।

৩. সুগন্ধি  জাতীয়  কোন  কিছু  ব্যাবহার করা। 

৪. মিষ্টি  মুখ  করা। 

৫. ঈদে  পায়ে হেটে  যাওয়া, এবং  ঈদে যে স্থান  দিয়ে  যাবে, সেই  স্থান  দিয়ে  না যেয়ে  অন্য  স্থান  দিয়ে  আসা উত্তম। 

৬. সাধ্যমতো উত্তম  পোশাক  পরিধান  করা।

৭. ঈদের  নামাজ  ঈদগাহে আদায়  করা।

৮. ঈদের  দিনে  হাসিমুখে  থাকা। 

৯.ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার সময় আস্তে আস্তে এই তাকবীর পড়তে থাকাঃ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ

তবে ঈদুল আযহায় যাবার সময় পথে এ তাকবীর আওয়াজ করে পড়তে থাকবেন। [মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-১১০৫]

১০. আনন্দ  বিনিময়  করা।

আমাদের  এগুলো  কাজ করা সুন্নাত। আমরা  যদি এগুলো কাজ করি তাহলে আমাদের সুন্নত  আদায়  করা হবে। আবার শান্তিময় সমাজ  প্রতিষ্ঠিত হবে। 


আনাস রা: থেকে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহর রাসূল সা: যখন মদিনায় আসেন, তখন দেখেন যে সেখানকার লোকরা বছরে দুদিন (নওরোজ ও মেহেরজান) আনন্দ করে, খেলাধুলা করে। তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদের এ দুদিনের পরিবর্তে আরো বেশি উত্তম ও কল্যাণকর দুটি দিন দিয়েছেন। ১. ঈদুল আজহাও ২. ঈদুল ফিতর। (আবু দাউদ, হাদিস : ১/১৬১)


ঈদুল ফিতরের দিন একদল ফেরেশতা দাঁড়িয়ে থাকে এবং বলতে থাকেন, ‘হে মুসলিম সম্প্রদায়! তোমরা দয়াময় প্রভুর দিকে ছুটে চলো। তিনি তোমাদের কল্যাণ দান করবেন। তিনি তোমাদের পুরস্কার দেবেন।’ 


ঈদের পূর্ণাঙ্গ আনন্দ-খুশি ও কল্যাণ অর্জন করতে হলে আরো ঘনিষ্ঠ করতে হবে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। সুসম্পর্ক, ঘনিষ্ঠ ও অন্তরঙ্গ করতে হবে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে, হৃদ্যতা ও ভালোবাসার সম্পর্কের মাধ্যমে। উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে বন্ধু-বান্ধব স্বজনদের সঙ্গে সহমর্মিতা ও সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব রেখে যতটা পারা যায় সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।


ঈদুল ফিতরের জন্য উনত্রিশে রমজান ঈদের চাঁদ দেখা সুন্নত; এদিন চাঁদ উদিত না হলে ৩০ রমজানও চাঁদ দেখা সুন্নত; যদিও এদিন চাঁদ দেখা না গেলে পরদিন ১ শাওয়াল তথা ঈদুল ফিতর হবে। ঈদের চাঁদ তথা নতুন চাঁদ দেখে দোয়া পড়া সুন্নত। ঈদের রাত হলো ইবাদতের বিশেষ রাতগুলোর অন্যতম; তাই ঈদের রাতে বেশি বেশি নফল ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকা উত্তম। ঈদের আগেই শারীরিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করতে হবে; হাত-পায়ের নখ কাটতে হবে, গোঁফ ছোট করতে হবে।


আমাদের  ঈদের  নামাজ মহা নবি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর সুন্নাত  ও মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশ  মোতাবেক  আমাদের  করা  উচিত।  ুবং ঈদের  দিনে  আমাদের  সবাইকে  হাসিমুখে  ঈদ  উৎজাপন করা উচিত। 










এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪