OrdinaryITPostAd

ইত্তেফাকের বসার ফজিলত সমূহ

 ইত্তেফাকের  বসার ফজিলত সমূহ

১১ই মার্চ সোমবার  ২০২৪




     ছবি সংগ্রহীত 



ইসলামি পরিভাষায় ইতিকাফ হলো ইবাদতের উদ্দেশ্যে ইতিকাফের নিয়তে নিজেকে নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবদ্ধ রাখা। যিনি ইতিকাফ করেন, তাঁকে ‘মুতাকিফ’ বলে।


যতক্ষণ তোমরা ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করো, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সঙ্গে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেওয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেয়ো না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ তাঁর আয়াতগুলো মানুষের জন্য, যাতে তারা তাকওয়া লাভ করতে পারে। (সুরা-২ [৮৭] আল বাকারা (মাদানি), রুকু: ১৫/১৫, আয়াত: ১২৫, মঞ্জিল: ১, পারা: ১ আলিফ লাম মিম, পৃষ্ঠা: ২০/১৮)। হজরত আয়িশা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) আজীবন রমজানের শেষ দশকগুলো ইতিকাফ করেছেন। তাঁর ওফাতের পরও তাঁর বিবিগণ ইতিকাফ করতেন। (বুখারি ও মুসলিম; আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৪৬, পৃষ্ঠা: ১২৯)।



আমরা জানি ইতিকাফ তিন ধরনের। যথাঃ-

১. ওয়াজিব : ওয়াজিব ইতিকাফ হলো, মানতের ইতিকাফ; অর্থাৎ কেউ যদি মানত করে, ‘আমার কাজটি সুচারুরূপে সম্পন্ন হলে আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ার্থে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ইতিকাফ করব।’ কাজটি সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়ে গেলে অবশ্যই ইতিকাফ করতে হবে। এই ইতিকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত। রোজা ছাড়া এই ইতিকাফ আদায় হবে না।

২. সুন্নতে মুয়াক্কাদা : সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফ হলো, মাহে রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ। এটি মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে কমপক্ষে একজন মানুষ হলেও আদায় করতে হবে। নতুবা সবাই গোনাহগার হবে।

৩. মুস্তাহাব : মুস্তাহাব ইতিকাফ হলো, কিছুক্ষণের জন্য ইতিকাফের নিয়ত করে মসজিদে অবস্থান করা। এটা অত্যন্ত বরকতময় ও সওয়াবের কাজ। স্বাভাবিকভাবে সবাই মসজিদে প্রবেশ করার সময় ইতিকাফের নিয়ত করলে ইতিকাফও আদায় হবে, সওয়াব পাওয়া যাবে।


আমাদের  ইতেকাফে বসা উচিত । ইতেকাফে বসলে  আমাদের  পরকালের কথা স্মরণ  হয়।ইতিকাফের ফজিলতইতিকাফ দ্বারা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নতের অনুসরণ হয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বদা মাহে রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহে রমজানের শেষ দশকে আজীবন ইতিকাফ করতেন।’ (তিরমিজি : ৭৯০)।


কোরআনে উল্লেখ রয়েছে- ‘তোমরা মসজিদে ইতেকাফ কর’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৭)। হাদিসেও নির্দেশ এসেছে হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘জামে মসজিদ ছাড়া ইতিকাফ নেই’ (আবুদাউদ, কিতাবুল ইতিকাফ, পৃঃ ৩৩৫)। 


ইমাম আহমদ (রহ.) বলেন, ‘ইতেকাফ করা যে সুন্নত সে সম্পর্কে আলেমদের মধ্যে কোনো মতবিরোধ আমার জানা নেই। ’ তাই কোরআন-সুন্নাহ ও ইজমার দলিলের ভিত্তিতে ইতেকাফ করা সুন্নত।


রমজানের এই শেষ দশকের একটি রাতে এসে থাকে লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল কদর বা সৌভাগ্য রজনী লাভ বোধ করি মুমিনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। সারা জীবন কঠোর সাধনা, ত্যাগ ও তিতিক্ষার মাধ্যমে শয়তানী প্রবৃত্তিরূপে দৈত্যকে নিধন করার পর মুমিনের কাছে আসে সেই মুহূর্তটি-সেই পাওয়ার মুহূর্তটি যা আল কোরআনের সুরা কাদরে ‘লাইলাতুল কদর’ নামে আখ্যায়িত হয়েছে। হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এ মুহূর্তটি।


তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) রমজানের প্রথম দশকে ইতেকাফ করেছেন। তারপর দ্বিতীয় দশকে ইতেকাফ করেছেন।

পরিশেষে বলা যায়। আমাদের ইতেকাফ কটা অনেক  বেশি জরুরি। আল্লাহ  তায়ালা  যেন আমাদের সবাইকে  হাসিমুখে ইতেকাফে বসার তৌফিক দান করুক  । (আমিন) 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪