মৃত্যু থেকে কবর পর্যন্ত মৃতব্যাক্তির সাথে কী কী হয়
মৃত্যু থেকে কবর পর্যন্ত মৃতব্যাক্তির সাথে কী কী হয়
২৩ শে মার্চ ২০২৪ শনিবার
كُلُّ نَفْسٍ ذَآىِٕقَةُ الْمَوْتِ ؕ
প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
ওপরে বর্নিত প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কিয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ বদলা দেওয়া হবে। তারপর যাকে দোজখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।(সুরা আল ইমরান: ১৮৫)। দুনিয়াতে যেই আসে সেই চলে যাবে। এখানে আসার অর্থই তাকে যেতে হবে। আর আসার পর থেকেই যাওয়ার সময় এগুচ্ছে।
একজন লোক আসার পর থেকে আমরা দেখছি সে বড় হচ্ছে। কিন্তু আসলে তার যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে। যাওয়ার দিকে সে অগ্রসর হচ্ছে। ইসলামী দর্শন এবং ভাবধারায় মৃত্যু একটি নিশ্চিত এবং অবশ্যম্ভাবী ব্যাপার। এর দ্বারা শুধুমাত্র জীবনের পরিসমাপ্তি বুঝায় না বরং এর দ্বারা বুঝায় আত্মার অবস্থার পরিবর্তন। ইসলামী বিশ্বাস মতে সৃষ্টিকর্তা (আল্লাহ) এই জগত এবং জীবন সৃষ্টি করেছেন পরীক্ষা এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি পর্ব হিসেবে। মৃত্যুর দ্বারা মানুষের জাগতিক জীবনের সমাপ্তি ঘটে।
সকল জীব সম্প্রদায়ের মৃত্যু অবধারিত। মানুষের যখন মৃত্যু হয় তখন সে যদি নেককার আল্লাহর বান্দা হয়।তবে ঐ বান্দার রূহ নেওয়ার জন্য অনেক সংখ্যক ফেরেস্তা এসে হাজির হয়। আর রূহকে বলে, হে আল্লাহর প্রশান্ত হৃদয়ের আত্মা তুমি আল্লাহর জান্নাতের দিকে ধাবিত হও।
তারপর রূহ এমন ভাবে বাহির হয়, যেভাবে কাঁচের গ্লাস থেকে এক ফোটা পানি যেভাবে পরে।তারপর রূহ বের করা হলে,অনেক সংখ্যক ফেরেস্তা এ রূহ নিয়ে কারাকারি লাগে।এ রূহ যেই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই রাস্তাতে সুগন্ধিতে ভরে যায় আর বিভিন্ন আসমানের ফেরেস্তারা বলে এ রূহ কার।
তারপর যে রূহ নিয়ে যায়, সে বলতে লাগল অমুকের ছেলে বা অমুকের পিতা ইত্যাদি। তারপর সেই রূহকে ইল্লিনে রেখে দেওয়া হয়।এবং সে রূহ সবুজ পাখি হয়ে যায়। তারপর মানুষ যখন তাকে কবরের দিকে নিয়ে যায়,তখন সে বলে আমাকে তারতারি কবরে নিয়ে যাও।
যখন কবরে সবকিছু পরিপাটি করে মানুষেরা চলে যায়,এবং ৭০ কদম এগিয়ে যায়।তখন তাকে দুই ফেরেস্তা এসে ওঠায় তখন সে নামাজ পরার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।তখন ফেরেস্তারা বলে তুমি এখন কবরের জগতে আছও ইহকালে নেই। তারপর তাকে ৩ টি প্রশ্ন করে আর ডে সেই প্রশ্নে উত্তর সঠিক দেয়। তারপর তার নেক আমলকে আল্লাহ তায়ালা তার মত রূপ দেয়, এবং তার সাথে সে হাশর দিবস পর্যন্ত থাকবে।আর ঐ ব্যাক্তিকে বলা হয় তুমি আরামে ঘুমাও। আর কবরে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে শান্তিপূর্ণ বাতাস আসত থাকে।
আর যারা বদকার তাদের সাথে ওপরের সবকিছু বিপরিত হয়। যখন বদকার ব্যাক্তির রূহ কবজ করা হয়, তখন তার রূহ কাটার মত একটা জিনিস দিয়ে তার রূহ কবজ করা হয়।আর রূহ যখন বের করা হয় তখন অন্যান্য ফেরেস্তারা বস্তা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে এবং একজন ফেরেস্তা সেই রূহকে বস্তাতে ভরে নেয়।আর রূহ যেখান দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
সকল আসমানের ফেরেস্তারা বলে এটা কার রূহ।সেই ফেরেস্তা বলে এটা অমুক ব্যাক্তি, অমুক বাবার,অমুক ছেলে। তখন তাকে সিজ্জিনে রেখে দেওয়া হয়। আর তাকে যখন কবরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সে বলতে থাকে আমাকে এত তারাতারি কবরে নিয়ে যেও না। তখন সে অনেক বেশি জোরে চিৎকার করে।যে চিৎকার মানুষ ও জ্বীন ছাড়া সবাই সুনত পারে। যখন তাকে কবরে রাখা হয়। তখন সে বলে আমাকে তোমরা কোথায় থুয়ে যাচ্ছ।
মানুষ যখন ৭০ কদম এগিয়ে যায় তখন তার কাছে দুইজন ফেরেস্তা এসে তাকে ওঠায় এবং ৩টি প্রশ্ন করে তখন সে উত্তর দিতে পারে না। আর তখন তার বদ আমল তার চেহেরার মত আল্লাহতয়ালা একটা রূপ দেয় আর সে অনেক দূর্গন্ধ হয়।সে হাশরের দিন পর্যন্ত তার সাথে থাকবে। আর সেই কবরে জাহান্নামের দরজা খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের বাতাস আসতে থাকে।
পরিশেষে বলা যায়, জাহান্নাম থেকে বাঁচতে হলে আমাদের আল্লাহ এবং নবির আদেশ মানতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url