OrdinaryITPostAd

রমজানের শেষের ১০দিনের আমল ও ফজিলত

 রমজানের  শেষের  ১০দিনের আমল ও ফজিলত 

৫ ই মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার 


       ছবি সংগ্রহীত 



রমজান  হলো এমন একটি মাস  যে মাস সব মাসের চেয়ে উত্তম। এ মাস হলো রহমত মাগফেরাত  ও গুনাহ মাপের মাস। এ মাসে  প্রতি কাজেই  রয়েছে  গুনাহ  মাপের  হাতছানি। রমজানের  প্রতিটি  মূহুর্তেই রয়েছে  গুনাহ  মাপের  সুযোগ। রমজানের  শেষের  দশকে আমরা গুনাহ  থেকে  নাজাত পেতে পারি। 

আমাদের  প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন, যে ব্যাক্তি রমজান মাস পেয়েও গুনাহ  মাফ করতে পেল না  তার মত দূর্ভাগা ব্যাক্তি কেও নেই।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে :রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ওই ব্যক্তির নাক ধূলিমলিন হোক, যার জীবনে রামজান মাস এলো, অথচ নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারলো না।' (তিরমিজি)

রমজান মাসের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। শয়তানকে আটক করে রাখা হয়।' তাই রমজানের ইবাদত-বন্দেগিগুলো আরাম ও নির্ভেজালভাবে করা যায়। সুতরাং প্রত্যেক রোজাদারের উচিত মাগফেরাতের ১০ দিন  আল্লাহর তায়ালার কাছ থেকে  ক্ষমা চেয়ে নাজাতের ১০দিনে মুক্তি পাও। রমজান মাসে আমাদের  যেগুলো  কাজ করা জরুরি বা সর্বোত্তম তা   সর্বাত্তকভাবে চেয়ে  চেষ্টা করা।
এবং যেগুলো  কাজ করা  উচিত  তা নিচে বর্ণনা  করা হলোঃ-

১. ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করা।

২. বরকতের নিয়তে শেষ রাতে অল্প হলেও সেহরি খাওয়া। তাতে রয়েছে অকল্পনীয় বরকত।

৩. সেহরি খেয়ে রোজার নিয়ত করা এবং কোরআন তেলাওয়াত করা।

৪. সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা। ইফতারেও রয়েছে গুনাহ মাফ ও অকল্পনীয় কল্যাণ।

৫. অন্যদের ইফতার করানো।

৬. ইফতারের সময় তাওবা-ইসতেগফার ও ক্ষমা প্রার্থনা করা।

১১. শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া। নামাজের সেজদায় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।

১২. সেহরির আগে বিতর নামাজ পড়া। আল্লাহর কাছে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে শেখানো দোয়াটি বেশি বেশি পড়া-

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

উচ্চারণ : 'আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)


এই নাজাতের মাসে রয়েছে এমন একটি দিন  যে দিনে আমাদের  কোরআন  নাজিল  হয়েছে, এবং  আমাদের বিশ্ব নবি হযরত মুহাম্মদ  (স.)   মেরাজে গমন করেছেন। এই মেরাজ হয়েছিল   ২৫ বা ২৭ বা ২৯ এগুলোর  মধ্যে  অনেক ব্যবধান রয়েছে। তবে আমাদের ওলামাএকরামগন ২৭ এ

 রমজানকে প্রাধান্য  দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের উচিৎ  এই বেজর দিনগুলোতে  একই তালে ইবাদত  করা। শুধু  যে আমরা ২৭ এ রমজানের  রাতে বেশি বেশি  ইবাদত  করব তা নয়।


পরিশেষে  আমরা বলতে পারি যে আমাদের মহান আল্লাহ তায়ালা এই  মাসকে আামাদের  জন্য বরকতময় মাস হিসেবে  উপহার দিয়েছেন। এবং মহান আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব রোজাদারকে রমজানের শেষ দশকের ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকার তাওফিক দান করুন। গুনাহমুক্ত জীবন পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪