OrdinaryITPostAd

ডাল খেলে গ্যাস্টিক? মিলবে সমাধান এই উপায় গুলো তে

ডাল খেলে গ্যাস্টিক? মিলবে সমাধান এই উপায় গুলো তে 

৩ রা আমার রবিবার ২০২৪ 


      ছবি সংগ্রহীত 


আমরা  জানি  প্রোটিন, ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির দুর্দান্ত উৎস হলো ডাল। তবে অনেকেরই ডাল খাওয়ার পর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য দায়ী ডালের জটিল কার্বোহাইড্রেট সংমিশ্রণ এবং কিছু যৌগের উপস্থিতি। ডালে অলিগোস্যাকারাইডসহ জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা অনেক সময় পরিপাকতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলতে পারে না।


যদিও ফাইবার হজমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে ডাল খাওয়ার পর অনেকেরই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। ডালে ফাইটেট এবং লেকটিনের মতো অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যা উদ্ভিদকে রক্ষা করার জন্য থাকে। কিন্তু কখনও কখনও এরা মানুষের হজমের অস্বস্তি সৃষ্টি করে। ভিজিয়ে রাখা এবং সঠিকভাবে রান্না করা এই অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টের প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। কিছু উপায় জেনে নিই চলুন যা,আপনার এই গ্যাস্টিক এর সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে —


মসুর,ডাল : 

মসুর ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, পটাশিয়াম। মসুরের ডাল খেতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে কিন্তু এটি খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে। মসুর ডাল রান্না করার কিছুক্ষণ পূর্বে এটিকে উষ্ণ গরম পানিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে এর অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট চলে যায়। যার ফলে গ্যাসের সমস্যা তৈরি হতে পারে না। মসুর ডাল রান্না করার আগে বাজে কোন ডাল রান্না করার পূর্বে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখলে খুব সহজেই রান্না করা যায় এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও হয় না। 


মটর ডাল :

মটর ডাল শরীরের জন্য ভাল। রুটি, পরোটার সঙ্গে এই মটর ডালের ঘুগনি খাওয়ার বিশেষ চল রয়েছে। ঘুগনি দিয়ে মুড়ি বা লুচি খেতেও কিন্তু বেশ ভাল লাগে। মটর ডাল খাওয়ার আগে অন্তত ৮-১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। সেই সঙ্গে মটর ডাল সিদ্ধ করার সময় সামান্য হিং ফেলে দিন। পেঁয়াজ, রসুন ছাড়া আদা আর গোটা জিরে দিয়েই রান্না করুন এই ডাল। এতে খেতে যেমন ভাল লাগবে তেমনই হজমের সমস্যাও হবে না।




ছোলার ডাল:

 ছোলার ডালের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি আর ফাইবার। খেতেও খুব ভাল লাগে। ছোলার ডাল বানানোর আগে অন্তত ৪-৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। মৌরি, হিং আর সামান্য ধনে গুঁড়ো দিয়ে রান্না করুন এই ডাল। এতে হজমও সহজ হবে। ছেলার ডাল সিদ্ধ করার সময় জলে সামান্য মেথি ফেলে দিতে পারেন। এতেও কিন্তু স্বাদ বাড়ে।ডালের মধ্যে গোটা জিরা দিলে তা হজমের সাহায্য করে এবং সাধ অনেক বাড়িয়ে তোলে। 


অড়হড় ডাল:

অড়হড় ডাল স্বাদে খুব ভাল। তবে এই ডাল ঠিকমতো রান্না করতে জানতে হয়। নইলে মুশকিল। ৩০-৪০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে এই ডাল রান্না করুন। হিং, ধনে এই সব দিয়েও বানাতে পারেন। এতে খেতে বেশ লাগবে।এভাবে রান্না করলে গ্যাসের সমস্যা খুব কম হয়ে থাকে। 



বাঙালির খাবারের পাতে বা ভাতের সাথে ডাল ছাড়া চলে না আর এটি খেলে হয়ে যায় গ্যাস্ট্রিক। তাই উক্ত উপায় গুলি মেনে ডাল রান্না করলে অনেকটাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। যারা নিয়মিত ডাল খেতে পছন্দ করে তাদের জন্য এভাবে রান্না করা উত্তম। 






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪