ইসবগুলের ভুসি সরবতের উপকারীতা
ইসবগুলের ভুসি সরবতের উপকারীতা
২৭ শে মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার
ইসবগুলের ভুসি শব্দটি আমাদের পরিচিত একটি শব্দ এটি আমাদের জন্য খুবই উপকার করে যেমন ঃ-১. প্রসাবের সমস্যা দূর করে
২. কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করে ৩. ডায়রিয়ার সমস্যা দূর করে ৪. হার্ট ভালো রাখে ৫.গ্যাসটিকের সমস্যা দূর করে ৬.যৌনতা বৃদ্ধি করে ৭. প্রস্রাবে জালাপোড়া রোধ করে ৮.হাত পায়ের জালাপেড়া রোধ করে ৯.অর্শরোগ দূর করে ইত্যাদি।
এ ভুসি খেলে আমাদের অন্ত্রে একধরনের স্তর তৈরি হয়। যা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দান করে। ফলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমরা যদি অল্প পরিমাণ ইসবগুলের ভুসির শরবত রাখি তাহলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিপাক প্রক্রিয়াও বৃদ্ধি করবে। ইসবগুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি জাতীয় উপাদান রয়েছে যা আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ইসুবগুলে রয়েছে অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান। সেসব পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরে বিভিন্নধরনের উপকার করে থাকেতা উল্লেখ করা হলো :- ১ টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে ৫৩% ক্যালোরি, ০% ফ্যাট, ১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৫ গ্রাম শর্করা, ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন। যা আমাদের শরীরকে সতেজ রাখে।
ইসবগুলের ভুসির শরবত আমাদের গরমকালে ও রমজান মাসে বেশি সহায়তা করে। আমরা জানি গরমকালে আমাদের দেশে, সৌদি আরব দেশে বিশেষ করে সূর্যের নিকটবর্তী দেশগুলোতে তোতমার উপকারীতা অনেক বেশী। এখন বলা যাক রমজান মাসের কথা,আমরা রমজান মাসে অনেকে রোজা রাখী। এ রমজান মাসে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে যদি ইসবগুলের ভুসির শরবত পাওয়া যায় তাহলে সারাদিনের ক্লান্ততা দূর হবে, এবং শরীর সতেজ হয়ে উঠবে।
ইসবগুল একধরনের ডায়েটারি ফাইবার, যার কিছু পানিতে দ্রবীভূত হয়, কিছু হয় না। অন্ত্রের ভেতরে থাকাকালীন ইসবগুলের ভুসি প্রচুর পরিমাণ পানি শোষণ করে, কোনো কিছুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিষ তৈরি করে না এবং অন্ত্রের দেয়াল পিচ্ছিল করে দেয়। যেহেতু এটা কার্যকারিতার জন্য অন্ত্র থেকে পানি শোষণ করে, তাই দুই চা-চামচ ভুসি, পানি বা দুধে গুলিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই খেয়ে ফেলা ভালো। দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে এটা বাইরে থেকেই পানি শোষণ করে নেবে, অতএব কার্যকারিতাও কমে যাবে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এই উদ্ভিজ্জাতটি দ্রব্যের ব্যবহার নানা দেশে প্রাচীনকালে ছিল এবং এটা ভারতীয় আয়ুর্বেদেও ছিল এখন যা আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। মানুষ ক্রমে প্রাকৃতিক ওষুধের গুণাগুণ সম্পর্কে অবহিত হয়ে একে অধিকতর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করছে। পৃথিবীর নানা অঞ্চলে যেসব ওষুধ আগে ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, তার ২৫ শতাংশ এখন বর্তমান প্রেসক্রিপশনে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং দিন দিন এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে।
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়মঃ-
১.যেকোণো খাবার ই আপনাকে পরিমিত পরিমানে খেতে হবে। বেশ কিছু জানার্লের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ গ্রাম ইসবগুলের ভুষি খাওয়াই যথেষ্ট। সাধারন খাওয়ার আগে অথবা খাওয়ার পরে আপনি এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ ভুষি ভিজিয়ে রেখে,আপনার টেস্ট অনুযায়ী এটা লবন অথবা গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে চেষ্টা করবেন সুগার বা চিনি এভোয়েড করার জন্য।
২. খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এই ইসবগুলের ভুষি খাবেন। এতে করে এতে থাকা ফাইবার আপনার পেট ভরা রাখবে, এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে আপনাকে সাহায্য করবে।
৩.যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা তার ইসবগুলের ভুষি এবং দই খেলে উপকৃত হবেন। সাই সাথে এটি পেট এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে।
৪.যেকোনো ভাড়ি খাবার বা তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর এই ভুষি খেলে মিলবে দারুন উপকার। কারন ভুষি আমাদের খাদ্যনালী থেকে চর্বি বা কোলেস্টেরল স্পঞ্জের মতো শুষে নেই, এতে করে আপনার শরিরে কোনো এক্সট্রা ফ্যাট বা চর্বি জমা হবে নাহ। যা আপনাকে একটা হেলদি এবং ফিট শরীর বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
পরিশেষে বলা যায়, আমাদের জন্য ইসবগুলের ভুসি খাওয়া খুবই উপকারী। আমাদের উচিৎ প্রতিদিন একবার হলেও ইসবগুলের ভুসির সরবত খাওয়া। যা আমাদের শরীরকে সতেজ রাখতে সহায়তা করবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url