ইফতারিতে কোন খাবারটি খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে
ইফতারিতে কোন খাবারটি খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে
২৬ শে মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার
রমজান মাস হলো সকল উম্মাহর জন্য নেয়ামতের মাস। এ মাসে সকল আমলগুলোকে একাধিকগুন
- ইফতার ও সাহ্রিতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত হালাল খাবার। কারণ, হালাল খাদ্য ও হালাল উপার্জন রোজা, নামাজ ও যাবতীয় ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাই ইফতার ও সাহ্রিতে বৈধ উপার্জনের হালাল খাবার খাওয়া জরুরি।
ইফতার করা যেমন ফজিলতের, ইফতার করানোও তেমনি বরকতের। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে এবং রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে লাভ করবে। তবে ওই রোজাদারের সওয়াব কম করা হবে না।’
সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)! আমাদের অনেকেরই রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘পানিমিশ্রিত এক পেয়ালা দুধ বা একটি খেজুর অথবা এক ঢোঁক পানি দিয়েও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও সেই পরিমাণ সওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তিসহকারে আহার করাবে, আল্লাহ তাআলা তাকে হাউজে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যাতে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগপর্যন্ত তৃষ্ণার্ত হবে না (মুসনাদে আহমাদ)।
১.তেলে ভাজা খাবারঃ-
ইফতারে তেলে ভাজা খাবার খাওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। পিঁয়াজু, বেগুনি, চপ, সিঙ্গারা, সমুচা ছাড়া অনেকেই ইফতারের কথা ভাবতেই পারেন না। তবে অতিরিক্ত তৈলাক্ত এসব খাবার ইফতারে পরিহার করাই ভালো।
২.অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবারঃ-
ইফতারে মিষ্টি ও চকলেটের মতো খাবার না খাওয়াই ভালো। ইফতারে এমন চিনিযুক্ত খাবার খেলে দ্রুত বাড়বে ওজন। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন খাওয়া হলে এগুলো অন্য রোগেরও সৃষ্টি করতে পারে। তাই এই খাবারগুলো গ্রহণে সচেতন হতে হবে।
৩.কার্বোনেটেড পানীয়ঃ-
ইফতারে তৃষ্ণা কমাতে অনেকেই কার্বোনেটেড পানীয় অর্থাৎ সফট ড্রিকংস, কোক, স্প্রাইটের মতো প্রক্রিয়াজাত পানীয় পান করেন। কোমল পানীয় ঘুমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি, আলসার ইত্যাদির কারণ। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর তাই ইফতারে এ জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url