OrdinaryITPostAd

তেলাকুচা পাতার উপকারীতা

 তেলাকুচা  পাতার  উপকারীতা

১৪ই মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার 



    ছবি সংগ্রহীত 




আমাদের  জীবনে তেলাকুচা  পাতার উপকার  অনেক বেশি। ৷   লতাজাতীয় উদ্ভিদ হলো তেলাকুচা। এঁকেবেঁকে অন্য গাছ এমনকি বিদ্যুতের তার আঁকড়ে বেড়ে ওঠে তেলাকুচা লতা। এ লতার পাতার রস ডায়াবেটিস রোগে বিশেষ উপকারী। গ্রামে এ পাতার রস মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। শাক হিসেবে খাওয়া হয় এ পাতা। পাড়া-মহল্লায় টুকরিতে করে এ শাক বিক্রি হতে দেখা যায়। পাতার রসে আছে ক্যালসিয়াম, লোহা, ভিটামিন এ ও সি।  বৈজ্ঞানিকদের মতে আমরা বলতে পারি, এটা খেলে  আমাদের  শরীরে স্থুলতা  কমায়। শরীরের  মেদ কমায় ইত্যাদি।



তেলাকুচা পাতার বিভিন্ন  ঔষুধি রোগের গুনাগুন  নিচে দেওয়া হলোঃ-

১.তেলাকুচার পাতা খেলে শরীরের অবসন্নতা কাটে। 
২. তেলাকুচা পাতা স্নায়ুতন্র রক্ষা করতে  সাহায্য করে। 
৩. বৃক্ক, মুত্রথলি ও কিডনিতে  পাথর জমতে বাধা প্রদান করে। 
৪. তেলাকুচা পাতা ডায়াবেটিস  নিয়ন্ত্রণে সাহায্যে করে। 
৫. তেলাকুচা পাতা জন্ডিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৬.তেলাকুচা  পাতা পা ফোলা রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্যে করে। 
৭. তেলাকুচা পাতা শ্বাসকষ্ট,কাশি,শ্লেমজ্বর নিয়ন্ত্রণে  সাহায্যে করে। 
৮. স্তনে দুধের সল্পতা কমাতে সাহায্য করে। 
৯. শরীরে ফোরা হলে  তেলাকুচা পাতা ফোরা সারাতে সাহায্য করে।
১০. শরীরে আমাশয় হলে  আমাশয় উপষম করতে  সাহায্য করে। 


ভিটামিন বা উপকার সম্পর্কে বর্ননা দেওয়া হলোঃ-


১০০ গ্রাম তেলাকুঁচোয় তেলাকুঁচোয় ১.৪ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। আয়রন শরীরের অবষন্নতা দূর করতে সাহায্য করে। তেলাকুঁচোয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভিটামিন বি২ থাকে আবার এর পাশাপাশি এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে,এটা থাকার কারনে তেলাকুঁচো স্নায়ুবিক দূর্বলতা দূর করে।




আবার তেলাকুচায় থায়ামিন কার্বহাইড্রেট থাকায়, এটা গ্লুকোজে পরিণত করতে সাহায্য করে। যেহেতু তেলাকুঁচোয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ থায়ামিন থাকে, তাই এটি পরিপাক সহায়ক। এটি প্রোটিন এবং চর্বি ভাঙতেও সহযোগিতা করে। ১০০ গ্রাম তেলাকুঁচোয় ০.০৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১ থাকে যা প্রতিদিনের প্রয়োজনের ১৫.৮৩%।




গবেষণায় দেখা গেছে কৃত্রিম ক্যালশিয়ামের পাশাপাশি প্রাকৃতির উৎস হতে প্রাপ্ত ক্যালশিয়াসমও পাথর হিসেবে জমতে পারে। দেখা গেছে, তেলাকুঁচোয় যে ক্যালশিয়াম থাকে তা পাথর হিসেবে জমে না।বেঙ্গালোরের একদল ডাক্তার গবেষণা করে বের করেছেন, এটি ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রেণে রাখতে সমর্থ। তেলাকুঁচো প্রাকৃতিক ইনসুলিন হিসেবে আমাদের জীবনে কাজ করে।



তেলাকুচা  প্রায় সব অঞ্চলে বসত বাড়ির আশে পাশে, রাস্তার পাশে বন-জঙ্গলে জন্মায় এবং বংশ বিস্তার করে। তেলাকুচা সাধারণত চৈত্র বৈশাখ মাসে  রোপন করতে হয়। পুরাতন মূল শুকিয়ে যায় না বলে গ্রীষ্মকালে মৌসুমি বৃষ্টি হলে নতুন করে পাতা গজায় এবং কয়েক বছর ধরে পুরানো মূল থেকে গাছ হয়ে থাকে। অবহেলিত এ লতা জাতীয় গাছটি অত্যন্ত উপকারী।



পরিশেষে বলা যায় যে,তেলাকুচা  পাতা  আমাদের  জীবনের সাথে  ওতোপ্রোতো ভাবেই  জরিয়ে আছে।  সেগুলো  আমরা ওপরের কাজগুলোকে  দেখে বুঝতে পাচ্ছি। তাই আমাদেরকে এই  গাছগুলো যত্ন নেওয়া উচিত, এবং চাষ করা উচিত


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪