রমজানের ১ম দশ দিনের আমল
৩রা মার্চ ২০২৪ রবিবার
ছবি সংগ্রহীত
শুরু হতে চলেছে মাহে রমজানে ১ম দশ দিন।এই দশ দিন হলো রহমতের মাস।তারপরে এই দশ দিন যেতেই শুরু হবে আবার নাজাতে ১০দিনের মাস।তারপর হবে মাগফেরাত। রমজান মাস শুরু হওয়ার পূর্বে থেকেই আমাদের মধ্যে একটা উৎদ্দিপনা কাজ করে।
এই মাসে মহান আল্লাহ তায়ালা সমস্তরহমত, নাজাত, মাগফেরাতের দোয়ার খুলে দেওয়া হয়। এই মাসে নামাজ পড়লে অন্যান্য নামাজের থেকে ৭০ গুন বেশি সওয়াব। রমজানর যখন আমাদের শুরু হয় তখন আমরা প্রথমে রোজার নিয়ত করি,তারপরে নিজেকে সংযম রাখি,মিথ্যা কথা ছারি, গালিগালাজ থেকে বিরত
থাকি।সুদও ঘুষ থেকে বিরত থাকি ইত্যাদি। এভাবে আমরা নিজেকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রেখে রোজাগুলো করে থাকি।
(রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এটা এমন এক মাস যে প্রথম দশ দিন রহমতের বারিধারায় পরিপূর্ণ। মাঝের দশ দিন ক্ষমা ও মার্জনা লাভের জন্য নির্ধারিত এবং শেষ দশদিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের উপায়রূপে নির্দিষ্ট।)
রোজাদারদের মধ্যে কিছু মানুষ আছেন, যারা তাকওয়া ও পরহেজগার সম্পন্ন এবং পাপ ও বর্জনীয় কাজ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেন। সিয়াম সাধনার মাঝে কোনো ভুলত্রুটি করে ফেললে সাথে সাথে তওবা ও এস্তাগফার করে নিজেদের সংশোধন ও ত্রুটিমুক্ত করে নেওয়া যায়। এ শ্রেণির রোজাদারদের প্রতি রমজান মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথেই রহমতের ফজিলত বর্ষণ হতে থাকে। তারা যখন রোজার প্রথম দশদিন একান্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে অতিবাহিত করেন, তখন তারা আর সেই মানুষ থাকেন না। তাদের মাঝে মুমিন সুলভ মহৎ গুণাবলী আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে যায়।
নবী করিম (স.) বলেন, ‘জান্নাতের মধ্যে রাইয়ান নামক এক দরজা আছে, এ দরজা দিয়ে কেবল কেয়ামতের দিন রোজাদার লোকেরা প্রবেশ করতে পারবেন। ঘোষণা দেওয়া হবে রোজাদার লোকেরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে, তাদের প্রবেশের পরপরই দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে।
কুরআন মজিদে আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা আমার ভালোবাসা পেতে হলে নবী করিম (স.) এর অনুসরণ কর। এবং আমার কোরআনকে আকরে ধর।
তাই আমরা নবি করিম (সঃ)এর কথা মেনে চলব। ও কোরআনকে আকরে ধরব।
পরিশেষে বলা যায়, আমরা যদি এগুলো মেনে চলি তাহলে আমাদের ইহকাল পরকাল আলোকিত হবে। এবং জীবনটা সাচ্ছন্দ্যময় হবেও সুন্দর হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url