স্মৃতিশক্তি বাড়বে যে খাবারে
বাইশে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার
ছবি সংগৃহীত
বয়স বৃদ্ধির সাথে আমাদের মস্তিষ্কের স্মৃতি শক্তি অনেকটাই হারিয়ে যেতে থাকে। আমরা অনেক কিছুই ভুলে যেতে থাকি। কিন্তু এই ভুলে যাওয়া যখন গুরুতর আকার ধারণ করে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তখন একে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম অথবা স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া বলে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নানা রকম কৌশল অবলম্বন করতে বলা হয়। তবে শুধু অনুশীলনের মাধ্যমেই নয়, বরং বিভিন্ন ধরণের খাবার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এমন অনেক ধরনের খাবার রয়েছে যার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং তা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ছোট হোক কিংবা বড় হোক যেকোনো বয়সের মানুষের মধ্যে স্মৃতিশক্তি খয়ের রোগ থেকে থাকে। কি খেলে বা কি ধরনের খাবার খেলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা জানা অত্যন্ত জরুরী।
তবে চলুন জেনে নেয়া যাক স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কোন খাবার গুলো সাহায্য করে —
পুষ্টিবিদরা মনে করেন, বর্তমান যুগে দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যই অনেক বেশি কার্যকরী। শারীরিকভাবে সুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকাও বেশ জরুরী। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপে ক্ষতি হতে পারে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছুটা সংযোজন বা বিয়োজন করলে, আপনার বুদ্ধি খুলবে এবং স্মৃতিশক্তিও আগের চেয়ে বাড়বে।
ডালিমের রস
ডালিম খেলে ব্লাড সার্কুলেশন স্বাভাবিক থাকে। ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ডালিম খেলে ব্লাড সার্কুলেশন স্বাভাবিক থাকে, যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ করে। দুপুরে খাবারের আগে বা পরে ডালিমের শরবত খেলে মস্তিষ্ক সুস্থও স্বাভাবিক থাকে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
জামের মিল্ক শেক
দুধের সাথে জাম মিশিয়ে মিল্ক শেক বানিয়ে খেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়।দুধের উপকারিতার কথা আমাদের বলার অপেক্ষা রাখে না। দুধের সাথে জাম মিশিয়ে মিল্ক শেক বানিয়ে খেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। জাম ব্লাড প্রেশারের পরিমাণ ঠিক রাখে। সেই সাথে কোলেস্টোরেলের পরিমাণ কমায়।
ডার্ক চকলেট
মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে ডার্ক চকলেট। এই চকলেটে ৭০ শতাংশ কোকোয়া থাকে। এটা ধমনীর কার্যকারিতা উন্নত করে, মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক চকলেট খাওয়া কখনোই স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক না অতিরিক্ত চকলেট খেলে দাঁত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
গ্রিন টি
মস্তিষ্কে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে গ্রিন টি। গ্রিন টি শুধুমাত্র ওজন কমাতে সাহায্যই করে না বরং স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই উপাদানটির উপস্থিতি নিউরোট্রান্সমিটারের ক্রিয়াকলাপ বাড়াতে সাহায্য করে এবং উদ্বেগ, অতিরিক্ত মেজাজ কমে। সেই সাথে স্মৃতিশক্তিও বাড়ে।
কফি
ক্যাফেইনের মনোযোগ বৃদ্ধি, মন ভালো, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। কফিতে থাকা ক্যাফেইন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়া ক্যাফেইনের মনোযোগ বৃদ্ধি, মন ভালো, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
ব্রকলি
ব্রকলি গ্লুকোসিনোলেটস এর ভালো উৎস।ব্রকলি ভিটামিন কে তে ভরপুর। ব্রকলি গ্লুকোসিনোলেটস এর ভালো উৎস। যা নিউরোট্রান্সমিটার, অ্যাসেটাইলকোলাইন ভেঙে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে সঠিক কার্যকারিতা পরিচালনা করতে ও আমাদের স্মৃতি তীক্ষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়তি সাহায্য করে আমরা অনেক খাদ্য রয়েছে। যেমন তৈলাক্ত মাছ, ডিমের কুসুম, টমেটো, গাজর, বিট রুট ইত্যাদি। এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তাই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা এই সকল খাবারগুলি রাখা প্রয়োজন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url