OrdinaryITPostAd

আমাদের শরীরে ম্যাগনেসিয়াম কমে গেলে কি ক্ষতি হতে পারে?

 

আমাদের শরীরে ম্যাগনেসিয়াম কমে গেলে কী ক্ষতি হতে পারে ?


১১ ই জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ২০২৪ 



  
     ছবি সংগৃহীত 



যদি আপনার ডায়েটে ৩০০ মিলিগ্রামের কম ম্যাগনেসিয়াম থাকে তবে, নানা ধরনের শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। ম্যাগনেসিয়ামের এই কম মাত্রাকে বলা হয় হাইপোম্যাগনেসিমিয়া।  অন্যান্য খনিজ পদার্থ যেমন  ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, গ্লুকোজ, ক্যালোরি ইত্যাদি আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন। 


ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরের  সুস্থতার জন্য কেন জরুরি আসুন তা জেনে নেয়া যাক —

 
আমাদের শরীরের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় খনিজ হচ্ছে ম্যাগনেসিয়াম। আমাদের পেশী এবং স্নায়ু কীভাবে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করে খনিজটি। এছাড়া হাড়কে মজবুত রাখার পাশাপাশি হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে ম্যাগনেসিয়াম। রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর প্রতিদিন প্রায় ৩১০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন এবং ৩০ বছর বয়সের পরে প্রয়োজন ৩২০ মিলিগ্রাম। গর্ভবতী নারীদের অতিরিক্ত ৪০ মিলিগ্রাম প্রয়োজন। ৩১ বছরের কম বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের প্রয়োজন ৪০০ মিলিগ্রাম এবং ৩১ বছরের পরে দরকার ৪২০ মিলিগ্রাম। 


এবার চলুন জেনে নেয়া যাক ম্যাগনেসিয়াম কমে গেলে কী হয়?


  • পেশী সংকোচন এবং শিথিলকরণে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে ম্যাগনেসিয়াম। অপর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা এই ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে, যার ফলে পেশীতে খিঁচুনি এবং সাধারণ দুর্বলতা দেখা দেয়।
  • ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি অস্থির লেগ সিন্ড্রোমের মতো সমস্যা বাড়াতে পারে। এই অবস্থায় পায়ে অস্বস্তিকর অনুভূতি হয় এবং নড়াচড়া করলে কমে যায়। 
  • কম ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন সৃষ্টি করতে পারে যা অ্যারিথমিয়া নামে পরিচিত। কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকিও বাড়ায় এই ঘাটতি।
  • ম্যাগনেসিয়াম রক্তনালীকে শিথিল করে এবং অপর্যাপ্ত মাত্রার কারণে উচ্চ রক্তচাপের সমসযা দেখা দিতে পারে। 
  • স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ম্যাগনেসিয়ামের উপর নির্ভর করে। ফলে কম ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা বিভিন্ন স্নায়বিক উপসর্গের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা। 
  • ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর সাথে একত্রে কাজ করে ম্যাগনেসিয়াম। কম ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা হাড়ের ঘনত্বে প্রভাব ফেলে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম শোষণ এবং বিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে । ফলে যখন এর মাত্রা অপর্যাপ্ত হয়, তখন হাড় গঠনে ক্যালসিয়াম কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হয় না। এই ভারসাম্যহীনতা হাড়কে দুর্বল করে দিতে পারে । 
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরেও ক্লান্ত বোধ করার কারণ হতে পারে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি। 



এছাড়াও ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি মেলাটোনিনের উৎপাদনকে প্রভাবিত করতে পারে, ঘুম নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হরমোন এটি। তাই আমাদেরকে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার  রাখা উচিত। 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪