OrdinaryITPostAd

গাজরের জুসের উপকারিতা

 গাজরের জুসের উপকারিতা 

২৫শে ডিসেম্বর সোমবার ২০২৩ 



      ছবি সংগ্রহীত 



শীতে সকলের প্রিয় সবজির তালিকায় গাজরের নাম থাকবেই। শীতের সবজি হিসেবে এটি বেশ জনপ্রিয। শুধু যে সবজি হিসেবে মানসিকি খায় তা নয় এর ব্যবহার অনেক খাবারে হয়ে থাকে। দেখতেও যেমন সুন্দর খেতেও তেমনি সুস্বাদু। সকালের নাস্তায় সবজি থেকে শুরু করে সালাদ, সুপ, তরকারিতে ব্যবহৃত তো হয়ই শেষ পাতের মিষ্টিমুখেও গাজরের হালুয়ার কদর সর্বত্র। শুধু স্বাদ নয় গাজর যত্ন নেয় স্বাস্থ্যের। গাজরের জুস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক অনেক বেশি উপকারী। 


আসুন জেনে নেয়া যাক গাজরের জুসের  পুষ্টিগুণ সম্পর্কে —



চোখের জন্য 

চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ক্যানসার প্রতিরোধে গাজরের ভূমিকা অনন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজর থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি পেতে হলে, কাঁচা গাজর খাওয়াই সর্বোত্তম। সেক্ষেত্রে খেতে পারেন গাজরের রস। চলুন জেনে নেই সকালে এক গ্লাস গাজরের রস পানের উপকারিতা:    

মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি
গাজরের বিশেষ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়িয়ে আপনাকে চৌকস করে তুলতে সাহায্য করবে। এছাড়া মানসিক চাপ দূর করে মনে প্রশান্তি এনে দিতেও অসাধারণ কাজ করে।

কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ
কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গাজরের জুস অনেক উপকারী। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়ামই এর মূল কারণ। গাজরে ক্যালোরি এবং সুগারের উপাদান খুবই কম। এ ছাড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। গাজর খেলে ফ্যাট বার্ন হয় সহজেই। ফলে ওজন কমে। তাই শরীর চর্চার পর বা সকালে হাঁটার পর এই জুস খেলে কার্যকারী উপকার পাওয়া যাবে।

ক্যানসার প্রতিরোধে
হজম প্রক্রিয়া শেষে খাদ্যের যে উচ্ছিষ্টাংশ গুলো আমাদের শরীরে থাকে সেগুলোকে ফ্রি র‍্যাডিকেলস বা মৌল বলে। এই ফ্রি র‍্যাডিকেলস শরীরের কিছু কোষ নষ্ট করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার এই ধরনের মৌলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। শরীরে ক্যানসারের কোষ জন্ম নেওয়ার প্রবণতা কমে যায়। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে ৩৩ শতাংশ ভিটামিন ‘এ’, ৯ শতাংশ ভিটামিন ‘সি’ এবং ৫ শতাংশ ভিটামিন ‘বি-৬’ পাওয়া যায়। এগুলো এক হয়ে ফ্রি র‍্যাডিকেলস বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
গাজরের জুস দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে সক্ষম। প্রতিদিন মাত্র ১ গ্লাস গাজরের জুস পান করলে লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

ভিটামিনের জোগান
ভিটামিন এ-এর অন্যতম উৎস হলো গাজর। গাজরের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চোখের অন্যান্য সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ইত্যাদির মতো সমস্যার সমাধান করে গাজর।



 

হজমশক্তি বাড়ায়
গাজর আমাদের দেহের টক্সিন দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী একটি খাদ্য। সেই সাথে এটি আমাদের পরিপাক ক্রিয়া উন্নত করতেও সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস গাজরের জুস আমাদের হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।

ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে
গাজরের বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে সহায়তা করে। সেকারণে নানা ধরণের রোগ থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারি।


শীতের দিনে প্রতিদিনের খাবারের পাশাপাশি গাজার খাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গাজরের ভালো ফলাফল পেতে এবং এর সঠিক পুষ্টিগুণ পেতে হলে গাজর  কাঁচা খাওয়া উত্তম।




 





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪