OrdinaryITPostAd

ছোট মাছ কেন আমাদের জন্য পুষ্টিকর

ছোট মাছ কেন আমাদের জন্য পুষ্টিকর 

২৬শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার, ২০২৩


    ছবি সংগ্রহীত 



আমাদের দেশে কি নদীমাতৃক দেশ। দেশের হয়েছে প্রচুর নদী-নালা ও খাল বিল যেখানে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ছোট বড় অনেক মাছ। আমাদের জন্য বড় মাছের থেকে ছোট মাস বেশি পুষ্টিকর এবং এটি ছাদেও অতুলনীয়। খাল বিল নদী নালা গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ছোট মাছ পাওয়া যায়। 


পুঁটি, ট্যাংরা, মলা, ঢেলা, কাচকি, ফলি ইত্যাদি মাছ জনপ্রিয়। এসব মাছে অসম্পৃক্ত চর্বি আছে, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ডিম ছাড়ার আগমুহূর্তে মাছে অসম্পৃক্ত বা উপকারী চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া ছোট মাছে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। আয়রন, প্রোটিন, ফসফরাস, লাইসনি ও মিথিওনিনেরও উৎস ছোট মাছ। তবে এতে আয়োডিনের পরিমাণ কম থাকে।  তবে চলুন জেনে নিই কয়েকটি ছোট মাছ খাওয়ার উপকারিতা -

পুঁটিঃ

প্রতি ১০০ গ্রাম পুঁটি মাছে আছে ১০৬ ক্যালরি শক্তি। এর ১৮.১ গ্রাম প্রোটিন, ২.৪ গ্রাম চর্বি, ১১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।দাঁত ও হাড়ের গঠনে এটি সাহায্য করে।

ট্যাংরাঃ

১০০ গ্রাম ট্যাংরা মাছে ১৪৪ ক্যালরি শক্তি মিলবে।এতে প্রোটিন ১৯.২ গ্রাম,চর্বি ৬.৫ গ্রাম,ক্যালসিয়াম ২৭০ মিলিগ্রাম। আয়রন আছে ২ মিলিগ্রাম রক্তশূন্যতার রোগীদের ট্যাংরা মাছ খাওয়া উচিত।

মলাঃ 

রাতকানা রোগ, ভিটামিন ‘এ’ এর স্বল্পতাজনিত চোখের সমস্যা রোধে মলা মাছ খুবই কার্যকর। এতে ক্যালসিয়াম অনেক ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এই মাছে,যা হৃদ্রোরোগীদের জন্য ভালো।

১০০ গ্রাম মলা মাছে প্রায় ৮৫৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম আছে। আরও আছে ৫.৭ মিলিগ্রাম আয়রন, ভিটামিন ‘এ’ ২০০০ ইউনিট এবং ৩.২ মিলিগ্রাম জিংক।

কাচকি মাছঃ

০০ গ্রাম কাচকি মাছে ১২.৭ গ্রাম প্রোটিন আছে।আছে ৩.৬ গ্রাম চর্বি, ৪৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ মিলিগ্রাম আয়রন।এই মাছ কোটারও ঝামেলা নেই,ধুয়ে বেছে খেয়ে নেওয়া যায়।

লিঃ

কাঁটাযুক্ত এই মাছের প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিন ২০.৩গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০৩ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.৭ মিলিগ্রাম ও ফসফরাস ৪৫০ মিলিগ্রাম।ছোট মাছে প্রোটিন ও জলীয় অংশ বেশি বলে দ্রুত জীবাণুতে আক্রান্ত হয়। তাই এসব মাছ কেনার পর দ্রুত রান্না করে ফেলা উচিত। ফ্রিজ থেকে বের করে দীর্ঘ সময় বাইরে না রাখা ভালো। কম তাপে এসব মাছ রান্না করবেন। ভাপে করলে আরও ভালো। ধুয়ে অনেকক্ষণ বাইরে রেখে দিলে অক্সিজেনের সংস্পর্শে খাদ্যগুণ কিছুটা নষ্ট হয়। আবার মাছ সেদ্ধ করে পানি ফেলে দেওয়াও ভালো নয়। তবে ছোট মাছে ইউরিক অ্যাসিড বেশি বলে গেঁটে বাতের রোগীদের কম খাওয়া ভালো। আবার ফসফরাস বেশি বলে কিডনি রোগীদেরও কম খাওয়া উচিত।


ছোট মাছ আমাদেরকে নানান রোগ বালির হতে রক্ষা করে এবং এটি আমাদের চোখের জন্য অনেক উপকারী। যাদের চোখের সমস্যা আছে এবং গর্ভাবস্থায় ডাক্তাররা বেশি করে ছোট মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেননা এটি আমাদের চোখের যতি বাড়াতে সাহায্য করে । 







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪