‘জুমা মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা বিনিময় করা , ইসলাম কী বলে জেনে নিই
‘জুমা মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা বিনিময় করা , ইসলাম কী বলে জেনে নিই
২০শে অক্টোবর শুক্রবার, ২০২৩
জুম্মার দিনের ফজিলত সম্পর্কে আমারা অনেক কিছু এখনো জানি না,এই দিনটি মুসলিমদের জন্য একটা ফজিলত পূর্ণ দিন ।
তবে আজকাল শুক্রবার এলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরস্পরকে ‘জুমা মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা জানানো একটি বিশেষ প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু জুমাবারে এ ধরনের শুভেচ্ছাবাক্য বিনিময় করা আদৌ ইসলাম সমর্থন করে কিনা তা জানা দরকার।
কাউকে ‘জুমা মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা জানানোর মানে হলো, আপনার জুমাবার বরকতময় হোক! বাক্যটির অর্থের বিচারে আপাতদৃষ্টিতে এতে কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।
কিন্তু প্রত্যেক শুক্রবারে নিয়ম করে এধরনের শুভেচ্ছা বিনিময় করা রাসুলুল্লাহর (সা.) সুন্নাহ সমর্থন করে না। সাহাবায়ে কেরামের (রা.) আমল দ্বারাও এরকম শুভেচ্ছা বিনিময় প্রমাণিত নয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কেউ যদি আমাদের (ইসলামের) সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ নয় এমন কোনো আমল করে, তা প্রত্যাখ্যাত হবে। (বুখারি ও মুসলিম)
অপর হাদিসে এসেছে, কেউ যদি ইসলামে নতুন কোনো কিছু শুরু করে যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা বাতিল বলে গণ্য হবে। (বুখারি ও মুসলিম)
আর একে অপরকে ‘জুমা মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা জানানোর এই নব্য আবিস্কৃত প্রথা সুন্নাহ সমর্থিত কোনো আমল নয়। তাই ওলামায়ে কেরাম এটিকে বিদয়াত বলেছেন।
শুক্রবারে একে অপরের সঙ্গে ‘জুমা মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা বিনিময় করার ব্যাপারে আরবের বিখ্যাত স্কলার শাইখ সালিহ আল ফাওযানকে কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো।
এর জবাবে তিনি বলেন, কোরআন ও হাদিসে জুমাবারে এরকম শুভেচ্ছা বিনিময়ের কোনো ভিত্তি নেই; বরং এটি একটি বিদয়াত। যেহেতু কোরআন-সুন্নাহ এবং সাহাবায়ে কেরাম ও সালফে সালিহীনের আমল দ্বারা এটি প্রমাণিত নয়, সুতরাং জুমাবারে এরকম শুভেচ্ছা বিনিময় করার অনুমতি নেই।
তাই আমাদেরকে এই বিদাত থেকে নিজেদের দূরে রাখতে হবে এবং জুম্মার দিনের আমলের উপর বিশেষ করে আমাদেরকে আমল করতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url