লিভার ভালো রাখতে হলে মেনে চলুন এই পদ্ধতি গুলো
লিভার ভালো রাখতে হলে মেনে চলুন এই পদ্ধতি গুলো
০১ই অক্টোবর রবিবার, ২০২৩..
ছবি সংগ্রহীত
আমাদের শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে লিভার কে বলা হয়ে থাকে। এটি ভালো রাখা আমাদের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। সুস্থ থাকতে লিভারের খেয়াল আমাদের কে রাখতেই হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লিভার খারাপ হওয়ার কারণ হয় কিছু বদ অভ্যাস। জেনে নিন লিভার সুস্থ রাখার কিছু সহজ নিয়ম -
> লো ফ্যাট ফুডে ‘না’-
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে অতিরিক্ত মদ্যপান, তেল-মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত্ ঠিকই, তবে লো ফ্যাট ফুড হইতে সাবধান। সুপারমার্কেটে গিয়ে লো ফ্যাট বা ৯৯ শতাংশ লোয়ার ইন ফ্যাট লেখা ফুড কেনা অবিলম্বে ত্যাগ করুন। এই সব খাবার থেকে ফ্যাট বাদ দেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ধরে রাখতে যোগ করা হয় প্রচুর পরিমাণ চিনি। এতে লিভারের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
> স্ট্রেস থাকলে খাবেন না-
বোর হলে, এনার্জি কম লাগলে কী করি আমরা? অনেকেই এই সময় খাবার খেয়ে মুড ঠিক করতে চান। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন লিভার সুস্থ রাখতে স্ট্রেসের সময় খাবার ছোঁবেন না। এই সময় হজম ঠিক মতো হয় না।
> ওষুধ থেকে সাবধান-
বেশি কিছু ওষুধ লিভারের ক্ষতি করে। এ সব ওষুধ থেকে দূরে থাকুন। কিছু পেনকিলার, যেমন টাইলেনল বা কোলেস্টেরলের ওষুধ লিভারের প্রভূত ক্ষতি করে।
> কফি-
চা, কফি খেলে শরীরের ক্ষতি হয় এই কথাটা কত বার শুনেছেন? কফি খাওয়ার কিন্তু অনেক সুফল রয়েছে। গবেষণা জানাচ্ছে, নিয়মিত কফি খেলে লিভারের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্তত ১৪ শতাংশ কমে যায়।
> টক্সিন-
ত্বকে বিষক্রিয়া লিভারের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ত্বকের মাধ্যমে বিষ রক্তে শোষিত হয়। তাই স্প্রে, টক্সিন থেকে দূরে থাকুন।
> প্লান্ট প্রোটিন-
লিভার সুস্থ রাখতে সবচেয়ে বেশি জরুরি সঠিক খাবার বাছা। অ্যানিমাল প্রোটিনের থেকে লিভারের জন্য বেশি ভাল প্লান্ট প্রোটিন। ডাল, সবুজ শাক-সব্জি, বাদাম, ফাইবার খান।
> ইজি বুজিং-
অ্যালকোহল লিভারে টক্সিন জমা করে। ফলে অতিরিক্ত মদ্যপান লিভারের ক্ষতি করে। তবে হালকা অ্যালকোহল শরীরের পক্ষে ভাল।
> হেলদি ফ্যাট-
ফ্যাট শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই লিভার সুস্থ রাখতে ফ্যাট ডায়েট থেকে একেবারে বাদ দিয়ে দেবেন না। হেলদি ফ্যাট খান। অলিভ, ওয়ালনাট জাতীয় খাবারে হেলদি ফ্যাট থাকে।
লিভার সুস্থ রাখতে হলে আমাদেরকে নিয়মিত খাদ্য অভ্যাস, সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এছাড়া বেশি পরিমাণে পানি খেতে হবে। উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো মেনে চললে আমাদের শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি সব সময় ভালো থাকবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url