OrdinaryITPostAd

অনিয়মিত পিরিয়ড হচ্ছে? নিয়মিত হওয়ার এই উপায় গুলো মনে চলুন

 

অনিয়মিত পিরিয়ড হচ্ছে?  নিয়মিত হওয়ার এই  উপায় গুলো মনে চলুন 

১১ই সেপ্টেম্বর সোমবার, ২০২৩



নছবি সংগৃহীত 



পিরিয়ড মেয়েদের একটি মাসিক চক্র।যা বিভিন্ন কারণবশত না অসুস্থতার কারণে অনিয়মিত হয়ে থাকে। পিরিয়ড কারও কারও জন্য যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। তার সঙ্গে যোগ হয় কোমর ও পেটে ব্যথা। 

পিরিয়ড চক্রের দৈর্ঘ্য (পিরিয়ডের শুরু থেকে পরবর্তী পিরিয়ড শুরুর মধ্যকার সময়) সাধারণত ২৮ দিন হয়; যদি এটি এক সপ্তাহের বেশি দেরিতে শুরু হয় তবে তাকে অনিয়মিত বলা যেতে পারে। অনিয়মিত পিরিয়ডের জন্য অনেক ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।

অনিয়মিত পিরিয়ডকে ডাক্তারি ভাষায় অলিগোমেনোরিয়া বলা হয়, যা নারীদের মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা। অনেককিছুই এই সমস্যার কারণ হতে পারে। যেমন ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি, অ্যানিমিয়া, মেনোপজ, থাইরয়েড, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, যকৃতের রোগ, যক্ষ্মা, গর্ভপাত এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা।


অনিয়মিত পিরিয়ডকে নিয়মিত করার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আসুন এগুলো জেনে নেয়া যাক -


কাঁচা পেঁপে খাওয়াঃ 



কাঁচা পেঁপে পিরিয়ডের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হয়। কারণ এটি জরায়ুতে পেশী তন্তুকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে। কয়েক মাস নিয়মিত কাঁচা পেঁপের রস পান করলে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দূর হবে। তবে পিরিয়ড চলাকালীন এটি পান করবেন না। এছাড়াও কাঁচা পেঁপে খাওয়া বা পাকা পােপে খেলেও এই সমস্ত দূর হয়। 


হলুদের ব্যবহারঃ

হলুদকে সেরা ঔষধি ভেষজগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয় যা বেশ উষ্ণতাদায়ক। এটি পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। অ্যান্টিস্পাসমোডিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য মাসিকের ব্যথা উপশম করে। দুধ, মধু বা গুড়ের সঙ্গে এক-চতুর্থাংশ চা চামচ হলুদ খান। কয়েক সপ্তাহের জন্য বা অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এটি প্রতিদিন খান।

অ্যালোভেরার ব্যবহারঃ

অ্যালোভেরা হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিকভাবে অনিয়মিত পিরিয়ডের চিকিৎসা করতে সাহায্য করে। সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়ার জন্য একটি অ্যালোভেরা পাতা থেকে তাজা অ্যালোভেরা জেল বের করুন, এরপর এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালের নাস্তা করার আগে এটি খান। আপনার পিরিয়পের সময় এই প্রতিকারটি ব্যবহার করবেন না।




আদার ব্যবহারঃ

১ টেবিল চামচ আদা ৫ মিনিটের জন্য ফুটিয়ে নিন। এরপর এর সঙ্গে সামান্য মধু যোগ করুন। পানীয়টি দিনে তিনবার খাবারের পর পান করুন। মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণ এবং অনিয়মিত পিরিয়ড থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আদা অত্যন্ত কার্যকরী।

জিরার ব্যবহারঃ

জিরায় রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। অনিয়মিত পিরিয়ডের চিকিৎসায় ভেজানো জিরা ব্যবহার করা যেতে পারে। ২ চামচ জিরা নিয়ে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে জিরা ছেঁকে নিয়ে পানিটুকু পান করুন। পিরিয়ড নিয়মিত করার জন্য প্রতিদিন এই পানি পান করুন।




যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশনঃ

স্ট্রেস শরীরের হরমোনের ভারসাম্যহীনতার প্রাথমিক কারণগুলোর মধ্যে একটি যা মাসিকের অনিয়মকে ট্রিগার করে। যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন মানসিক চাপ উপশম করতে সাহায্য করে। মেডিটেশন শরীরে নিখুঁত হরমোনের ভারসাম্য নিশ্চিত করতে পারে। এই দুটি ওষুধ ছাড়াই অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি।


পিরিয়ড মেয়েদের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তবে বিভিন্ন কারণে এটি অনিমিত হয়ে যায় । উক্ত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে বা মেনে চললে খুব সহজ  ভাবে পিরিয়ডের এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪