দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে কী হয় ? জানেন কি
৬ই সেপ্টেম্বর বুধবার, ২০২৩
আমরা অনেকেই মনে করে থাকি দুধ এবং মধু একসাথে খাওয়া যায় না। তবে এই ধারণাটি কতটুকু ঠিক তা আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব।
দুধ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী খাবার একথা সবারই জানা। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য দুধের বিকল্প নেই বললেই চলে। এদিকে মধুর উপকারিতাও কম নয়। কিন্তু এই দুই খাবার একসঙ্গে খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কারণ দুধে মধু মেশালে তার উপকারিতা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কেন দুধের মধু মিশিয়ে খাবেন-
আপনি যখন দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাবেন তখন এর স্বাদ বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। চিনি ছাড়া দুধ পান করার অভ্যাস না থাকলে সেক্ষেত্রে চিনির বিকল্প হিসেবে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। দুধ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পান করলে তা পাচনতন্ত্রকে উন্নত করে। বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন এমন কারও জন্য এই দুধ বেশি উপকারী।
শরীরের শক্তি যোগান দেয় :
সকালে ঘুম থেকে উঠেই চা পান করেন অনেকে। আপনারও যদি এমন অভ্যাস থাকে তবে তা বন্ধ করুন। সকালে চায়ের পরিবর্তে পান করুন মধু মেশানো দুধ। এভাবে খেলে শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়বে অনেকখানি। কারণ সকালটা প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন দিয়ে শুরু করলে পুরো দিনটাই কাজের শক্তি পাওয়া যায়। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে কাজ করে। অপরদিকে মধু শক্তির যোগান দেয়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হতে সাহায্য করে:
অনেকেই রাতের বেলা ঘুমাতে গেলে আর ঘুম আসে না। সারাদিন কাজের ভীষণ চাপ, নানারকম দুশ্চিন্তার কারণে ঘুম আসতে চায় না। সব ধরনের চাপ কমাতে কাজ করবে এই বিশেষ পানীয়। হালকা গরম দুধে সামান্য মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন বিছানায় যাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে। এতে রাতে ঘুম ভালো হবে, প্রশান্তি পাবেন। সেইসঙ্গে মুক্তি পাবেন দুশ্চিন্তা থেকেও।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করে :
যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য উপকারী একটি খাবার হতে পারে দুধ ও মধুর মিশ্রণ। কারণ এই পানীয় পান করলে তা শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে কাজ করে। ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দিকাশিতে ভুগলেও পান করতে পারেন দুধ ও মধু। কারণ এই সমস্যার সমাধানে দুধ ও মধুর মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকরী। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এটি বেশি উপকারী।
ব্যাকটেরিয়ার রোধ করে :
শরীরে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে কাজ করে দুধ ও মধুর মিশ্রণ। এটি আমাদের অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। যে কারণে পেটের কোনো সমস্যা হয় না। পেট পরিষ্কার থাকে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ক্ষুধাও বাড়ে। ফলে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। তাই এটি রোজ রোজ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url