আশুরার রোজা রাখার ফজিলত
আশুরার রোজা রাখার ফজিলত
২৮শে জুলাই শুক্রবার, ২০২৩
রমজান মাসের রোজার পর অন্যান্য নফল রোজার মধ্যে সবথেকে বেশি ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ রোজা হলো আশুরার রোজা। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতেন এবং আশুরার রোজা রাখতেন। সকলকে এ রোজা রাখার জন্য বলতেন।
ফজিলত ও গুরুত্ব
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান ও আশুরায় যেভাবে গুরুত্বের সাথে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ -(সহিহ বুখারি : ১/২১৮)
ব্যাপারে আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত এক হাদিসে নবী করিম সা: বলেন, ‘রমজানের পর আল্লাহর মাস মহররমের রোজা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/৩৬৮)
আশুরার রোজা পালনে যেমন অফুরন্ত সওয়াব অর্জিত হয়, তেমনি এদিন রোজা রাখলে গুনাহও মাফ হয়। আলী রা:-কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিল, রমজানের পর আর কোনো মাস আছে, যাতে আপনি আমাকে রোজা রাখার আদেশ করেন? তিনি বললেন, এই প্রশ্ন আল্লাহর রাসূল সা:-এর কাছে জনৈক সাহাবি করেছিলেন, তখন আমি তার খেদমতে উপস্থিত ছিলাম।
উত্তরে রাসূল (সা:) বললেন, ‘রমজানের পর যদি তুমি রোজা রাখতে চাও, তবে মহররম মাসে রাখ। কারণ, এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তাআলা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্যান্য জাতির তওবা কবুল করবেন।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১/১৫৭)
যেভাবে রাখবেন আশুরার রোজা
আশুরার রোজা মূলত ১০ই মহররমের রোজা। তবে এই রোজার সাথে আরো একটি রোজা মিলিয়ে রাখার ব্যাপারে হাদিসে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ, মুহাররমের ৯ ও ১০ কিংবা ১০ ও ১১ দুইদিন রোজা রাখা উত্তম।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদীদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখ।’ (সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস : ২০৯৫)
অন্য বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ স: ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো, তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের সাথে মিল না হওয়ার জন্য ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন আরো একটি রোজা রেখে নিয়ো।’ আল্লাহতালা আমাদের সকলকে সঠিকভাবে রোজা পালন করার তৌফিক দান করুন এবং আমাদের সকলের সমস্ত জানালা জনগণনা করি মাফ করে দেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url