পিরিয়ডসের সময়ে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন
পিরিয়ডসের সময়ে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন!
১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৩
ঋতুস্রাবের সময়, মহিলাদের অনেক সমস্যা, যেমন গা-হাত-পা ব্যাথা, ক্র্যাম্প, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, আলস্য, বিরক্তি এবং হজমের সমস্যা হয়। প্রত্যেক মহিলার ক্ষেত্রে আলাদা সমস্যা হয়।
পিরিয়ডের সময় নারীদের অনেক শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হয়। অতএব, মাসিকের সময় মহিলাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মাসিকের সময় স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত।
প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি, গোটা শস্য, ফল, কলা, দই, স্যামন মাছ, বাদাম এবং বীজ খাওয়া উচিত। এগুলি মাসিকের ব্যথা, খিঁচুনি, অস্বস্তি ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করবে।
কিন্তু ঋতুস্রাবের সময় সমস্যা বাড়াতে পারে এমন খাবারগুলি জানাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পিরিয়ডের সময় নিম্নলিখিত খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন
নিম্নলিখিত কিছু খাবার ক্ষতিকারক। মাসিকের সময় মহিলাদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজা খাবার, চিপস, উচ্চ ফ্যাটযুক্ত, উচ্চ লবণযুক্ত, টক জাতীয় জিনিস ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।
১. ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন
মাসিকের সময় ক্যাফেইনের পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত। যদিও ক্যাফেইন পিরিয়ডের উপর সরাসরি কোনও প্রভাব ফেলে না।
তবে কখনও কখনও বেশি প্রস্রাব বা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পিরিয়ডের সময় বেশি কফি পান করলে ডিহাইড্রেশনও হতে পারে। এটি মাসিকের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, যেমন ব্যাথা, খিঁচুনি, অস্বস্তি ইত্যাদি।
মনে রাখবেন, অনেক সফট ড্রিঙ্কেও কিন্তু ক্যাফেইন থাকে।
ক্যাফিনযুক্ত পণ্যের পরিবর্তে, গ্রিন টি, গাজর এবং টমেটোর রস বা যেকোনও ধরনের স্যুপ খেতে পারেন। এটি মাসিকের সময় ক্র্যাম্প উপশম করতে সাহায্য করবে।
২. অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলুন
মাসিকের সময় অ্যালকোহল সেবন অস্বস্তি বাড়াতে পারে। তাই এটি এড়ানো উচিত। পিরিয়ডের সময় অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে তলপেট ফুলে যেতে পারে। এটি পিরিয়ড অনিয়মিত এবং শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়াতে পারে। এটি মাসিকের কষ্ট আরও বৃদ্ধি করতে পারে।
অ্যালকোহল সেবনের পরিবর্তে, নারকেল জল বা লস্যি পান করতে পারেন।
৩. উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
পিরিয়ডসের সময়ে মুড সুইং হয়। আর সেই কারণে অনেকে এই সময়ে পিত্জা, বার্গার, তেলেভাজা, চিপস, চানাচুর খেয়ে ফেলেন বেশি বেশি করে। এতে হিতে বিপরীত হয়।
এমনিতেই শরীর দূর্বল। হজমশক্তিতেও প্রভাব পড়ে। তাই মাসিকের সময়ে বেশি গুরুপাক, ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
বরং মুসুর ডালের স্যুপ, গ্রিলড-তন্দুরি চিকেন, অল্প তেলে মাছ ভাজা, চিকেন স্টুয়ের মতো সুস্বাদু অথচ স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
৪. দুগ্ধজাত পণ্য এড়িয়ে চলুন
মাসের ওই কয়েক দিন দুধের খাবার এড়িয়ে চলুন। দুধ, পনির এবং ক্রিম থেকে হজমের গোলমাল হতে পারে। মাসিকের সময়ে এগুলি ক্র্যাম্পের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
৫. অতিরিক্ত লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলুন
ফাস্ট ফুড, ভাজাভুজি ইত্যাদিতে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে নুন থাকে। এগুলি পেট ফাঁপা, আলস্য, ডিহাইড্রেশন বৃদ্ধি করতে পারে। তাই নুনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৬. রেড মিট এড়িয়ে চলুন
রেড মিটে এমন ধরণের অ্যাসিড থাকে যা প্রস্টেট গ্রন্থিকে অতি সক্রিয় করে তুলতে পারে। এর ফলে পিরিয়ডসের ব্যাথা বাড়তে পারে। তাই বাড়িতে এই ক'দিন মটনের বদলে চিকেনের ঝোলই খান।
সারা মাসের ডায়েটই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সামগ্রিকভাবে কোনও ব্যক্তির স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। ঋতুস্রাবের সময়, শুধু নয়। নিজেকে সুস্থ রাখতে সব সময়েই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url