OrdinaryITPostAd

জানুন থানকুনি পাতার উপকারিতা, গুনাগুন ও সাথে থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম

 

জানুন থানকুনি পাতার উপকারিতা, গুনাগুন ও সাথে থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম 

০৮ এপ্রিল শনিবার, ২০২৩.




গেঁয়ো যোগী যে ভিখ পায় না, তা থানকুনি পাতার (Thankuni Pata) খোঁজ নিলেই জানা যায়! এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে যেখানে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মাথায় করে রেখেছে, সেখানে আধুনিক কালে এর জনপ্রিয়তা কমেছে চোখে পড়ার মতো। শাস্ত্র মতে ছোট-বড় রোগ সারাতে জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু আমাদের ভরসা রয়েছে সেই আধুনিক মেডিসিনে, যা খেলে রোগ তো সারে। কিন্তু হাজারও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় শরীর একেবারে জেরবার হয়ে যায়। তাই তো বলি, সুস্থ থাকতে ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপাদানের উপরে, বিশেষ করে থানকুনি পাতার উপরে (Thankuni Patar Upokarita)। দেখবেন, শরীর বাবাজিকে নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না!




সূচিপত্র এক নজরেঃ

থানকুনি পাতার উপকারিতা এদেশে তো কাজে লাগে বটেই, তাছাড়াও খ্রিষ্টপূর্ব সেই ১৭ শতক থেকে আফ্রিকা, জাভা, সুমাত্রা, ফ্রান্স, শ্রীলঙ্কা এবং ফিলিপিন্সে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে থানকুনি পাতা। কারণ, একজিমা এবং সোরিয়াসিসের মতো জটিল ত্বকের রোগ সারিয়ে তুলতে যেমন এই প্রাকৃতিক উপাদানটির জুড়ি মেলা ভার, তেমনি এই গুল্মটিতে উপস্থিত একাধিক উপকারী খনিজ (Thankuni Benefits) এবং ভিটামিন মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের দেখভালেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা

নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খাওয়া শুরু করলে একাধিক উপকার মেলে। বিশেষত, শরীরের যত্নে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প (Thankuni Patar Upokarita In Bengali) হয় না বললেই চলে। 

১| ক্ষতের চিকিৎসায় কাজে আসে (Relieves Wound Pain)

কোথাও কেটে গেলে সেখানে যদি অল্প করে থানকুনি পাতা (Thankuni Leaf) থেঁতো করে লাগানো যায়, তা হলে দারুণ উপকার পাবেন। এই পাতায় রয়েছে Saponins নামে একটি উপাদান, যা ক্ষতস্থানে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়, যে কারণে ক্ষত শুকিয়ে যেতে সময় লাগে না। ক্ষতস্থানে কোনও ধরনের সংক্রমণ (Thankuni Benefits) হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

২| সারা শরীরে রক্তের প্রবাহে উন্নতি ঘটে (Increases Blood Flow)

নিয়মিত থানকুনি পাতার রস (Centella Asiatica) খেলে ব্লাড ভেসেলের যে দেওয়াল রয়েছে, তার ক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনই সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে দেহের প্রতিটি অঙ্গে বিশুদ্ধ রক্ত পৌঁছে যাওয়ার কারণে রোগ-ব্যাধির প্রকোপ কমতে (Thankuni Patar Upokarita) সময় লাগে না। বাড়ে শরীরের ক্ষমতাও। সেই সঙ্গে পা ফুলে যাওয়া এবং পায়ে যন্ত্রণা হওয়ার মতো সমস্যাও দূরে থাকে।

৩ | রক্ত জমে থাকার আশঙ্কা কমায় (Prevents Blood Clots)

রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা কমাতে থানকুনি পাতার উপকারিতা প্রচুর। থানকুনি পাতায় উপস্থিত নানা মিনারেল এবং উপকারী উপদানের কারণে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা কমে, যে কারণে Thrombosis-এর মতো রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয় (Thankuni Pata Medicinal Uses In Bengali)। তা ছাড়া রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটা একেবারেই উচিত নয়।


 কারণ এমনটা ঘটলে রক্তের প্রবাহে বিঘ্ন ঘটে। ফলে হার্ট, কিডনি এবং মস্তিষ্কের যেমন মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমনি শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলিও কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে (Thankuni Leaf Benefits In Bengali)। তাই এই বিষয়ে সাবধান থাকাটা জরুরি। আর সেই কারণেই তো থানকুনি পাতার রস না খেলেই নয়!

৪| শরীরের ভিতরে প্রদাহের মাত্রা কমায় (Reduces Inflammation)

কোনও কারণে শরীরের ভিতরে যদি ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়, তা হলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, সঙ্গে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে আরও নানা ধরনের সমস্যা। এক্ষেত্রে জয়েন্টে ব্যথা, বারে-বারে জ্বর আসা, ক্লান্তি (Thankuni Pata Medicinal Uses In Bengali), মাথা যন্ত্রণা, খিদে কমে যাওয়া এবং পেশিতে যন্ত্রণা হওয়ার মতো

 লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়। এই সময় যদি সঠিক চিকিৎসা শুরু করা না যায়, তা হলেই বিপদ! তবে এমন পরিস্থিতি আসার আগেই কিন্তু ড্যামেজ কন্ট্রোল (থানকুনি পাতার উপকারিতা) করা সম্ভব। কীভাবে তাই ভাবছেন? এক্ষেত্রে প্রতিদিন থানকুনি পাতার রস খেতে হবে (Thankuni Pata Benefits In Bengali), তা হলেই মিলবে সুফল। কারণ, এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপদান, যা নিমেষে প্রদাহের মাত্রা কমায়। সঙ্গে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের মতো সমস্যাকেও দূরে রাখে। কমায় জয়েন্টের ব্যথা।

৫| স্টমাক আলসারের মতো রোগ দূরে রাখে (Prevents Stomach Ulcer)

Asiaticoside নামে একটি উপাদান রয়েছে থানকুনি পাতায়, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে স্টমাক আলসারের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, পেট খারাপ বা ডায়রিয়ার চিকিৎসাতেও (Benefits of Thankuni Leaves) অনেক সময় এই পাতাটিকে কাজে লাগানো হয়ে যাকে।

৬| অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমায় (Treats Depression and Anxiety)

এমন ধরনের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাদের নিয়মিত করে খেতে হবে থানকুনি পাতার রস (Thankuni Leaf Benefits), তা হলেই মিলবে উপকার। কারণ, এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা Serotonin হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যে কারণে Cortisol, মানে স্ট্রেস হরমোনের প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমতে (Thankuni Pata Benefits In Bengali) সময় লাগে না। এমনকী, স্ট্রেস লেভেলও যেমন কমে, তেমনই বারে-বারে অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের কবলে পড়ার আশঙ্কাও কমে।

৭| মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে (Natural Brain Booster)

নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং Pentacyclic Triterpenes নামক একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে ব্রেন সেলের ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে স্মৃতিশক্তির উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধারও বাড়ে চোখে পড়ার মতো। এই কারণেই তো ছোট বাচ্চাদের থানকুনি পাতার রস (Centella Asiatica) খাওয়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বয়স্ক মানুষরাও যদি নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খান, তা হলে শেষ বয়সে অ্যালঝাইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমে যায়। 


৮| অনিদ্রার সমস্যা দূর হয় (Helps to Beat Insomnia)

রাতে কি ঠিক মতো ঘুম হয় না? তা হলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন থানকুনি পাতা। দেখবেন, উপকার (Thankuni Patar Upokarita In Bengali) মিলবে একেবারে হাতে-নাতে। কারণ, এতে রয়েছে একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা স্ট্রেস লেভেল কমায়। সঙ্গে নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত রাখে। ফলে অনিদ্রার মতো সমস্যা দূরে পালাতে সময় লাগে না। 

৯ | শরীরকে বিষমুক্ত করে (Cleanse Harmful Toxins from Your Body)

নানা ভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করা টক্সিক উপাদানদের যদি সময় থাকতে-থাকতে বের করে দেওয়া না যায়, তা হলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। কারণ, সেক্ষেত্রে এই সব ক্ষতিকর উপাদানগুলির কারণে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

 এখন প্রশ্ন হল, টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে বের করবেন কীভাবে? এক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন, থানকুনি পাতার উপরে (Thankuni Pata Medicinal Uses In Bengali)। প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠা মাত্র ২ চামচ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে যদি ১ চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়, তা হলে রক্তে মিশে থাকা টক্সিক উপাদানগুলি প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।

১০| জ্বরের চিকিৎসায় কাজে আসে (Helps to Treat Fever)

প্রচণ্ড তাপদাহের পরে এবার বৃষ্টি এল বলে। এই সময় তাপমাত্রা ওঠা-নামা করার কারণে অনেকেই জ্বরের খপ্পরে পড়বেন। তখন থানকুনি পাতা (Thankuni Pata) খেতে ভুলবেন না যেন। সকালে খালি পেটে এক চামচ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে ১ চামচ শিউলি পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বরের প্রকোপ কমতে (Thankuni Patar Upokarita) সময় লাগে না। এমনকী, সর্দি-কাশির মতো সমস্য়াও কমে অল্প দিনে।

১১| ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে (Controls Blood Pressure)

যাঁদের পরিবারে এমন জটিল রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের ৩০ পেরনো মাত্রা নিয়ম করে থানকুনি পাতা খেতে হবে (Thankuni Pata Medicinal Uses In Bengali)। কারণ, এতে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদান রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে হার্টের দেখভালেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। বিশেষ করে Atherosclerosis, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো রোগকে দূরে রাখতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তবে মাথায় রাখবেন, যাঁরা ইতিমধ্যেই প্রেশারের রোগে ভুগছেন, তাঁর থানকুনি পাতা খাওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না যেন! 


১২| ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে (Helpful for Weight Mangement)

বেশি মাত্রায় ক্যালরি রয়েছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলার পাশাপাশি নিয়ম করে হাঁটাহাঁটি করলে এবং থানকুনি পাতা (Centella Leaves) খেলে ওজন কমবে চোখে পড়ার মতো। কারণ, নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে শরীরের ইতি-উতি মেদ জমার আশঙ্কা আর থাকে না (Thankuni Pata Benefits)। এছাড়াও চুলের যত্নে থানকুনি পাতার রস অনেক কাজে লাগে।


থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম (Thankuni Pata Recipes)

থানকুনি পাতার উপকারিতা তো আপনারা দেখলেনই এবার জানুন থানকুনি পাতার গুনাগুন সম্বন্ধে। সকাল-সকাল খালি পেটে থানকুনি পাতার রস খেলে যেমন উপকার (Benefits of Thankuni Pata) মেলে, তেমনই কাঁচা থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলেও সমান উপকার পাওয়া যায়। ইচ্ছে হলে খেতে পারেন থানকুনি পাতার পেস্ট অথবা বড়াও। আবার এই পাতা দিয়ে তৈরি পানীয় (Uses of Thankuni) খেলেও একই উপকার মেলে।

১ | থানকুনি পাতা বাটা তৈরির রেসিপি (Thankuni Pata Bata/Paste)

গরম ভাতের সঙ্গেও থানকুনি পাতা খেতে পারেন। এক্ষেত্রে থানকুনি পাতার পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে (থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম)। আর তার জন্য় প্রয়োজন পড়বে তিনটে থানকুনি পাতার, সঙ্গে লাগবে দুটো কাঁচা লঙ্কা, ১ চামচ কালো জিরা, ১ চামচ তেল এবং অল্প পরিমাণ চিনির। প্রথমে থানকুনি পাতা

 (Thankuni Pata) গুলিকে ভাল করে ধুয়ে নিতে পাঁচ মিনিট হালকা গরম জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সময় হয়ে গেলে জলটা ছেঁকে নিন। এরপরে মিক্সিতে থানকুনি পাতা, কালো জিরে, নুন, চিনি এবং কাঁচা লঙ্কা ফেলে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার হালকা আঁচে এক চামচ সরষের তেল গরম করে তাতে পেস্টটা মিশিয়ে ২ মিনিট একটু নাড়িয়ে নিন। তারপর গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

২| থানকুনি পাতার বড়া তৈরির পদ্ধতি (Thankuni Pakora)

খেতে পারেন থানকুনি পাতার বড়াও। এই পদটি তৈরি করতে প্রয়োজন পড়বে ১০-১২ টা থানকুনি পাতা, ২-৩ টে কাঁচা লঙ্কা, ১ টা পেঁয়াজ, স্বাদ অনুসারে নুন, এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো, এক চিমটে লঙ্কা গুঁড়ো, ৩ চামচ বেসন এবং পরিমাণ মতো তেলের। প্রথমে পাতাগুলি ভাল করে ধুয়ে নিয়ে ছোট-ছোট টুকরো করে নিতে হবে। এবার একটা বাটিতে থানকুনি পাতা (Thankuni Pata Benefits In Bengali), পেঁয়াজ কুঁচি, লঙ্কা কুঁচি, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন, পরিমাণমতো বেসন এবং অল্প করে জল নিয়ে ভাল করে মেখে ফেলতে হবে। তারপর একটা প্যানে পরিমাণমতো তেল নিয়ে একটু গরম করে নিন। তেলটা গরম হওয়ামাত্র বেসনের মিশ্রণ থেকে অল্প-অল্প করে নিয়ে তেলে ছাড়তে থাকুন (থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম)। যখন বড়ার রং হলকা খয়েরি হতে শুরু করবে, তখন প্যান থেকে তুলে একটা পাত্রে সংগ্রহ করুন। গরম ভাত আর ডালের সঙ্গে থানকুনি পাতার বড়া খেতে কিন্তু মন্দ লাগবে না।

৩| থানকুনি পাতা দিয়ে তৈরি পানীয় (Thankuni Drinks)

২৫০ গ্রাম থানকুনি পাতা নিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। তারপর একটা গ্লাসে থানকুনি পাতাগুলি (Uses of Thankuni) নিয়ে তাতে এক কাপ জল মিশিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণটা ব্লেন্ডারে ফেলে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে।

তারপর ছেঁকে নিয়ে তাতে ৪ চামচ চিনি এবং এক চিমটে নুন মিশিয়ে ততক্ষণ গরম করুন, যতক্ষণ না চিনিটা ঠিক মতো মিশে যায়। এবার মিশ্রণটা একটু ঠান্ডা করে নিন। এরপর ২০০ এম এল জল নিয়ে তাতে অল্প করে লেবুর রস (Benefits of Thankuni Leaf) এবং ৫০ এম এল থানকুনি পাতা থেকে তৈরি সেই মিশ্রণটা মিশিয়ে পান করুন।

থানকুনি পাতার ক্ষতি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (Thankuni Pata Side Effects)

থানকুনি পাতার ক্ষতি বলতে, ১-২ চামচ থানকুনি পাতার রস (Thankuni Pata) বা অল্প করে কাঁচা থানকুনি পাতা খেলে কোনও ক্ষতিই হয় না। কিন্তু বেশি পরিমাণে খেলেই বিপদ! সেক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা (Side Effects) দেখা দিতে পারে। যেমন…

১| মারাত্মক পেটে যন্ত্রণা হতে পারে।
২| মাথা ঘোরার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৩| চুলকানি এবং অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
৪| হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
৫| যাঁরা হেপাটাইটিস বা অন্য কোনও লিভারের রোগে ভুগছেন, তাঁদেরও থানকুনি পাতা খাওয়া উচিত নয় (থানকুনি পাতার ক্ষতি)।
৬| আগামী দু’সপ্তাহে যদি কোনও অপারেশন থাকে, তা হলেও থানকুনি পাতা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

থানকুনি পাতা নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর (FAQs)

জেনে নিন থানকুনি পাতার উপকারিতা ও গুণাগুণ নিয়ে লেখা কিছু সাধারন প্রশ্নের উত্তর –

১| হবু মায়েরা কি থানকুনি পাতা খেতে পারেন?

প্রেগন্যান্সি সময় আদৌ থানকুনি পাতা খাওয়া উচিত কিনা সেই নিয়ে কোনও আধুনিক গবেষণা হয়নি। তাই এই বিষয়ে একজন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়াই ভাল।

২ | থানকুনি পাতা খেলে কি লিভারের ক্ষতি হয়?

তেমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং এমন ধরণা রয়েছে যে, নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে নাকি লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে। তাই এই বিষয়ে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে ভুলবেন না যেন!

৩| ত্বকের যত্নেও নাকি থানকুনি পাতাকে কাজে লাগানো যায়?

সপ্তাহে বারতিনেক থানকুনি পাতার পেস্ট (Thankuni Leaf Benefits In Bengali) মুখে লাগালে দাগ-ছোপ দূর হয়। সেই সঙ্গে ত্বকের ভিতরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং Saponins নামক একটি উপাদানের মাত্রা বাড়ার কারণে জেল্লাও বাড়ে চোখে পড়ার মতো। থানকুনির পাতা একটি মহা ঔষধ। 







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪