OrdinaryITPostAd

ভ্যাপসা গরমেও ত্বকের জেল্লা ফিকে হবে না, এই ৪ উপাদান মুখে মাখুন নিয়মিত

 

ভ্যাপসা গরমেও ত্বকের জেল্লা ফিকে হবে না, এই ৪ উপাদান মুখে মাখুন নিয়মিত

   ১৫ এপ্রিল শনিবার, ২০২৩



ত্বক ভালো রাখার জন্য নিয়মিত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এরকম ৪ টি উপাদান আছে, যা নিয়মিত মুখে মাখলে জেল্লার কোনও ঘাটতি হয় না। গরমেও ত্বক থাকতে সুন্দর। জেনে নিন সেই উপাদানগুলি কী কী ? 


গরমকালের শুরু থেকেই আমাদের ত্বকের প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। ত্বকের জেল্লা ধরে রাখার জন্যে নানা স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টই আমরা ব্যবহার করে থাকি। নিয়মিত পার্লরেও যান অনেকে। কিন্তু ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত বাড়িতেও। এমন কিছু উপাদান আছে, যেগুলো মুখে মাখলে জেল্লা কখনও ফিকে হয় না। সহজেই পাওয়া যায়। মুখের জেল্লা ধরে রাখার জন্যে কোন কোন উপাদান ব্যবহার করবেন? জেনে নিন ঝটপট।


গোলাপ জল




গোলাপ জল ত্বকের জন্যে খুবই উপকারী। আপনার ত্বককে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এটি। টোনার হিসেবেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপ জলে থাকে ১০-৫০ শতাংশ রোজ অয়েল। এর মধ্য়ে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান। অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ঠাসা এই উপাদান। তাই ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

ইরানিয়ান জার্নাল অফ বেসিক মেডিকেল সায়েন্সে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে এই তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। ২০১১ সালের একটি গবেষণা পত্রে এমন উল্লেখ পাওয়া যায় যে, গোলাপের পাপড়িতে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি-এর মতো উপাদান ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মতোই কাজ করে। 


অ্যালোভেরা জেল




ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা জেলও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ভ্যাপসা গরমেও বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ খুবই কম। ফলে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। তাই ত্বকের প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। আর্দ্রতার ঘাটতি মেটানোর জন্যে ময়শ্চারাইজার লাগানো দরকার। কিন্তু গরমকালে ক্রিম বেসড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার না করাই ভালো।

আপনি জেল বেসড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। ত্বকের জেল্লা ফেরায় রাতারাতি। ভিটামিন এ, সি এবং ই আছে অ্যালোভেরা জেলে, এগুলো অ্যান্টি -অক্সিড্যান্টসের ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও অ্যালোভেরা জেলে ভিটামিন বি ১২ , ফলিক অ্যাসিড এবং কোলাইন পাওয়া যায়। রোদে পোড়া ত্বকেও ঠিক ওষুধের মতোই কাজ করে অ্যালোভেরা।


ভিটামিন ই




  • ইন্ডিয়ান ডার্মাটোলজি অনলাইন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভিটামিন ই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে।

  • ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ময়শ্চারাইজার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ঠাসা ভিটামিন ই বলিরেখা মলিন করে। সহজেই মুখে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ত্বক থাকে নরম এবং কোমল।

ভিটামিন সি




ত্বকের যত্নে ম্যাজিক দেখায় ভিটামিন সি। তাই কয়েক বছরে বিউটি ওয়ার্লডে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভিটামিন সি ফেস সিরাম।

এর গুণে ত্বকের জেল্লা উপচে পড়ে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে এই ভিটামিন। গবেষণাতেও এরকম উল্লেখ করা হয়েছে। তাই উপাদানটি যেমন ত্বকের জেল্লাও ধরে রাখে, ত্বকে বয়সের ছাপও পড়তে দেয় না।


কী ভাবে ব্যবহার করবেন?




  • এই চারটি উপাদানই আপনি আলাদা আলাদা ভাবে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। মুখ ক্লিনজিং করার পরে টোনার হিসেবে লাগান গোলাপ জল।
  • অ্যালোভেরা জেল প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। তাই মুখে গোলাপ জল লাগানোর পরে আপনি অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন।
  • ভিটামিন সি ফেস সিরামও সরাসরি মুখে মাখতে পারেন।

আরও একভাবে ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন - একটি পাত্রে অ্যালোভেরা জেল নিন পরিমাণ মতো। তার সঙ্গে গোলাপ জল এবং একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস মিশিয়ে দিন। প্রতিটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে আপনার মুখে লাগান। সারা রাত রাখতে পারেন। নাহলে, অন্তত ৩০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন এই ফেসপ্যাক।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪