অমুসলিমদের দেয়া ইফতার খেলে রোজা হবে কি?
অমুসলিমদের দেয়া ইফতার খেলে রোজা হবে কি?
৩রা এপ্রিল সোমবার ২০২৩
বছর ঘুরে আবার ফিরে এলো পবিত্র মাহে রমজান। ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে সেহরির মাধ্যমে রোজা রাখার নিয়ত করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। রোজা রাখার পর নিয়ম মেনে করবেন ইফতার। কিন্তু আপনি কি জানেন, ইসলামী বিধিবিধান অনুযায়ী, রোজা শেষে কোনো অমুসলিমের কাছ থেকে নেয়া ইফতার খাওয়া যাবে কি-না?।
রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস। কোরআন মানুষের জন্য হেদায়েত বা পথনির্দেশক। মুসলিম উম্মাহর জন্য নির্দেশনা হলো–যারা এ মাসটি পাবে তাদের জন্য রোজা পালন করতে হবে। তাই এই মাস সব মুসলমানের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস।
এই মাসে রোজা রেখে ইফতার করার সময় অনেকে প্রতিবেশী অমুসলিম বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দাওয়াত দেন। তাদের সঙ্গে নিয়েই শুরু করেন ইফতার। অনেক সময় তাদের দেয়া খাবার দিয়েও ইফতার করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।
এই মাসে রোজা রেখে ইফতার করার সময় অনেকে প্রতিবেশী অমুসলিম বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দাওয়াত দেন। তাদের সঙ্গে নিয়েই শুরু করেন ইফতার। অনেক সময় তাদের দেয়া খাবার দিয়েও ইফতার করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।
এতে রোজা হবে কি, হবে না এমন দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন অনেকেই। এ বিষয়টি পরিষ্কার করতে মুসলিমদের পরামর্শ ও উপদেশ দিয়েছেন ধর্ম চিন্তাবিদরা।
ইসলামি বিধিবিধান অনুযায়ী হিন্দু কিংবা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে ইফতার করাতে যেমন বাধা নেই। তেমনি তাদের দেয়া খাবার দিয়ে রোজা শেষে ইফতার করাতেও কোনো বাধা নেই ইসলামের বিধিবিধানে।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেছেন, রোজা রাখার পর ইফতার শেয়ার করা সওয়াব। তাই মুসলিমরা যেমন অন্য ধর্মের মানুষদের ইফতার দিতে পারে, তেমনি তাদের দেয়া খাবার দিয়ে ইফতার করতেও পারেন।
কারণ অন্য ধর্মের মানুষ ইসলাম ধর্মের রেওয়াজ বা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছে, কোনো কিছু সাদরে গ্রহণ করছে এতে পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্য বাড়ে। সেইসঙ্গে বাড়বে ভালোবাসাও। তবে অন্য ধর্মের মানুষের কাছ থেকে পাওয়া খাবার ইফতার হিসেবে গ্রহণের জন্য মেনে চলতে হবে একটি বিধান।
কারণ অন্য ধর্মের মানুষ ইসলাম ধর্মের রেওয়াজ বা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছে, কোনো কিছু সাদরে গ্রহণ করছে এতে পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্য বাড়ে। সেইসঙ্গে বাড়বে ভালোবাসাও। তবে অন্য ধর্মের মানুষের কাছ থেকে পাওয়া খাবার ইফতার হিসেবে গ্রহণের জন্য মেনে চলতে হবে একটি বিধান।
এ বিধান বিষয়ে ড. মানজুরে ইলাহী বলেন, ইফতার মূলত পানাহার বিরতি শেষ করার একটি প্রক্রিয়া। এটা কোনো সুনির্দিষ্ট ইবাদত নয়। যার কারণে অমুসলিমদের সঙ্গে নিয়ে ইফতার করলে তা দোষের হবে না। আবার তাদের দেয়া খাবার দিয়েও ইফতার করা যাবে। এতে রোজারও কোনো ক্ষতি হবে না।
কোনো অমুসলিম কোনো মুসলিমকে ইফতার পাঠানোর বিষয়ে ইসলাম ধর্মে বিধান রয়েছে। এ সম্পর্কে ড. মানজুরে ইলাহী বলেন, অমুসলিমদের দেয়া সব খাবারই ইফতার হিসেবে খাওয়া যাবে। তবে কোনো প্রাণীর গোশতের খাবার হলে সে গোশত খাওয়া যদি ইসলাম ধর্মে খাওয়া নিষিদ্ধ থাকে, তবে সেই মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো অমুসলিম যদি ইফতার করার জন্য কোনো মুসলিমকে ইসলামি শরিয়াহ মতে হালাল মাংস এবং ইসলামে খাওয়া জায়েজ আছে এমন মাংস খেতে দেন তবে সে খাবার দিয়েও ইফতার করাতে কোনো বাধা নেই ইসলাম ধর্মে।
ইফতার দেয়া-নেয়ার এ রীতি রোজা, রমজান আর ইফতারের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে। এতে অমুসলিমরা ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তাই পাস্পরিক সম্প্রীতি আর ভালোবাসা বাড়াতে হিন্দু কিংবা অমুসলিম ভাইবোনদের নিয়ে ইফতার করার পাশাপাশি তাদের দেয়া খাবার দিয়েও ইফতার করতে পারেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url