কোলেস্টেরল কমাবে যেসব ফল
৮ই মার্চ ২০২৩
খাদ্যভাসের কারণে অনেক সময় শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়।
বিশেষ করে ফ্যাট জাতীয় খাবার যেমন-ফ্রাই, বার্গার, পিজা এগুলো কোলেস্টেরলের পরিমান বাড়িয়ে দেয়।
অন্যদিকে খাদ্য তালিকায় বেশি মাত্রায় ফাইবার সমৃদ্ধ ফল, শাকসবজি এবং শস্য জাতীয় খাবার যোগ করলে খারাপ কোলেস্টেরল সহজেই নিয়ন্ত্রন করা যায়। কিছু কিছু ফল আছে যেগুলো কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে। যেমন-
নিয়মিত আপেল খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়
অ্যাভোকাডো : এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের জন্য দারুন উপকারী। এতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন-ভিটামিন কে, সি, বি ৫, বি ৬,ই এবং উপকারী ফ্যাট রয়েছে যা হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।
সেই সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। এছাড়া অ্যাভোকাডো রক্তে খারাপ এবং ভাল কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখে।তবে আমাদের দেশে ও এখন এই ফলের চাষ শুরু করা হয়েছে।
টমেটো : টমেটোতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ ,বি, কে এবং সি আছে যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। সেই সঙ্গে ত্বক এবং হৃৎপিণ্ডও সুস্থ রাখে।
পটাশিয়ামের ভাল উৎস হওয়ায় টমেটো হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এটি কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়।
আপেল : এটি এমনই একটি শক্তিশালী ফল যা নিয়মিত খেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় না। ত্বকের সুরক্ষা থেকে শুরু করে হজমশক্তি বাড়াতে আপেল দারুন কার্যকরী। আপেলে থাকা ফাইবার এবং অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগজনিত জটিলতা কমাতে ভূমিকা রাখে।
সাইট্রাস ফল : বিভিন্ন ধরনের সাইট্রাস ফল যেমন-লেবু, কমলা এবং আঙ্গুর কোলেস্টেরল কমাতে দারুন কার্যকরী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এসব ফল স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা রাখে।
পেঁপে : এতে থাকা উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমানও নিয়ন্ত্রন করে। এছাড় পেঁপে হজমশক্তি বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url