OrdinaryITPostAd

জরায়ুতে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কোন ভুলে!

জরায়ুতে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কোন ভুলে  !

২০২৩, ২৭শে মার্চ সোমবার 



বিভিন্ন মরণব্যাধি গুলির মধ্যে একটি হলো জরায়ুতে টিউমার। এই টিউমার ধীরে ধীরে ক্যান্সারের দিকে পা বাড়ায়। বিবাহিত বা অবিবাহিত সকল মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে কিছু সচেতনতা অবলম্বন এই সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব। জেনে নিন কেন জরায়ুতে টিউমার হয় ও কিভাবে এই টিউমার এড়ানো সম্ভব-


১: পিরিওড চালাকালীন অনেকেই নিয়মিত স্নান করে না অথবা শহরতলীর সাপ্লাইয়ের জলে স্নান করে। তাই কোন জলে জীবাণু আছে বা নেই সেটা জানা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

এইসব কারনেই জরায়ুতে জীবাণুর সংক্রমণে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে পিরিওড চলাকালীন নিয়মিত স্নান ও স্নানের আগে জলে ডেটল বা স্যাভলন দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

তবে জরায়ুর টিউমার প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে।


২: পিরিয়ড চলাকালীন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা সবথেকে বেশি জরুরী, সে বিবাহিত মহিলাদের জন্য হোক বা অবিবাহিত মহিলা। পিরিয়ডের সময় অনেকে কাপড় ব্যবহার করে এবং সেই কাপড় ধুয়ে পুনরায় আবার ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। তাই বলা হয় পিরিওড চলাকালীন ব্যবহৃত কাপড় পুনরায় ব্যবহার না করতে। এর চেয়ে প্যাড ব্যবহার করার শ্রেয়। তবে কাপড় বা প্যাড যা-ই ব্যবহার করুন না কেন সেটি ছয় ঘণ্টার বেশি ব্যবহার করবেন না। ছয় ঘণ্টার বেশি এক জিনিস ব্যবহার করলে এতে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে।


৩: অতিমাত্রায় জন্মনিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট খাওয়া জরায়ুতে টিউমার এর সৃষ্টি করে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ট্যাবলেট খাওয়াই ঠিক নয়।
এছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ করার জন্য অনেকে ৩/৬/১২ মাস থেকে শুরু করে ৫ বছর পর্যন্ত ইনজেকশন দিয়ে নিজেদের পিরিয়ড বন্ধ করে রাখে। যার ফলে জরআয়ুতে টিউমার ও ক্যান্সার এর ঝুকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই এই ইনজেকশন নেওয়ার পদ্ধতি থেকে বিরত থাকা উচিত।


৪: অনেকই অসময়ে বাচ্চা নিতে চায় না তাই এবরশন বা ডিএনসি করায় যা জরায়ুর জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর। এছাড়া আর বেবি নিতে না চেয়ে অনেকে লাইকেশন করিয়ে নেয়। এটি জরায়ুতে টিউমার ও ক্যান্সারের জার্ম তৈরি করে।


৫: মেয়েদের নরমাল ডেলিভারি হওয়ার পর জরায়ুতে ছোট ছোট ক্ষত থাকে। ডাক্তাররা বলেন নরমাল ডেলিভারির সময় শিশুরা তাদের নখ দিয়ে জরায়ুতে আচর দেয় ফলে এই ক্ষত সৃষ্টি হয়। তাই নরমাল ডেলিভারির পর যদি কেউ হাজবেন্ডের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় তবে সেক্ষেত্রে জরায়ুর মধ্যে ছোট ছোট টিউমার সৃষ্টি হয় যা পরবর্তী সময়ে ক্যানসারের রূপ নেয়। তাই নরমাল ডেলিভারির পর সেই ক্ষত না শুকনো পর্যন্ত শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা উচিত।


৬: ফরমালিনযুক্ত খাবার খেলে শরীরে জরায়ুতে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সে ক্ষেত্রে ফরমালিনযুক্ত খাবার খাওয়ার আগে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন সেক্ষেত্রে ফরমালিন যুক্ত খাবার খাওয়ার আগে সেটি এক ঘন্টা লবণ জলে ভিজিয়ে রাখলে ফর্মালিনের বৃষ্টি খাওয়ার থেকে চলে যায়। 


এছাড়া অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধে টিউমারের সৃষ্টি হয়। আমরা সাধারণত কোনো ছোটখাটো সমস্যায় পেনকিলার বা প্যারাসিটামল খেয়ে থাকি। এই ওষুধগুলো আমাদের ভিতর একটু একটু করে টিউমারের জার্ম সৃষ্টি কর।ছে তাই যে কোনো সমস্যায় চিকিত্‍সকের পরামর্শ ছাড়া কোনো রকম ওষুধ খাওয়াই উচিত নয়।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪