অ্যাসিডিটি ঠেকানোর ১০ উপায়
অ্যাসিডিটি ঠেকানোর ১০ উপায়
৩০শে মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৩
কোনো না কোনো সময় প্রায় সবাইকেই পেট জ্বালাপোড়া কিংবা অ্যাসিডিটিতে ভুগতে দেখা যায়। কারও কারও জন্য এটাতো নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা।
সাধারণত অতিরিক্ত খাবার, ঝাল খাবার, অতিরিক্ত ওজন, অতিরিক্ত মদপান কিংবা কফি খেলে অ্যাসিডিটি দেখা দিতে পারে। পেটের গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যাসিডের নিঃসরণে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। অ্যাসিডিটির প্রধান উপসর্গ হচ্ছে বুক-জ্বালাপোড়া। অ্যাসিডিটির সমস্যা ওষুধে সহজে সারলেও তা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়। কিছু সহজ ও প্রাকৃতিক উপায় আছে যেগুলো মানবে সহজে অ্যাসিডিটি দূর হয়। জি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
১. ডাবের পানি: বুক-জ্বলুনি ঠেকাতে অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে ডাবের পানি। বুক জ্বলুনি বোধ করলে ডাবের পানি পান করুন।
২.কোমল পানীয় ত্যাগ: অনেকে মনে করেন গ্যাসের সমস্যা সমাধানে বা অ্যাসিডিটি ঠেকাতে কোমল পানীয় বা কার্বোনেটেড-ক্যাফিনেটেড বেভারেজ কাজে আসে। আসলে এতে হিতে বিপরীত হয়। এসব পানীয়ের পরিবর্তে সবুজ চা, বা হারবাল চা অধিক কার্যকর।
৩. দুধপান: প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে থাকে।৪. ধূমপান বন্ধ: যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন, এ অভ্যাসটি ছাড়তে হবে।
৫. মসলাদার খাবার ত্যাগ: বেশি মসলাদার খাবার খাওয়া কমাতে হবে। আচার, ঝাল চাটনি, ভিনেগার প্রভৃতি খাওয়া কমাতে হবে।
৬. খাদ্যাভ্যাস: অল্প হলেও নিয়মিত বা সময় মেনে খাবার খাওয়া উচিত। একবার খাওয়ার পর দীর্ঘসময় বিরতি দিয়ে খাবার খেলে অ্যাসিডিটি হয়।
৭. পুদিনা পাতা: অ্যাসিডিটি থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে স্বস্তি দিতে পারে পুদিনা পাতা। পানি দিয়ে কিছু পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে খাবার পরে এক গ্লাস করে পান করা যেতে পারে।
১০. ঘুমের আগে খাবার: ঘুমানোর কমপক্ষে দুই তিন ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়া উচিত। ভারী খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় যাওয়া উচিত নয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url