কয়েল-আগরবাতির ধোঁয়ায় কি রোজা নষ্ট হয়?
কয়েল-আগরবাতির ধোঁয়ায় কি রোজা নষ্ট হয়?
২৯শে মার্চ বুধবার, ২০২৩
রমজানের রোজা রাখা ফরজ। এর ফজিলত এতই বেশি যে, এর পুরস্কার মহান আল্লাহ নিজ হাতে দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই রোজাদার ব্যক্তি কামনা করেন, তার রোজা বিশুদ্ধ হোক।
রোজা শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম নয়। আল্লাহ ভীতি এবং তাকওয়া অর্জন রোজার অন্যতম উদ্দেশ্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’
(সুরা: বাকারা, আয়াত: ১৮৩)
রোজা অবস্থায় আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া অনিচ্ছাকৃতভাবে নাকে বা গলার ভেতরে চলে গেলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া ইচ্ছাকৃতভাবে নাক দিয়ে টেনে ভেতরে নিলে রোজা ভেঙে যাবে; কিন্তু আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া ছাড়া শুধু ঘ্রাণ নিলে রোজা নষ্ট হবে না।
তবে সচেতনার জন্য রোজার দিনে আগরবাতি না জ্বালানোই উচিত।
তবে সচেতনার জন্য রোজার দিনে আগরবাতি না জ্বালানোই উচিত।
(সূত্র: কিতাবুল আসল: ২/১৭২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১/২০৮; মাজমাউল আনহুর: ১/৩৬১)
একজন মুমিনের দায়িত্ব হলো রোজার মাধ্যমে আল্লাহ ভীতি অর্জনের চেষ্টা করা এবং ধীরে ধীরে নিজের রোজার স্তরকে উন্নীত করা। রোজার উদ্দেশ্যে কেবল পানাহার থেকে বিরত থাকা মানুষের পার্থিব ও অপার্থিব কোনো কাজে আসে না।
একজন মুমিনের দায়িত্ব হলো রোজার মাধ্যমে আল্লাহ ভীতি অর্জনের চেষ্টা করা এবং ধীরে ধীরে নিজের রোজার স্তরকে উন্নীত করা। রোজার উদ্দেশ্যে কেবল পানাহার থেকে বিরত থাকা মানুষের পার্থিব ও অপার্থিব কোনো কাজে আসে না।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা এবং এর ওপর আমল করা থেকে বিরত থাকে না আল্লাহ তাআলার জন্য তার উপবাস থাকা এবং পিপাসার্ত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ তার রোজা রাখা বেকার বলে গণ্য হবে।’
(বুখারী)
হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বা, চোখ, কানসহ অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সংযত করতে পারে না তার রোজা কোনো কাজেই আসবে না।’
হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বা, চোখ, কানসহ অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সংযত করতে পারে না তার রোজা কোনো কাজেই আসবে না।’
(বিহারুল আনওয়ার)
প্রত্যেক মুমিন, মুসলিমের উচিত রোজার উদ্দেশ্য ও রোজা ভঙ্গে কারণগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া।
প্রত্যেক মুমিন, মুসলিমের উচিত রোজার উদ্দেশ্য ও রোজা ভঙ্গে কারণগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url