OrdinaryITPostAd

রোজার শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা

 

রোজার শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা

২৬শে মার্চ রবিবার, ২০২৩







রোজা ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। প্রতিবছর রমজানে প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান মহান সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভের জন্য ধর্মীয় ইবাদত রোজা পালন করে থাকেন।


রোজা শুধু ধর্মীয় বিধিবিধানের অংশ নয়; বরং এটি বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যনীতিরও একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। এর রয়েছে শারীরিক ও মানসিক উপকারিতাও।

প্রথমেই আসি রোজার শারীরিক উপকারিতার কথায়। রোজা থাকলে দিনের বেশিরভাগ সময় না খেয়ে থাকতে হয়। এতে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট ও চর্বি কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকারক টক্সিন কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বের হওয়ার সুযোগ পায়।

শরীরকে বিষমুক্ত করার একটি কার্যকরী উপায় হলো রোজা। যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তারা সহজেই এ সময়টা কাজে লাগাতে পারেন। কারণ, রোজা রাখার পাশাপাশি ইফতার ও সেহরিতে পুষ্টিকর খাবারের প্রাধান্য দিলে খুব সহজেই এই সময়ে আপনি আপনার ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন।

রমজানে নিয়মিত রোজা রাখার ফলে স্বাস্থ্যসম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন: উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদ্‌রোগ ও স্থূলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

রোজায় পেট খালি থাকার কারণে খাবার হজমের অ্যাসিড এই সময় ধীরগতিতে নিঃসরিত হয়, যা হজম শক্তিজনিত নানা সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রোজার কোনো বিকল্প নেই। কারণ দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার ফলে শরীরে কোলেস্টেরল ও গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়।

অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার বদভ্যাস যাদের আছে, তারা নিয়মিত রোজা রাখার কারণে এই বদভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। তাছাড়া যেকোনো নেশাদ্রব্য থেকে মুক্তি পেতে রোজা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

রোজার শারীরিক উপকারিতার সঙ্গে রয়েছে মানসিক উপকারিতাও। রোজা যেহেতু ধর্মীয় একটি ইবাদত তাই নিয়মিত রোজা রাখার ফলে মানসিক প্রশান্তি অনুভব করা যায়। এ সময় স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়, যা ব্রেনের কর্মক্ষমতাকে অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে।

এ ছাড়া দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার অভ্যাসে আমরা সঠিক পথে চলার শক্তি পাই। দীর্ঘসময় নিজেকে সংযত রাখার কারণে আমরা সহজেই পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারি।


নিয়মিত রোজায় ও ধর্মপথে থাকায় মানুষ নিজের আত্মপর্যালোচনা এবং চিন্তা-চেতনাকে উন্নত করার সুযোগ পায়।
রোজার গুরুত্ব অনুধাবন করে ডা. আইজাক জেনিংস বলেছেন, যারা আলস্য ও গোঁড়ামির কারণে এবং অতিভোজনের কারণে নিজেদের সংরক্ষিত জীবনীশক্তিকে ভারাক্রান্ত করে ধীরে ধীরে আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে যায়, রোজা তাদের এ বিপদ থেকে রক্ষা করে।

রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীর নানা ধরনের চাপ নিতে সক্ষমতা অর্জন করে। ফলে রোজাদার ব্যক্তি কখনো খিঁচুনি এবং মানসিক অস্থিরতার মুখোমুখি হন না।

কোরআন ও হাদিসে রোজার গুরুত্বের বিবরণ বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টির সঙ্গে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও রোজার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও ইতিবাচকভাবে জীবনদর্শনের জন্য রোজার গুরুত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪