OrdinaryITPostAd

সিজন চেঞ্জে গলাব্যথা? সমাধান এই ঘরোয়া টোটকায়

 

সিজন চেঞ্জে গলাব্যথা? সমাধান এই ঘরোয়া টোটকায়

১৬ ই মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার 



ঠান্ডা গরম হলেই খুব সহজে আমাদের ঠান্ডা লেগে যায়। আর যার কারণ হিসেবে প্রথমেই শুরু হয় গলা ব্যথা। এছাড়াও ঘাম জমেও হতে পারে। তাপমাার তারতম্য হলেই এই সমস্যা হয়।


এই সময় জীবনযাপন :

সিজন চেঞ্জ বা শীতকালে গলা ব্যথার সমস্যা সকলেরই হয়। এছাড়াও অনেকের টনসিলের সমস্যা থাকে। তাঁদের একটু ঠান্ডা-গরমেই গলা ব্যাথার সমস্যা হয়। বর্তমানে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আর যার প্রধান উপসর্গ হিসেবে থাকছে গলা ব্যথা, জ্বর।

জ্বর না থাকলেও খুশখুশে কাশি, গলাব্যথা এসব থাকছেই। এবছর অক্টোবরের গরমে তিতিবিরক্ত সকলেই। সাধারণত এরকম গরম এই সময়ে থাকে না। গরমে ঘাম বসেও গলাব্যথা হচ্ছে। তাই গলাব্যথা মানেই কোভিড এরকম ভুল ধারণা রাখবেন না। কিন্তু গলাব্যথা হলে আপনি যে ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নেবেন তা একবার দেখে নিন। ওষুধের থেকেও অনেক বেশি কাজে আসবে এই সমাধান। 

ঢোক গিলতে সমস্যা হলে কিংবা গলা ব্যথা হলে আগে গরম জলে নুন দিয়ে গার্গল করুন। গলা ব্যথার সমস্যায় প্রাথমিক ওষুধ হিসেবে খুবই কাজ দেয় গার্গল। সমস্যা হলে দিনের মধ্য যদি পাঁচবার গার্গল করা যায় তাহলে ব্যাথা বা সংক্রমণ অনেক খানি কমে যায়।

আদাও খুব ভালো কাজ করে। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান খুব তাড়াতাড়ি সংক্রমণ রোধ করে। আর তাই জল গরম করে তাতে কয়েক টুকরো আদা ফেলুন। এবার সেই জল ভালো করে গরম করে গার্গল করুন। তাতে অনেক রকম উপকার হবে।

এছাড়াও জলে আদা দিয়ে ফুটিয়ে মধু দিয়ে খেতে পারেন। তাতেও অনেক রকম উপকার পাবেন।

চিকিৎসকেরা বলেন, লেবু আমাদের শরীরের টক্সিন দূর করার ক্ষেত্রে খুব উপকারি। তাই, গলায় ব্যথায় এক গ্লাস গরম জলে লেবুর রস ও এক চা চামচ মধু ভালোভাবে মেশান। দিনে অন্তত দু বার এটি খান। গলা ব্যথা ও টনসিলের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে লেবু মধুর জল।

হলুদ হল অ্যান্টি সেপটিক। এছাড়াও হলুদের মধ্যে থাকে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য। যা গলা ব্যথায় ভালো কাজে আসে। এছাড়াও হলুদের মধ্যে থাকে আরও অনেক গুণ। ফলে হলুদ মেশানো দুধ খেলেও খুব ভালো উপশম হয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক টুকরো হলুদ খেতে পারলে খুবই ভালো।

কয়েক ফোঁটা দারুচিনি তেলের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। দিনে একবার অন্তত এটি ব্যবহার করুন, গলার ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন। যে কোনও ব্যাথাতেই কাজ করবে এই টোটকা।

মধু তার অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত। প্রাচীন কাল থেকেই গলা ব্যথার নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয় মধু। এক কাপ গরম জলে এক থেকে দু চামচ মধু মেশান এবং দিনে দু থেকে তিনবার খান অথবা ঘুমোতে যাওয়ার আগে আপনি এক চামচ মধু খেতে পারেন।

গলা ব্যাথা বা শ্বাসকষ্টে ভেপারও খুব উপকারী। প্রথমে কান-মাথা ভালো করে জড়িয়ে নিন কাপড় দিয়ে। এরপর, গরম জলে সামান্য নুন দিয়ে জলের ভাপ নিন। দিনে দু'বার এটা করতে পারলে খুব সহজেই গলার ব্যথা কমবে।

রসুন খুব ভালো রোগ প্রতিরোধ করে এবং গলা ব্যথা, ইনফেকশন এসব কমাতে সাহায্য করে। রসুনের মধ্যে থাকা অ্যালিসিন গলা ব্যথার কারণ ব্যাকটিরিয়াকে মেরে ফেলতে সহায়তা করে। এটি কাঁচাও খাওয়া যায় এবং রান্না করেও খাওয়া যায়।

মাঝে মাঝেই মুখে দুটি লবঙ্গ রাখুন এবং সেগুলি নরম হওয়ার পর চিবিয়ে গিলে ফেলুন। লবঙ্গ কিন্তু খুব দ্রুত গলার ব্যাথা কমিয়ে দেয়।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪