OrdinaryITPostAd

রমজানের প্রথম ১০ দিনের আমল ও দোয়া

রমজানের প্রথম ১০ দিনের আমল ও দোয়া  

২৩ শে মার্চ বৃহস্পতিবা,  ২০২৩ 



রমজান মাস হল মুমিনের জীবনে রহমতের বসন্তকাল। হাদিসে এসেছে,‘রমজানের প্রথম দশক হলো রহমতের, মধ্য দশক হলো মাগফিরাতের, শেষ দশক হলো নাজাতের।’

সাধারণত বলা হয়ে থাকে প্রথম দশকে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের প্রতি রহমত বা দয়া বর্ষণ করতে থাকবেন। দ্বিতীয় দশকে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের ক্ষমা করতে থাকবেন। তৃতীয় দশকে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের জাহান্নাম থেকে নাজাত বা মুক্তি দিতে থাকবেন।

আমাদের অস্তিত্বজুড়ে আল্লাহর রহমত। রহমত ছাড়া এক মুহূর্তও বাঁচার উপায় নেই। তবে পবিত্র রমজানের প্রথম দশকে রহমতের বারিধারা আরও প্রবল বেগে বইতে থাকে।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, হে মুমিনগণ!তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি; আশা করা যায় যে তোমরা তাকওয়া অর্জন করবে। (সুরা বাকারা : ১৮৩)।

আমাদের মাঝে রমজানের প্রথম দশদিন শুরু হয়েছে। বান্দা যখন সঠিক নিয়তে রোজা রাখে,রমজানের সব হকগুলো আদায় করে, সঠিকভাবে সংযমী হয়, হালাল রুজি দ্বারা সেহরী ও ইফতার করে, কারো হক নষ্ট না করে এভাবে সারাদিন কাটিয়ে দেয় তার জন্য রহমত প্রথম রমজান থেকেই শুরু হয়। 

মাসের ফজিলত সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)বলেছেন,যখন রমজান মাস আরম্ভ হয়, তখন রহমতের দ্বারগুলো খুলে দেওয়া হয় আর জাহান্নামের দ্বারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদের বন্দি করে রাখা হয়। (বুখারি)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানব সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, কিন্তু রোজার বিষয়টি ভিন্ন। কেননা, রোজা শুধু আমার জন্য, আমিই তার প্রতিদান দেব। (মুসলিম)

হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য এক দিন রোজা রাখবে,আল্লাহ তার থেকে জাহান্নামকে এক খরিফ (৭০ বছরের) দূরত্বে সরিয়ে দেবেন। (মুসলিম)


আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহকে (সা.) বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে এমন একটি কাজের নির্দেশ দিন, যার দ্বারা আমি লাভবান হতে পারি। তিনি বললেন,'তুমি রোজা রাখো। কেননা, এর সমকক্ষ আর কোনো ইবাদত নেই। '(নাসায়ি)

রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে। যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন রোজাদারগণই শুধু সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

সেদিন ঘোষণা করা হবে, রোজাদারগণ কোথায়? তখন তারা দাঁড়িয়ে যাবে এবং সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। যখন তাদের প্রবেশ শেষ হবে, তখন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে তারা ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি)

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, রোজা ও কুরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য এভাবে সুপারিশ করবে যে রোজা বলবে, হে প্রতিপালক! আমি দিনের বেলা তাকে পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো।

কুরআন বলবে, হে প্রতিপালক! আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি, তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। তিনি বলেন, 'এরপর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে। ' (মুসনাদে আহমদ)

আমরা অনেকেই হেলায়-খেলায় রমজানের সময়গুলো কাটিয়ে পরবর্তী সময়ে আফসোস করি। সে আফসোসের কোনো ফল হয় না।

রমজান মাত্র শুরু হয়েছে। আল্লাহকে পাওয়ার সাধনা পুরোদমে শুরু করতে হবে এখন থেকেই। যথাযথ হক আদায় করে রোজা পালন করব এই প্রতিজ্ঞার মাধ্যমে শুরু হোক আমাদের রমজান। রোজাকে যারা অমান্য করে, অবজ্ঞা করে, অবহেলা করে এবং তরক করে তাদের মতো হতভাগা আর কে আছে? (সংগৃহীত)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪