OrdinaryITPostAd

চা পানের উপকারিতা ও অপকারিতা

 

খুব বেশি চা পান করেন? শরীরের কতটা ক্ষতি করছেন জানেন...




বাঙালি যেমন রসনা প্রেমিক, তেমনি Tea lover-ও বটে। প্রতিদিন রেকর্ড মার্জিনে চায়ের কাপে তুফান তোলে আমবাঙালি। চা খেতে বাঙালিকে কেউ টেক্কা দিতে পারবে বলে তো মনে হয় না। পাড়ার মোড়ে আড্ডা দিতে গিয়ে দিনে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বায় হয়েই যায়।



এক নজরে দেখে নেয়া যাকঃ



> বর্ষার দিনে মাটির ভাঁড়ে ধোঁয়া ওঠা চায়ে একটু চুমুক, আহ!


> নিমেষেই শরীর চনমনে হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে মেজাজও হয় ফুরফুরে।


> অফিসে, পাড়ার মোড়ে আড্ডা দিতে গিয়ে দিনে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বায় হয়েই যায়।


> কিন্তু এই স্বস্তির চুমুকই হয়ে উঠতে পারে আপনার অসুখের কারণ।জানেন কী? তাহলে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কতটা চা খাওয়া উচিত?



কতোটা চা পান করবেন ?  

এক কাপ চায়ের ক্যাফিনের পরিমাণ পৃথক হতে পারে। চা পাতার ধরণ এবং আপনি যে পরিমাণ পরিমাণ ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণত, এক কাপ চায়ের ক্যাফিনের পরিমাণ ২০-৬০ মিলিগ্রামের মধ্যে থাকে। সুতরাং, প্রতিদিন ৩ কাপের বেশি চা না পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শরীরে আয়রন শোষণ ক্ষমতা হ্রাস করে
চায়ের মধ্যে পাওয়া ট্যানিন প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করলে শরীরের আয়রন শুষে নেওয়ার ক্ষমতা কমায়। কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চা আয়রন শোষণের ক্ষমতা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে। এটি নিরামিষাশীদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। 


ওষুধের প্রভাব হ্রাস করতে পারে
সমীক্ষায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চা খাওয়া কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে। চা কেমোথেরাপির ওষুধ, ক্লোজাপাইন এবং গর্ভ নিরোধ এর উপব প্রভাব ফেলে।




মাথা ঘোরা
চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফিন থাকে, যার ফলে মাথা ঘোরাতে পারে। যখন কেউ বেশি পরিমাণে অর্থাৎ ৪০০-৫০০ মিলিগ্রামেরও বেশি ক্যাফিন গ্রহণ করে তখন এটি ঘটে। তবে, ক্যাফিনের প্রতি সংবেদনশীল বা উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তি স্বল্প পরিমাণে চা খাওয়ার পরেও চঞ্চল বোধ করতে পারে।

গর্ভাবস্থার জটিলতা
গর্ভাবস্থায় বেশি পরিমাণে চা খাওয়া ক্যাফিনের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এটি গর্ভপাত এবং শিশুর জন্মের ওজন হতে পারে। এটি পরামর্শ দেওয়া হয় যে গর্ভবতী হওয়ার সময় ২০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফিন খাওয়া উচিত নয়।


অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা
অত্যধিক চা খেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা বাড়তে পারে। এটি অন্ত্রে অ্যাসিডের উত্পাদন বাড়াতে পারে। আপনি যদি বুক জ্বালা সমস্যায় ভুগছেন তবে আপনার চা খাওয়া সীমাবদ্ধ করুন অন্যথায় আপনার সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

সুতরাং আমাদের উচিৎ পরিমিত পরিমাণ এ চাপান করা। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪