বিমান বন্দর নেই বিশ্বের যে ৫টি দেশে
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বিমানবন্দর নেই বিশ্বের যে পাঁচ দেশের
একটি স্বাধীন দেশের বিমানবন্দর নেই এমনটা শুনতেও কেমন যেন অবাক শোনা যায়। তবে অবাক করার মতো হলেও সত্যি যে এ আধুনিক জমানায় এসেও পৃথিবীর অন্তত পাঁচটি দেশর নিজস্ব কোনো বিমানবন্দর নেই। এই পাঁচটি দেশ নিয়েই জানব আজ। দেশগুলো হলো: ভ্যাটিকান সিটি, মোনাকো, সান মেরিনো, লিচেনস্টাইন এবং অ্যান্ডোরা।
দেশ গুলোতে বিমান বন্দর না থাকার কারণ হলো, দেশগুলো আকারে একেবারে ছোট। তারপরও কোনো কোনো দেশের ভূ-প্রকৃতির আবার পাহাড়ি। ফলে তাদের সীমানার মধ্যে বিমানবন্দর স্থাপন কঠিন। তবে নিজস্ব বিমানবন্দর না থাকলেও দেশগুলোর একটা অসুবিধা হয় না। দেশগুলো সাধারণত তাদের প্রতিবেশী বড় দেশগুলোর বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকে।
ভ্যাটিকান সিটি
ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ। মাত্র দশমিক ৪৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটিতে জনসংখ্যা মাত্র ৮০০। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এখানে উড়োজাহাজ অবতরণ বা উড্ডয়নের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকার কথা নয়। এখানে নেই কোনো নদী বা সাগর। এমনকি নেই কোনো অন্য ধরনের কোনো যাতায়াত ব্যবস্থা। দেশটি পায়ে হেঁটেই ভ্রমণ করা সম্ভব। ভ্যাটিকান সিটিতে যাওয়ার জন্য সাধারণত পাশের রোমে অবস্থিত সিয়ামপিনো আর ফিওমিচিনো বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকে সবাই। ভ্যাটিকান সিটির ঠিক বাইরে থেকে থেকে ট্রেনযোগে মাত্র আধা ঘণ্টায় পৌঁছা যায় বিমানবন্দরে।
মোনাকো
ভূমধ্যসাগরের তীরের মোনাকো পৃথিবীর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। তিন দিক থেকেই দেশটিকে ঘিরে রেখেছে ফ্রান্স। ২দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ৩৮ হাজার ৪০০। পাহাড়ি ভূ-ভাগ সমৃদ্ধ মোনাকো পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য। দেশটিতে যেতে চাইলে আপনাকে বিমানযোগে যেতে হবে ফ্রান্সের নিসের অবস্থিত কোতে দে জিও বিমানবন্দরে। সেখান থেকে একটি ক্যাব ভাড়া করে কিংবা নৌকাযোগে পৌঁছে যেতে পারবেন মোনাকোয়।
সান মেরিনো
মাত্র ৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গোটা সান মেরিনোর সবদিকেই ইতালি। জলপথেও যাওয়ার কোনো উপায় নেই দেশটিতে। ছোট্ট এ দেশটিতে নেই কোনো বিমানবন্দর। পাহাড়ে-সমতলে মিশানো দেশটির রাস্তা-ঘাটের অভাব নেই। এসব রাস্তা ব্যবহার করেই দেশ ও দেশের বাইরে যাতায়াত চলে। দেশটিতে থেকে ইতালির রিমিনি বিমানবন্দর বেশ কাছেই। ফ্লোরেন্স, বলোগনা, ভেনিস আর পিসা বিমানবন্দর ও দূরে নয় সান মেরিনোর সীমান্ত থেকে। দেশটিতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা এবং সেখানকার বাসিন্দারা প্রায়ই বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার করেন।
লিচেনস্টাইন
১৫৮ বর্গকিলোমিটারের লিচেনস্টাইনের জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। দেশটির বেশিরভাগই পাহাড়ি এলাকা। এমনিতে ছোট্ট দেশ, তারপর পার্বত্য এলাকা তাই লিচেনস্টাইন কোনো বিমানবন্দর তৈরি করতে পারেনি। তবে কাছেই আছে ছোট্ট দুই বিমানবন্দর। একটি সুইজারল্যান্ডের স্যান্ট গ্যালেন-অ্যাল্টেনরাইন এয়ারপোর্ট এবং অপরটি জার্মানির ফ্রেডরিচশ্যাফেন এয়ারপোর্ট। আর সহজে যাওয়া যায় এমন বড় বিমানবন্দর জুরিখ এয়ারপোর্টের দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার।
অ্যান্ডোরা
অ্যান্ডোরার আয়তন বাকি চারটি দেশের তুলনায় বেশ বড়ই। ৪৬৮ বর্গকিলোমিটারের দেশটি পর্বতময়। ফ্রান্স আর স্পেনের মাঝখানে অবস্থিত অ্যান্ডোরাকে ঘিরে আছে পিরেনিজ পর্বতমালা। দেশটিতে প্রায় ৩ হাজার মিটার উচ্চতার চূড়াও আছে। সবকিছু মিলিয়ে তাই এই এলাকায় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণ মোটেই সহজ নয়। তবে স্পেন এবং ফ্রান্সের বার্সেলোনা, লেরিদা কিংবা জিরোনার মতো শহরগুলো অ্যান্ডোরার মোটামুটি ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে।
ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ। মাত্র দশমিক ৪৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটিতে জনসংখ্যা মাত্র ৮০০। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এখানে উড়োজাহাজ অবতরণ বা উড্ডয়নের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকার কথা নয়। এখানে নেই কোনো নদী বা সাগর। এমনকি নেই কোনো অন্য ধরনের কোনো যাতায়াত ব্যবস্থা। দেশটি পায়ে হেঁটেই ভ্রমণ করা সম্ভব। ভ্যাটিকান সিটিতে যাওয়ার জন্য সাধারণত পাশের রোমে অবস্থিত সিয়ামপিনো আর ফিওমিচিনো বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকে সবাই। ভ্যাটিকান সিটির ঠিক বাইরে থেকে থেকে ট্রেনযোগে মাত্র আধা ঘণ্টায় পৌঁছা যায় বিমানবন্দরে।
মোনাকো
ভূমধ্যসাগরের তীরের মোনাকো পৃথিবীর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। তিন দিক থেকেই দেশটিকে ঘিরে রেখেছে ফ্রান্স। ২দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ৩৮ হাজার ৪০০। পাহাড়ি ভূ-ভাগ সমৃদ্ধ মোনাকো পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য। দেশটিতে যেতে চাইলে আপনাকে বিমানযোগে যেতে হবে ফ্রান্সের নিসের অবস্থিত কোতে দে জিও বিমানবন্দরে। সেখান থেকে একটি ক্যাব ভাড়া করে কিংবা নৌকাযোগে পৌঁছে যেতে পারবেন মোনাকোয়।
সান মেরিনো
মাত্র ৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গোটা সান মেরিনোর সবদিকেই ইতালি। জলপথেও যাওয়ার কোনো উপায় নেই দেশটিতে। ছোট্ট এ দেশটিতে নেই কোনো বিমানবন্দর। পাহাড়ে-সমতলে মিশানো দেশটির রাস্তা-ঘাটের অভাব নেই। এসব রাস্তা ব্যবহার করেই দেশ ও দেশের বাইরে যাতায়াত চলে। দেশটিতে থেকে ইতালির রিমিনি বিমানবন্দর বেশ কাছেই। ফ্লোরেন্স, বলোগনা, ভেনিস আর পিসা বিমানবন্দর ও দূরে নয় সান মেরিনোর সীমান্ত থেকে। দেশটিতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা এবং সেখানকার বাসিন্দারা প্রায়ই বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার করেন।
লিচেনস্টাইন
১৫৮ বর্গকিলোমিটারের লিচেনস্টাইনের জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। দেশটির বেশিরভাগই পাহাড়ি এলাকা। এমনিতে ছোট্ট দেশ, তারপর পার্বত্য এলাকা তাই লিচেনস্টাইন কোনো বিমানবন্দর তৈরি করতে পারেনি। তবে কাছেই আছে ছোট্ট দুই বিমানবন্দর। একটি সুইজারল্যান্ডের স্যান্ট গ্যালেন-অ্যাল্টেনরাইন এয়ারপোর্ট এবং অপরটি জার্মানির ফ্রেডরিচশ্যাফেন এয়ারপোর্ট। আর সহজে যাওয়া যায় এমন বড় বিমানবন্দর জুরিখ এয়ারপোর্টের দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার।
অ্যান্ডোরা
অ্যান্ডোরার আয়তন বাকি চারটি দেশের তুলনায় বেশ বড়ই। ৪৬৮ বর্গকিলোমিটারের দেশটি পর্বতময়। ফ্রান্স আর স্পেনের মাঝখানে অবস্থিত অ্যান্ডোরাকে ঘিরে আছে পিরেনিজ পর্বতমালা। দেশটিতে প্রায় ৩ হাজার মিটার উচ্চতার চূড়াও আছে। সবকিছু মিলিয়ে তাই এই এলাকায় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণ মোটেই সহজ নয়। তবে স্পেন এবং ফ্রান্সের বার্সেলোনা, লেরিদা কিংবা জিরোনার মতো শহরগুলো অ্যান্ডোরার মোটামুটি ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url