কাযা নামাজ আদায়ের নিয়ম
ভুলবশত কোন ওয়াক্তের নামাজ কাজা হয়ে গেলে এবং তা মনে পড়া মাত্রই আদায় করা ওয়াজিব। বিনা ওযরে কাযা আদায় পড়তে দেরি হলে গুনাহগার হবে। সুতরাং কারো কোন ওয়াক্ত এর নামাজ কাযা হলে তা মনে পরার সাথে সাথেই আদায় করে নিতে হবে।
যে নামাজ কাযা করে ফেলেছে সে যদি নামাজ আদায় না করেই মৃত্যু বরন করে তবে তার দুটি গুনাহ হবে। একটি গুনাহ হবে নামাজ কাযা করার কারনে, আর অন্যটি গুনাহ হবে জেনেও নামাজ তারাতারি কাযা আদায় না করার জন্য।মনে রাখতে হবে ইচ্ছে করে নামাজ না পড়া কবীরা গুনাহ।
এ গুনাহ হতে মুক্তি লাভের জন্য কেবল তওবা করলে কিংবা শুধু কাযা আদায় করলেই চলবে না,এজন্য তওবা এবং কাযা নামাজ দুইটা আদায় করতে হবে।
★ যদি কারো কয়েক ওয়াক্ত নামাজ কাযা হয়ে যায়, তবে যত শীঘ্রই সব নামাজ আদায় করে নেওয়া উচিত।যোহরের কাযা যোহরের সময়, আসরের সময় আসরের কাযা আদায় করবে তেমন কোন অবশ্য কথা নেই। যদি কারো কয়েক মাসের বা বছরের নামাজ কাজা হয়ে থাকে, তবে তার কাযা ও যথা শীঘ্রই আদায় করে নেওয়া উচিত।
★কাযা নামাজ আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নেই।সময় পেলেই কাজা নামাজ আদায় করে নিতে হব। অবশ্য মাকরুহ ওয়াক্তে আদায় করবেন না।
★যদি কারো ওয়াক্ত বা তারও বেশি ওয়াক্তের বহু পূর্বের কাযা পড়া বাকি থাকে,এরপর রীতিমতো নামাজ পড়ে আসতে থাকে এবং এবল বহু দিন পর হঠাৎ তার এক ওয়াক্ত নামাজ কাযা হয়ে যায় ; তবে তার জন্য তরতীবের হুকুম নেই, সে এই কাযা বাকি রেখে ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়লে তা দুরস্ত হবে না।
★ কেবল মাত্র ফরজ এবং ওয়াজিব নামাজের কাযা আদায় করতে হয়।সুন্নত নামজ এর কাযা পড়তে হবে না। অবশ্য যদি ফজরের নামাজ কাযা হয়ে যায় আর যোহরের পূর্বে উহার কাযা করা হয়,তবে সুন্নতের কাযা আদায় করবে।আর যদি জোহরের পারে পড়ে তাহলে কেবলমাত্র দু’রাকাআত ফরযেরই কাযা পড়বে।
কাযা নামাজের নিয়্যতঃ
কাজা নামাজের নিয়্যত অন্যান্য সকল নামাজের নিয়তের মতই।
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উক্বদ্বিয়া লিল্লাহি তা‘আলা রাকা’আতই ছালাতিল ফাজরিল ফা-য়িতাতি ফারযুল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ ফজরের দু’রাকাআত ফরজ নামাজ যা বাদ পড়েছিল তা আদায়ের উদ্দেশ্যে কিবলা মুখী হয়ে নিয়্যাত করলাম, আল্লাহু আকবার।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url